পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টুইটারে অটোমান সাম্রাজ্যের ঐতিহাসিক একজন নেতাকে আক্রমণ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর রিটুইটের তীব্র নিন্দা করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। গত বুধবার এক বক্তৃতায় আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের নাম সরাসরি উল্লেখ না করে এরদোগান বলেন, কিছু আরব নেতা তাদের অজ্ঞতা এবং অযোগ্যতাকে ঢাকার জন্য তুরস্কের বিরোধিতা করছে। এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর টুইটে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে টুইট করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন। তার প্রতিক্রিয়ার একদিন পর এরদোগান এই কড়া জবাব দিলেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার রিটুইট দাবি করেন যে, ১৯১৬ থেকে ১৯১৯ সাল পর্যন্ত মদিনায় অটোমান গভর্নর ফাহরেদিন পাশা স্থানীয় আরবদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত করেন এবং তাদের সম্পত্তি চুরি করেন। টুইটে বলা হয়, এই হচ্ছে এরদোগানের পূর্বপুরুষেরা এবং আরবদের সঙ্গে তাদের অতীত। বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের কাছে অত্যন্ত সম্মানিত শহর মদিনায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর রওজা মোবারক অবস্থিত। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ ও তাদের মিত্রদের কাছে পরাজিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তুর্কি অটোমান শাসকেরা মদিনা শাসন করেন। এই বক্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন কালিন। তার এই বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বিভেদমূলক অপপ্রচার ছড়ানোর জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে অভিযুক্ত করেন। তিনি আব্দুল্লাহ বিন জায়েদকে সতর্ক করে বলেন, তুর্কি ও আরবদের একে অপরকে মুখোমুখি করার লক্ষ্যে এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তিনি তার টুইটে বলেন, তৎকালীন সময়ে ব্রিটিশ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ফাহরেদিন পাশা বীরত্বের সঙ্গে মদীনাকে রক্ষা করেছিল। গত বুধবার এরোগানের বক্তব্য ছিল আরো এক ধাপ কঠোর। এরদোগান প্রশ্ন রেখে বলেন, আপনি আমাদের নামে অপবাদ দিচ্ছেন। ফাহরেদিন পাশার মদীনা রক্ষার সময়ে আপনার পূর্বপুরুষেরা কোথায় ছিলেন? গত ৫ জুন সংযুক্ত আরব আমিরাত, সউদী আরব, মিসর ও বাহরাইন প্রতিবেশী কাতারের ওপর অবরোধ এবং অন্যান্য দমনমূলক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তুরস্ক অবস্থান নেয়ার পর থেকেই তুর্কি ও আরব উপসাগরীয় রাষ্ট্রের মধ্যেকার সম্পর্ক শীতল পর্যায়ে নেমে যায়। এসব দেশগুলোর অভিযোগ দোহা ‘চরমপন্থা’ এবং তাদের আঞ্চলিক প্রতিদ্ব›দ্বী ইরানকে সমর্থন করছে। যদিও তাদের এই অভিযোগ কাতার প্রত্যাখ্যান করেছে। তুরস্ক কাতারে একটি সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করেছে এবং সেখানে তাদের সৈন্য মোতায়েন করেছে। পাশাপাশি আরব উপদ্বীপের ছোট এই দেশটিকে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহ করে সহায়তা করছে। আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।