পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রান্ড মুফতি আহমেদ আত-তাইয়্যেব বলেছেন, আল-আকসা মসজিদ মুসলমানদের কাছে মসজিদুল হারাম এবং মসজিদে নববীর (সা.) মতোই পবিত্র স্থান। তিনি বলেন, ‘জেরুজালেম শহরের একটি পাথরের টুকরার মালিকানাও ইহুদিদের নেই। সেখানকার ইট-কাঠ-পাথর সব মুসলমানদের সম্পদ। কাজেই তারা জেরুজালেমে তাদের মন্দির থাকার যে দাবি করে তা ভিত্তিহীন।’ আল-আজহারের গ্রান্ড মুফতি গত শনিবার কায়রোয় এক বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। আল-আকসা মসজিদ মুসলমানদের কাছে কেন পবিত্র স্থান তার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি কুরআনের আয়াত ও হাদিসের বাণী তুলে ধরেন। আহমেদ আত-তাইয়্যেব বলেন, ইসলাম আবির্ভাবের পূর্বেও জেরুজালেম শহরে আরবরা বসবাস করত। তিনি বলেন, ওল্ড টেস্টামেন্টকে (তাওরাত) উদ্ধৃত করে ইহুদিরা আল-আকসা মসজিদকে তাদের সম্পদ বলে যে দাবি করে তার কোনো ভিত্তি নেই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেম শহরকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় তার নিন্দা জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ও ইহুদিবাদী ইসরাইলের ষড়যন্ত্র রুখে দেয়ার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। মুসলমানদের প্রথম ক্বেবলা আল-আকসা মসজিদসমৃদ্ধ শহর জেরুজালেম ১৯৬৭ সালে ইসরাইল দখল করে নেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফিলিস্তিন জবরদখল করে প্রতিষ্ঠিত অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলকে জাতিসংঘ স্বীকৃতি দিলেও জেরুজালেম শহরের ওপর ইসরাইলের দখলদারিত্বকে স্বীকৃতি দেয়নি এই বিশ্বসংস্থা। অথচ সেই শহরটিকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন ট্রাম্প। তার এই ঘোষণার বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্বে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।