Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিব্বতের মধ্যদিয়ে রেলপথ বানাবে চীন, নেপাল পাবে বাণিজ্যের নতুন পথ

প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : চীন ও নেপাল কৌশলগত রেলপথ নির্মাণে সম্মত হয়েছে। বেইজিং সফররত নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলির আহ্বানে সাড়া দিয়ে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত রেলপথ নির্মাণে সম্মত হয় চীন। তিব্বতের মধ্যদিয়ে এ রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এটি নির্মিত হলে বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য ভূমি-পরিবেষ্টনে আবদ্ধ নেপালকে আর এককভাবে ভারতের ওপর নির্ভর করতে হবে না।

চীন-নেপাল ট্রানজিট এবং পরিবহনসহ আরো ১০টি চুক্তি সই করা হয়েছে। ওলির সাত দিনের চীন সফরের দ্বিতীয় দিনে এসব চুক্তি হয়। ক্ষমতায় আসার পর ওলির এটাই প্রথম চীন সফর। গতকাল চীনে পৌঁছানোর পর বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেন চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন ওলি।
চীনা প্রধানমন্ত্রীকে ওলি বলেছেন, তিনি বিশেষ মিশন নিয়ে চীন সফরে এসেছেন। তবে এ নিয়ে সাংবাদিকদের আর কোনো ব্যাখ্যা দেননি ওলি। নয়া সংবিধান গ্রহণকে কেন্দ্র কওে নেপালের মদেশী জনগোষ্ঠী বিক্ষোভ-প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার ফলে ভারত-নেপাল সীমান্ত পথে প্রায় ছয় মাস অবরোধ সৃষ্টি হয়েছিলো। গত মাসে এ অবরোধের অবসান হয়। ভারত এ অবরোধ আরোপ করেছিল বলে অভিযোগ ছিলো নেপাল সরকারের।
তবে, নেপালের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে দিল্লি। কিন্তু অবরোধের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাপনের ক্ষেত্রে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছিল নেপালের জনগণকে। আর এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে বেইজিং সফরের সময় চীনের সঙ্গে আরো সরবরাহ পথ খুলতে চেয়েছেন কেপি ওলি। নেপালের সঙ্গে অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল গঠনের সম্ভাব্যতা যাচাই করে ও দেখতে রাজি হয়েছে
চীন। সিনহুয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তিব্বতের মধ্যদিয়ে রেলপথ বানাবে চীন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ