পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্কের কৌশল নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে পাকিস্তানের। বিশ্ব পরিস্থিতি ও ট্রাম্পের নতুন নীতির আলোকে পাকিস্তান তাদের নীতি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। নীতি গ্রহণের আগে সংসদ, কেবিনেট এবং জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সম্মতি নেবে সরকার। এরপর নতুন নীতির ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসলামাবাদ। সূত্র জানিয়েছে, এই নীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হলো ‘ইটের বদলে পাটকেল’ নীতি। এই নীতি অনুসারে মার্কিন আচরণ অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পাকিস্তান। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সফরকালে পাকিস্তানের নেতৃবৃন্দ পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন, ট্রাম্প সরকার যদি পাকিস্তানের প্রতি তাদের ‘আরো করার’ দাবি এবং দোষারোপের নীতি না বদলায়, তাহলে পাকিস্তানও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপারে তাদের সম্পর্ক ও সহযোগিতার নীতি বদলে ফেলবে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পররাষ্ট্রনীতি সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা দুই দেশের সম্পর্কের উত্থান-পতনের দিকগুলো খতিয়ে দেখছেন। সূত্র বলছে, পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনো আন্তরিকতাই দেখায়নি যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসন বরাবরই হাক্কানি নেটওয়ার্ক ও সন্ত্রাসীদের নিরাপদ ঘাঁটিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পাকিস্তানকে বলে আসছে। তবে, পাকিস্তান পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছে যে, তাদের ভূমি সন্ত্রাসীদের নেটওয়ার্ক থেকে এখন প্রায় পুরোপুরি মুক্ত। সূত্র আরো জানায় যে, ট্রাম্প প্রশাসনের দাবির জবাবে পাকিস্তানী নেতৃবৃন্দ তাদের কাছে এসব সন্ত্রাসী ও তাদের ঘাঁটির অবস্থান সম্পর্কিত তথ্য চেয়েছে, মার্কিন দাবি অনুসারে যারা পাকিস্তানের ভূমি থেকে তৎপরতা চালাচ্ছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এখনো কোনো প্রমাণ বা সুস্পষ্ট তথ্য দেয়নি। ইসলামাবাদ মার্কিন কর্তৃপক্ষকে এটাও বলেছে যে, আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য ভারতের ভূমিকা গ্রহণযোগ্য নয়। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে আশ্বস্ত করে বলেছে যে, পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কের উন্নয়ন চায় তারা এবং পাকিস্তানের আপত্তিগুলো নিয়ে তারা আলোচনা করবে। পাকিস্তান এরইমধ্যে চীন, রাশিয়া ও অন্যান্য দেশের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ডন, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।