নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
হ্যাটট্রিক শিরোপার পথে বড় একধাপ এগিয়ে গেল খুলনা। প্রথম ইনিংসে ঢাকাকে মাত্র ১১৩ রানে গুটিয়ে প্রথম দিনেই কাজটা সহজ করে রাখল আব্দুর রাজ্জাকের দল। ২৬ রানের মধ্যে ঢাকার শীর্ষ তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে কাজটা সহজ করে দেন মুস্তফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেন। বাকিটা নিপুণভাবে সারেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বাকি সাতজনই তার ঘুর্ণী বোলিংয়ের শিকার।
কুয়াশা ও আলোক স্বল্পতায় দিনের খেলা শুরু হয় বেলা পৌনে একটায়। শেষটাও হয়েছে আগেভাগে। সব মিলিয়ে খেলা হয়েছে ৪৩ ওভারের মত। খুলনা ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায় ৪.৫ ওভার। তা থেকে কোন অঘটন ছাড়াই তারা তুলে নিয়েছে ২৩ রান।
একই কারণে ১৯তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের বাকি তিন ম্যাচও পূর্ণতা পায়নি। খেলা শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে ও শেষ হয়ে আগে।
বিকেএসপিতে প্রথম স্তরের ম্যাচে টস জিতে বল বেছে নেন খুলনা অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাক। তার দিদ্ধাতকে সঠিক প্রমাণ করতে সময় নেননি তার বোলাররা। নতুন বলে দুই উইকেট নেন মুস্তাফিজ, একটি রুবেল। এরপর লাল বল একটু পুরোনো হতে যতক্ষণ। রকিবুল হাসান ও শুভগত হোমের ৪৫ রানের সেই ক্ষণ পার হওয়ার পরেই রুদ্রমুর্তিতে দেখা দেন মিরাজ। বাকি সাত উইকেটের সবকটিই তুলে নেন এই অফ-স্পিনার। এজন্য ১১.৪ ওভারে তার খরচ হয় মাত্র ২৪ রান, এর মধ্যে ৫ ওভার ছিল মেডেন। প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে এটি মিরাজের সেরা বোলিং ফিগার। আগের সেরা ছিল ৫০ রানে ৬ উইকেট।
প্রথম স্তরের আরেক ম্যাচে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রংপুরের বিপক্ষে ৭৭ ওভারে ৬ উইকেটে ২৮০ রান করেছে বরিশাল বিভাগ। দিনের শেষ ভাগে সেঞ্চুরি থেকে এক রান দুরে থাকতে আউট হয়েছেন সোহাগ গাজী। ১০৪ বলে ১৩ চার ও ১ ছক্কায় আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ইনিংটি সাজান এই স্পিন অল-রাউন্ডার। তার আগে ফিফটি পূর্ণ করেই আউট হন আল-আমিন। তবে ৫১ রান করে ব্যাটে আছেন মোহাম্মাদ নুরুজ্জামান। সুভাশিস রায় ও তানবির হায়দার নেন ২টি করে উইকেট।
ওদিকে প্রথম দিনেই দ্বিতীয় স্তরের শীর্ষ দল রাজশাহীর রাশ টেনে ধরেছে ঢাকা মেট্রো। রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে খেলাই হয়েছে অবশ্য মাত্র ৫৩ ওভার। তা থেকে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে ২১০ রান তুলে নিয়েছে মেট্রো। এর তিনটিই আবার তাইজুল ইসলামের শিকার। ফিফটি পূর্ণ করে শতকের দিকে এগুতে থাকা দুই ব্যাটসম্যান সাদমান ইসলাম (৭৫) ও মার্শাল আয়ুবকে (৬৭) আউট করার আগে সৌকত আলীর উইকেটটিও তুলে নেন তাইজুল।
সিলেট ও চট্টগ্রামের মধ্যকার দ্বিতীয় স্তরের আরেক ম্যাচে অবশ্য স্বস্তিতে নেই কোন দলই। ৬৭.৪ ওভারে ২১৫ রানে চট্টগ্রাম গুটিয়ে গেলেও দিন শেষ হওয়ার আগে তারা ৫৪ রানে তুলে নিয়েছে সিলেটের ৩ উইকেট। চট্টগ্রামের ইনিংসকে কিছুটা সম্মানজনক পর্যায়ে যেতে পেরেছে ইয়াসির আলীর অনবদ্য ৮১ রানের কল্যাণে। এনামুল হক জুনিয়র ও আবুল হাসান নেন ৩টি করে উইকেট। জাতীয় লিগের শেষ দুই ইনিংসেও ৫টি করে উইকেট নিয়েছিলেন এনামুল হক জুনি.।
স ং ক্ষি প্ত স্কো র
ঢাকা-খুলনা
ঢাকা বিভাগ ১ম ইনিংস : ৩৮.৪ ওভারে ১১৩ (মজিদ ৯, রনি ৪, জাহিদুজ্জামান ৮, রকিবুল ২৮, শুভাগত ২১, তাইবুর ৮, নাদিফ ৬, শরিফ ০, অপু ১৪, শাহাদাত ১০, সাব্বির ৪*; রুবেল ০/২৩, মুস্তাফিজ ২/১৬, রাজ্জাক ১/৪৩, জিয়াউর ০/৬, মিরাজ ৭/২৪)।
খুলনা ১ম ইনিংস : ৪.৫ ওভারে ২৩/০ (এনামুল ১২*, সৌম্য ১১*; শরিফ ০/৮, শাহাদাত ০/১০, শুভাগত ০/৫, অপু ০/০)।
বরিশাল-রংপুর
বরিশাল ১ম ইনিংস : ৭৭ ওভারে ২৮০/৬ (রাফসান ২৫, ফজলে রাব্বি ১, সালমান ৮, আল আমিন ৫০, মোসাদ্দেক ৩৫, নুরুজ্জামান ৫১*, সোহাগ ৯৯, শামসুল ২*; শুভাশিস ২/৩১, সাজেদুল ১/৫১, সাদ্দাম ০/৩৮, আরিফুল ১/৫৬, তানভির ২/৫০, সোহরাওয়ার্দী ০/৩১, নাসির ০/১৫)।
চট্টগ্রাম-সিলেট
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস : ৬৭.৪ ওভারে ২১৫ (সাদিকুর ৪৬, জসিম ৮, মুমিনুল ৯, তাসামুল ৩৮, ইয়াসির ৮১, সাজ্জাদুল ০, সাইদ ১৩, সাইফউদ্দিন ৫, রনি ০, রানা ২, সাখাওয়াত ০*; আবু জায়েদ ২/৫৮, আবুল হাসান ৩/৩৪, এবাদত ১/৪৮, শাহানুর ০/২৬, এনামুল ৩/৪৪)।
সিলেট ১ম ইনিংস : ১৮.১ ওভারে ৫৪/৩ (সায়েম ১৬*, শানাজ ১০, ইমতিয়াজ ১৯, জাকির ১, রাজিন ৪*; সাইফ উদ্দিন ০/১৩, রানা ১/১০, রনি ১/২১, সাখাওয়াত ১/১০)।
ঢাকা মেট্রো-রাজশাহী
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস : ৫৩ ওভারে ২১০/৪ (শামসুর ১৮, সাদমান ৭৫, সৈকত ৫, মার্শাল ৬৭, আশরাফুল ২২*, মেহরাব ২২*; শফিউল ১/৪৬, ফরহাদ রেজা ০/৩৮, তাইজুল ৩/৬৭, দেলোয়ার ০/৪৪, শান্ত ০/১৪)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।