Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আতঙ্কিত বেলজিয়ামের মুসলিমরা

ব্রাসেলসে হামলায় থমকে আছে সমগ্র শহর

প্রকাশের সময় : ২৪ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : বেলজিয়ামে হামলার পর সন্দেহভাজন একজনকে ধরতে ব্যাপক অভিযান চলছে। ব্রাসেলস বিমানবন্দরের ফুটেজ দেখে সন্দেহভাজন সেই ব্যক্তির ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। ঘটনার পর ব্রাসেলেসে জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা সংকেত। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত সৈন্য। গত মঙ্গলবারে ব্যাসেলসে দুই দফা বিস্ফোরণে নিহত হয়েছে ৩৪ জনের বেশি এবং আহত হয়েছে ২৫০ জন। ব্রাসেলসলের প্রধান বিমানবন্দর ও মেট্টোরেলে বিস্ফোরণের পর পুরো শহর এখনও থমকে আছে। কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে শহরের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা। হামলার সময় সেই বিমানবন্দরে ছিলেন বাংলাদেশি বংশদ্ভূত সুলতানা নাজমা ইসলাম। সুলতানা ইসলাম বলেন, বিমানবন্দরে এসে লাগেজ বুকিং দিয়ে চা খাওয়ার জন্য গেছি তখন আমাদের ডান পাশে একটু দূরে একটা জোরে শব্দ হল। তখন বুঝতে পারলাম বোম অ্যাটাক হইছে। সাথে সাথে লাইট নিভে গেল, অন্ধকার হয়ে গেল, ধোঁয়া আসতে লাগল। তারপরে ওয়াল ভেঙ্গে একাকার হয়ে যায়। আমাদের শরীরে ছোট ছোট টুকরা এসে লাগে। হামলারপর বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এক ব্যক্তিকে সনাক্ত করা হয়েছে। এই ব্যক্তি অন্য আরও দুজন ব্যক্তির সঙ্গে ছিলেন এবং এই দুজন ব্যক্তিকেই আত্মঘাতী হামলাকারী বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। দেশটির ফেডারেল প্রসিকিউটর ফেডরিক ফন লিউই বলছেন সন্দেভাজন সেই ব্যক্তিকে ধরতে বেলজিয়াম জুড়ে অভিযান চলছে। ঘটনার পরপরই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তিনজন বিচারককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। জাবেন্তন বিমানবন্দরে নেয়া ঐ তিন ব্যক্তির একটি ছবি পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে বেলজিয়াম এবং নিহতদের স্মরণে গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় দুপুরে এক মিনিটের নিরবতা পালন করা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা বলেছেন এই বোমা হামলা হলো মুক্ত ও গণতান্ত্রিক সমাজের ওপরে হামলা। আর অপরাধিকে ধরতে সকল রকমের সহযোগিতা ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ব্রাসেলসসের এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে কথা বলেন ব্রাসেলস শহরে বসবাসকারি বাঙ্গালি এবং একজন কাউন্সিলর মোতাহার চৌধুরী। তিনি বলেন, ১৩ ই নভেম্বর ২০১৫ সালে প্যারিসে যে ঘটনা ঘটল তার পরে আমাদের দেশে ৩ নাম্বার সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছিল। ৩ নাম্বার সতর্ক সংকেত মানে খুবই অ্যালার্ট থাকা। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় নিরাপত্তার ফাঁক দিয়ে এরকম একটা ঘটনা আবার ঘটল। যেটা আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক। স্থানীয় মানুষজন বা দেশটির মুসলমানের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে মোতাহার চৌধুরী বলেন,  ব্রাসেলসে ১৯টা জেলা আছে এর মধ্যে আমি একটা জেলার মিউনিসিপালিটি কাউন্সিলর। সরকার অনুমোদিত একটি মসজিদে দেখার জন্য গিয়েছিলাম সেখানকার মুসলমানরা কি অবস্থায় আছে। আমি তাদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি তারা ইসলামের নামে অথবা মুসলমানের নামে যারা এই ধরনের হিংসাত্মক কর্মকা- চালাচ্ছে তারা মুসলমান হতে পারে না। এটা তাদের সাধারণ প্রতিক্রিয়া। আমরা এদেশের নাগরিক বলতে সবাই এক, আমরা সবাই বেলজিয়ান। সুতরাং আজকের যে বেদনা এটা আমাদের সবার। সূত্র: বিবিসি।



 

Show all comments
  • Salim ২৪ মার্চ, ২০১৬, ১০:৫২ এএম says : 0
    ইসলামের নামে অথবা মুসলমানের নামে যারা এই ধরনের হিংসাত্মক কর্মকা- চালাচ্ছে তারা মুসলমান হতে পারে না।
    Total Reply(0) Reply
  • মামুন ২৪ মার্চ, ২০১৬, ১০:৫৩ এএম says : 0
    মুসলিম বিশ্বের অনৈক্যের কারণেই আজ মুসলমানদের আতঙ্কে থাকতে হয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Jesmin ২৪ মার্চ, ২০১৬, ১০:৫৬ এএম says : 0
    ai dhoroner gotoner sathe kono musolman jorito na.
    Total Reply(0) Reply
  • সালমান ২৪ মার্চ, ২০১৬, ১০:৫৭ এএম says : 0
    অপরাধীদের না ধরে মুসলমানদের হয়রানি করা ঠিক হবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • মিলন ২৪ মার্চ, ২০১৬, ১০:৫৭ এএম says : 0
    মুল হোতাদের গ্রেফতার করা হোক।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আতঙ্কিত বেলজিয়ামের মুসলিমরা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ