গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঢাকার কেরানীগঞ্জে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে শুবেল (২৫) নামে এক ভ্যান চালক নিহত হয়েছে। আজ সোমবার ভোরে জিনজিরার বন্দডাকপাড়া জোড়াপুকুর এলাকায় বাসার সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে ফেলে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে স্বজন ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের বড় ভাই রুবেল জানান, রবিবার রাতে খাবার খেয়ে বাসা থেকে বের হয় শুবেল। সারারাত বাসায় ফেরেনি। ভোরের দিকে লোকজনের ডাক চিৎকারে শুনে বাসার সামনে গিয়ে দেখেন শুবেল রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। কে বা কারা তাকে রক্তাক্ত জখম করে বাসার সামনে রেখে গেছে। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহায়তায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক শুবেলকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরও জানান, শুবেল অবিবাহিত ছিল।সে রিকশা, ভ্যান চালাতো। দুপুরে নিহতের ভাই রুবেল বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই শফিউল আজম জানান, নিহতের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের রাজৈর থানার দুর্গাবদ্ধী গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত আব্দুর রউফ হাওলাদার। জিনজিরার বন্দডাকপাড়া এলাকায় শুবেলের বড় ভাই রুবেল বাসা ভাড়া নিয়ে পরিবারসহ থাকেন। তাদের সঙ্গেই থাকতো শুবেল। মাদককে কেন্দ্র করেই তার তাকে হত্যা করা হয়েছে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যোবায়ের বলেন, নিহত ওই যুবক মাদকসেবী ছিল। এছাড়াও সে নানা অপরাধমুলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। মাদক সেবন করে সে রাত বিরাতে ঘোরাঘুরি করে নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড করে বলে জানতে পেরেছি। যারাই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।