পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নতুন বছরে আত্মবিশ্বাসী আওয়ামী লীগ
নতুন বছরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো দলের বড় বিজয়ে আত্মবিশ্বাসী আওয়ামী লীগ। টানা তৃতীয়বার বিজয়ী হয়ে হ্যাট্টিক সরকার গঠন করতে বছরের শুরু থেকেই শুরু করবে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। দলে ছোট-খাটো অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকলেও সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় এখনো নিজেদের ‘অপ্রতিদ্ব›দ্বী’ ভাবছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। বিজয়ের মধ্য দিয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদের সরকার গঠন করে রেকর্ড গড়তে চায় বর্তমান ক্ষমতাসীন দলটি। হ্যাট্রিক বিজয়ের মধ্যদিয়ে আবারও ক্ষমতায় যাওয়ার বিষয়ে দলটির আত্মবিশ্বাসের মূল উৎস হচ্ছে দেশব্যাপী ব্যাপক উন্নয়ন, প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব, প্রধানমন্ত্রী পুত্র ও তার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিজ্ঞানসম্মত কৌশল-পরিকল্পনাও নেতাকর্মীদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। দলটির নেতাদের মতে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। আগামীতেও তাই উন্নয়ন প্রশ্নে জনগণ আওয়ামী লীগের বিকল্প চিন্তা করবে না।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ফিরিস্তির পাশাপাশি বিএনপি এবং জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগকে কাজে লাগাতে চায় আওয়ামী লীগ। দেশের ইতিহাসে আওয়ামী লীগের মতো দৃশ্যমান উন্নয়ন কোনো সরকার দেখাতে পারেনি। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, তার সততা ও আকাশসম ব্যক্তিত্ব। এসব ছাড়াও, রাজনীতির মূল ফোকাসে না থাকলেও আওয়ামী লীগ ও সরকারের জন্য ছায়ার মতো কাজ করে যাচ্ছেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা পুত্র ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। বিগত নির্বাচনগুলোতেও দলের বিজয়ে তার অবদান বিশাল। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের চিন্তা তার মাথা থেকেই আসে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও তিনি দলের বিজয়ে গুরুত্ব ভ‚মিকা পালন করেন। একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও তিনি সামনে থেকে নির্বাচনী লড়াইয়ের মাঠে নেতৃত্ব দেবেন। ইতোমধ্যেই তিনি সে ঘোষণাও দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিগত নির্বাচনে দলকে বিজয়ী করার জন্য মাঠে ছিলাম। এখন থেকে ধরে নিতে পারেন- আমি মাঠে নেমে পড়েছি। আগামীতে কোথায় কোথায় যেতে হবে-কি করণীয় তা আমি করবো। দলকে ক্ষমতায় আনবো।
সূত্র জানায়, এসব ছাড়াও ২০১৪ সালের বিগত নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে বিএনপি-জামায়াতের জ্বালাও-পোড়াওয়ের সহিংস আন্দোলনের দুঃসহ স্মৃতি জনগণের সামনে তুলে ধরবে দলটি। উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পুনরায় সরকার গঠনে আওয়ামী লীগের অপরিহার্যতাও ভোটার/জনগণের সামনে তুলে ধরতে নতুন বছরে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণায় মাঠে নামবে দলটি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, একাদশ নির্বাচনে বর্তমান সরকারের চলমান উন্নয়নকে ট্রাম্পকার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে চায় আওয়ামী লীগ। ইতোমধ্যে দলীয় এমপি-মন্ত্রী এবং দলের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে নির্বাচনী প্রচারণা এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। নির্বাচনের বছর জুড়ে আরো ব্যাপকভাবে এই প্রচার-প্রচারণা চালাতে চায় দলটি। তাদের মতে, সরকার যে উন্নয়ন করেছে, সেগুলো মানুষের মধ্যে প্রচার করতে পারলে তারাই আবার ক্ষমতায় আসবে।
গত ১২ ডিসেম্বর রাতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল প্যারিস লা গ্রান্ডে আওয়ামী লীগের ফ্রান্স শাখা আয়োজিত প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে দলের জয়লাভের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, আমরা আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করবো, কারণ জনগণ আমাদের পক্ষে। জনগণ আমাদের ভোট দিতে প্রস্তুত। তাই আমাদের সাবধান থাকতে হবে, যাতে কেউ নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করতে না পারে।
এর একদিন আগে ১১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ধানমন্ডিতে দলের সভাপতির কার্যালয়ে বৈঠক করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় একাদশ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালের চেয়েও আরো বড় বিজয় পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন। দলের নেতাদের তিনি বলেন, একটা সুখবর দিতে আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে বসেছি। সুখবর হলো- আমার জরিপে আগামী নির্বাচনে ভালো রেজাল্ট আমরা পাব। ২০০৮ সালের চেয়ে বিপুল ও বেশি ভোট পাব। দেশের মানুষের বিশ্বাস ও সমর্থন আমাদের প্রতি চলে এসেছে। তিনি বলেন, আমি একটি জরিপ করেছি। তাতে এই ফল পাওয়া গেছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় ‘বিজ্ঞানসম্মত’ জরিপে এই বিষয়টি উঠে এসেছে। ভোটের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে হারানোর মতো কোনো দল বাংলাদেশে নেই।
সূত্র জানায়, ক্ষমতায় আসার ব্যাপারে শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের এই আত্মবিশ্বাস দলের নেতাদের উজ্জীবীত করেছে। এমন প্রত্যয় নেতাদের মধ্যে দ্বিগুণ মাত্রায় শক্তির সঞ্চার করেছে। তারা বলছেন, নির্বাচন ও ক্ষমতায় আসা নিয়ে কিছু দ্বিধাদ্ব›দ্ব থাকলেও শীর্ষপর্যায়ে থেকে এমন বক্তব্য সবার আস্থা বাড়িয়ে দিয়েছে।
সূত্র জানায়, ক্ষমতাসীন দলের হাইকমান্ড থেকে ইতোমধ্যে নেতাকর্মীদের জনগণের ঘরে ঘরে গিয়ে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমানের বিদেশে সম্পদ থাকার তথ্য, খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলা, কালো টাকা সাদা করা, তারেক রহমানের মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় সাজা পাওয়াসহ এ ধরনের অন্য বিষয়গুলো জনগণের কাছে প্রচার চালাতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য বলেন, আওয়ামী লীগের হাত ধরেই এদেশের সকল অর্জন। আওয়ামী লীগ যে উন্নয়ন করেছে তাও অন্য কোনো দল বা সরকার করতে পারেনি। তাই আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অবশ্যই বিজয় লাভ করবে। প্রধানমন্ত্রী ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা যা বলেছেন, আমি বলবো তা আমাদের মনের কথা।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএমন এনামুল হক শামীম বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে রাখার জন্য শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নেই। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য এবং বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জনগণ শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকেই বিজয়ী করবে বলে আমাদের বিশ্বাস। তাছাড়া দেশে এই মুহুর্তে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা হলেন শেখ হাসিনা, আর সবচেয়ে জনপ্রিয় দল আওয়ামী লীগ। তাই সব মিলিয়ে আবার ক্ষমতায় যাওয়ার ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।