নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা, ব্যাঙ্গালুরু (ভারত) থেকে :তাসকিন,আরাফাতকে হারিয়ে এতোটাই ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ দল, কঠিন হৃদয়ের মানুষ হয়েও মাশরাফি আবেগকে সামাল দিতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অঝোরে ঝরেছে তার চোখের পানি। প্রকৃতই সেনাপতি, সহযোদ্ধাদের হারানোর বেদনাটা ভালই বোঝেন তিনি। কিন্তু সাকিব যেনো অন্য গ্রহের বাসিন্দা। চেন্নাইয়ের পরীক্ষাগারে বিতর্কিত পরীক্ষায় তাসকিনের বোলিং অ্যাকশনকে নিষিদ্ধ করায় আইসিসি’র বিপক্ষে ফুঁসে উঠেছে গোটা বাংলাদেশ। এই ঘটনায় ইয়ান চ্যাপেল,শোয়েব আক্তাররা পর্যন্ত সমব্যথী। অথচ টি-২০তে বাংলাদেশের সবচেয়ে ধারাবাহিক ২ বোলারকে হারিয়েও তাদের শুন্যতা অনুভব করছেন না মাশরাফির ডেপুটি সাকিব আল হাসান Ñ‘ওরা নেই বলে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। তাসকিন শেষ ছয় মাস কিংবা তার বেশি সময় ধরে আমাদের হয়ে ভালো বল করছিল। সে দলের মূল খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন। তবে যেটা হয়েছে সেটার মানে এই না যে সব শেষ হয়ে গেছে। সে হয়ত সামনের কয়েক ম্যাচই খেলতে পারছে না। আমি এখনও বিশ্বাস করি, আমাদের দল যেমন তাতে করে সামনের ম্যাচে ভালো করা সম্ভব।’
ওই ধাক্কার প্রতিফলন পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সুপার টেনের ম্যাচে। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ম্যাচ হেরে স্বয়ং মাশরাফি পর্যন্ত মিডিয়ার এই ধারনার সঙ্গে দ্বিমত পোষন করেননি। অথচ, তাসকিন,আরাফাত সানিকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে এসে নাকি আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি ছিল না সাকিবেরÑ‘সবার মনে কী চলছিল সেটা আমার বোঝা কঠিন! এ বিষয়ে মন্তব্য করা কঠিন। তবে আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।’
দলের সিনিয়র খেলোয়াড়ই তিনি নন, তিনি বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক। বর্তমান টি-২০ দলের সহ-অধিনায়কও বটে। দলে এক ঝাক তরুন ক্রিকেটারের সমাবেশ বলে তাদের মনোবল ফিরিয়ে আনতে সাকিবেরও বিশেষ ভুমিকা রাখার কথা। অথচ, জুনিয়রদের অনুপ্রানিত করতে কোন ভুমিকা রাখার প্রয়োজন মনে করছেন না সাকিব। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে সে কথাই পরিস্কার করে বলেছেনÑ‘ এখানে সবাই পরিনত। এখানে উৎসাহিত করার কোন কিছু আছে বলে আমি মনে করি না। সবচেয়ে বড় উৎসাহের জায়গা আপনি দেশের জন্য খেলছেন। আপনার মাঠে নামা মানে দেশের জন্য কিছু একটা করার সুযোগ। একজন খেলোয়াড় সেভাবেই চেষ্টা করবে।’
গত বছর মেলবোর্নে পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিংয়ে বাংলাদেশের হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে এখন যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে অনেক বেশি আগ্রাসী মনোভাব ফুটে ওঠে। ভারতের এক মিডিয়ার এ প্রশ্নেও সাকিবের উত্তরটা মিডিয়ার কৌতুহল মেটাতে পারেনি। যে প্রশ্নের উত্তরে সাকিব বলেছেনÑ‘ আমার কাছে মনে হয় না, কোন খেলোয়াড় এসব নিয়ে চিন্তা করে। এটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, নিউজ, মানুষের মুখে শোনা কথা। আমি কখনোই অনুভব করি না, কোন খেলোয়াড় এভাবে চিন্তা করে কোন একটি ম্যাচ নিয়ে। আমি নিশ্চিত ভারতীয় দলের কেউ এটা নিয়ে এভাবে চিন্তা করে না।’
এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলে ভ্রমনক্লান্তি নিয়ে ধর্মশালায় কন্ডিশনের সঙ্গে ধাতস্ত হওয়ার সুযোগ পায়নি বাংলাদেশ দল। ধর্মশালায় পা রেখে মাত্র দেড় দিনের ব্যবধানে প্রথম পর্ব শুরু করতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে। ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে ইডেনের ফ্লাট পীচে সুপার টেনের প্রথম ম্যাচে অবতীর্ন হওয়ার আগে সময় পেয়েছে মাত্র ২দিন। সেখানেও একদিন কেটে গেছে ভ্রমন আর বিশ্রামে। সেখান থেকে ব্যাঙ্গালুরে বাংলাদেশ দল। ভ্রমন ক্লান্তি, সীমিত বিরতি দিয়ে দিয়ে একটার পর একটা ম্যাচÑএখানেও আইসিসি’র ফিকশ্চার নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তবে এখানেও আইসিসি’র মুখপাত্র হয়ে মিডিয়ায় কথা বলেছেন সাকিবÑ‘ বলবো না এটা খুব একটা সমস্যার বিষয়। ভ্রমন শুধু আমরাই করছি এমনটাতো নয়। সবগুলো দেশই ভ্রমন করছে। এটা নিয়ে অন্য কিছু চিন্তা করার কারন আমি দেখছি না।’
সহ-অধিনায়ক হিসেবে ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে আসলে তার কাছে দলের সর্বশেষ ফিটনেস রিপোর্ট জানতে চাইবে মিডিয়া, এটাই স্বাভাবিক। দলের সহ-অধিনায়ক হয়ে, একজন সিনিয়র ক্রিকেটার হয়ে সবার খোঁজ খবর রাখবেন, এটাও স্বাভাবিক। অথচ পেটের পীড়ায় তামিম অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে পারেননি, তামীমের শারীরিক অবস্থার আপডেট দিতে পারেননি তিনি সংবাদ সম্মেলনে সাকিবÑ‘আমি এখনো নিশ্চিত নই কাল ( আজ) সে খেলতে পারবে কি না। আমার সঙ্গে এখনো তার দেখা হয়নি। তার কন্ডিশন কি সেটাও আমি বলতে পারছি না। এই ‘তার’ এবং ‘সে’ যাকে ইঙ্গিত করেছেন, সেই তামীম কিন্তু সাকিবের সবচেয়ে কাছের বন্ধুও বটে। দু’জনকেই মানিকজোড় হিসেবে জানতো এতোদিন মিডিয়া। তাহলে কি বন্ধুত্বের ফাটল ধরেছে তাদের ?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।