Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গার্ডিয়ানের সেরা ১০ ছবিতে রোহিঙ্গাদের বিপন্নতা

| প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ২০১৭ সালের সেরা ২৫ ছবি নির্বাচন করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। এতে ঠাঁই পেয়েছে মিয়ানমারে জাতিগত নিধনের ভয়াবহতায় বাংলাদেশমুখী রোহিঙ্গাদের বিপন্নতার চিত্র। ১৮ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে যাওয়ার প্রাক্কালে তোলা হয় ছবিটি।
ফটোগ্রাফার কেভিন ফ্রেয়ার বলেন, সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলাম। ত্রাণের খোঁজে রাস্তায় তখন মানুষের সারি। সাদা ব্যাগে করে যখন তাদের ত্রাণ দেওয়া হচ্ছিল ভাবলাম, ব্যাগভর্তি হয়তো খাবার। কিন্তু এই ত্রাণের পরিমাণ খুব সীমিত হওয়ায় লোকজন এসব ত্রাণ সংগ্রহে যেন রীতিমতো লড়াইয়ে লিপ্ত হলো।
এক পর্যায়ে শিশুরা মাটিতে বসে পড়লো। কিন্তু তারা আবারও উঠে দাঁড়ালো। ভিড়ের মধ্যেই ত্রাণ সংগ্রহে লড়াই করছিল ছবির এই বালক। তার কান্নাই যেন বলে দিচ্ছে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া সব বিভৎসতার কথা। তার ছবিটিই শুধু তুলেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শিশুটির ভাগ্যে কোনও ত্রাণ জুটেছিল কিনা সেটা আমার জানা নেই। ভিড়ের মধ্যে তাকে আমি হারিয়ে ফেলেছি।
গার্ডিয়ানের ওই সেরা ২৫ ছবির মধ্যে লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ারের অগ্নিকাÐ থেকে শুরু করে ইন্দোনেশিয়ায় সিন্ধুঘোটকের আবর্জনা আঁকড়ে ধরা, ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানলের মতো ছবিগুলো ঠাঁই পেয়েছে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে নতুন করে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ শুরু হওয়ার পর জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। পালিয়ে আসা বিপুল সংখ্যক মানুষের মানবিক সহায়তা নিশ্চিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়কে। শরণার্থী শিবিরগুলোতে ক্ষুধা আর রোগের শঙ্কা বিরাজ করছে ভয়াবহভাবে। রোহিঙ্গাদের এই বিপন্নতার মধ্যেই গার্ডিয়ানের সেরা ছবির তালিকায় স্থান পেলো ত্রাণের জন্য অপেক্ষমান ক্রন্দনরত এক রোহিঙ্গা শিশুর ছবি।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম, দেশটির ফার্স্ট লেডি এমিন এরদোয়ান, জর্ডানের রানি রানিয়াসহ জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোও কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে তাদের বিপন্নতার কথা শুনেছে। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে মিয়ানমারে তাদের ওপর সংঘঠিত বর্বরোচিত নির্যাতনের কথা শুনে এক পর্যায়ে মাটিতে বসে পড়েন।
অভিযানের নামে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী খুন, ধর্ষণ, ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া, কুপিয়ে হত্যাসহ বর্বরতার চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করেছে বলে অভিযোগ মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডবিøউ)। যুক্তরাজ্যভিত্তিক আরেক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মানবতাবিরোধী অপরাধ রুখতে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহŸান জানিয়েছে। দুই সংস্থাই মিয়ানমারের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার আহŸান জানিয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ