পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : কাগতিয়া আলীয়া দরবার শরীফের পীর প্রিন্সিপাল ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ্ আহমদী বলেছেন, বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.) কাদেরীয়া তরিক্বতের যে রূপরেখা রেখে গেছেন তা কাগতিয়া আলীয়া দরবার শরীফে বিরাজমান। আধ্যাত্মিক পদ্ধতিতে আত্মশুদ্ধিকরণ, তাওয়াজ্জুহ্ প্রদান, কুরআনের নূর বিতরণ, রূহানী পথ অতিক্রম, মোরাকাবা, জিকর ইত্যাদি রূহানী তালিমাত আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.) যেভাবে প্রদান করেছিলেন ৮০০ বছর পূর্বে, তেমনি কাগতিয়া আলীয়া দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা চালু করেছেন সিনা-ব-সিনা তাওয়াজ্জুহ-ছবক প্রদান, ফয়েজে কোরআন প্রদান। যাঁর নূরানী ছোহবতে এসে হাজার হাজার যুবক নিজেদেরকে সংশোধন করেছেন, আত্মশুদ্ধি করেছেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর বাতেনী নূর বক্ষে ধারণ করেছেন। প্রিয় নবী (সঃ) এর সূন্নাত দরূদে মোস্তফা, গারে হেরার মোরাকাবা, শেষ রাতের তাহাজ্জুদ, হাতের অলংকার মিসওয়াক, মুখের অলংকার দাড়ি দিয়ে যুব সমাজ নিজেদের জীবনকে করেছে সুন্নাতময়। আল্লাহ তাআলা ও তাঁর প্রিয় হাবীব (সঃ) এর ভালোবাসার জন্য এ দরবারের অনুসারীরা রাত-দিন কান্নাকাটি করে আল্লাহ তাআলার দরবারে। প্রিয়নবী (সঃ) এর ভালোবাসা লাভের আশায় প্রতিদিন বাদে নামাজে এশা চক্ষু বন্ধ অবস্থায় বসে থাকে জায়নামাজে, আর জিকর করতে থাকে।
তিনি গতকাল শুক্রবার রাউজান কাগতিয়া দরবার শরীফের ৬৪তম পবিত্র ফাতেহা-এ এয়াজদাহুম শীর্ষক আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমানের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ তকরির রাখছিলেন।
তিনি আরও বলেন, এ মহান মনীষী ফিতনার যুগেও আধ্যাত্মিক জগতে স্থাপন করেছেন এক বিরল দৃষ্টান্ত। ১৪০০ বছর পরে এসে খলিফায়ে রাসূল (সঃ) উপাধি লাভ করে নতুন ইতিহাস রচনা করেছেন তরিক্বত জগতে। আর পৃথিবী থেকে চলে যাওয়ার পর দেখালেন এক অলৌকিক লীলা। তিনি সকলকে এ অলৌলিক লীলা স্বচক্ষে অবলোকন করার আহবান জানান।
মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ এর উদ্যোগে পবিত্র ফাতেহা-এ এয়াজদাহুম উপলক্ষে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে ছিল বাদে জোহর খতমে কোরআন, পবিত্র ফাতেহা-এ এয়াজদাহুম শীর্ষক আলোচনা সভা, বাদে আছর ফয়েজে কোরআনের মাধ্যমে নূরে কোরআন বিতরণ, বাদে মাগরিব রাসুল (সঃ) এর সুন্নাত তরিক্বায় নির্দিষ্ট ছবক প্রাপ্ত তরিক্বতপন্থীদেরকে বায়আত ও তাওয়াজ্জুহ্র মাধ্যমে রাসুল (সঃ) এর বাতেনী নূর বিতরণ এবং বাদে এশা তকরির, মিলাদ-ক্বিয়াম ও আখেরী মুনাজাত।
আলোচনা সভা ও মাহফিলে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের ওলামা পরিষদের সচিব মুফতি মুহাম্মদ ইব্রাহিম হানফি, ভাইস প্রিন্সিপাল আল্লামা মুহাম্মদ বদিউল আলম আহমদী, মুফতি কাজী মুহাম্মদ আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকি, আল্লামা মুহাম্মদ আশেকুর রহমান ও মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান নোমান প্রমুখ। প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক মুহাম্মদ ফোরকান মিয়া।
মাহফিল শেষে দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।