Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মন্ত্রিসভায় যোগ দিচ্ছেন সুচি

প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মিয়ানমারের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মন্ত্রিসভায় গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সুচির নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন। নতুন এই মন্ত্রিসভায় ১৮ জন সদস্যের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট থিন কিয়াও পার্লামেন্টের অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে দাখিল করবেন এবং পরবর্তীতে দপ্তর বণ্টন করা হবে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য প্রেসিডেন্ট হতে না পারা সুচি এর আগে বলেছিলেন তিনি সরকারের কোনো পদে থাকবেন না। পদে না থেকেও তিনি সরকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে নির্বাচন-পরবর্তী সমাবেশে ঘোষণা করেছিলেন এনএলডির এই নেত্রী। তাই হঠাৎ করেই সুচির মন্ত্রিসভায় যোগ দেয়ার খবর কিছুটা বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে। সুচিকে কোন মন্ত্রণালয় দেয়া হবে তা এখনো প্রকাশ না করা হলেও গুজব ছড়িয়ে পড়েছে তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেয়া হতে পারে। কিন্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিলে সুচিকে পার্লামেন্টের আসন ছাড়ার সাথে সাথে দলীয় কর্মকা- থেকেও অব্যাহতি নিতে হবে।
অপর এক খবরে বলা হয়, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দলের প্রধান অং সান সুচিকে মন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছেন। এখন প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মন্ত্রী হয়ে আশা পূরণ করতে যাচ্ছেন তিনি। প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের সিনিয়র মন্ত্রী হলে সুচি সেনানিয়ন্ত্রিত জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকগুলোতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে এনএলডির কোনো কোনো সূত্র সুচির পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে তিনি কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিচ্ছেন তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। সম্ভবত তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। পার্লামেন্ট স্পিকারের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।
এর আগে গত ৮ নভেম্বরের ঐতিহাসিক নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় পায় সুচির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। জান্তা সরকার প্রণীত সংবিধান অনুযায়ী বিদেশি স্বামী-সন্তান থাকায় প্রেসিডেন্ট পদের অযোগ্য সুচি। তাই দল থেকে একজন প্রক্সি প্রেসিডেন্ট নিয়োগ দেবেন তিনি। সংবিধান অনুযায়ী মোট তিনজন মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারবেন। তারা হচ্ছেনÑ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ থেকে একজন, নি¤œকক্ষ থেকে একজন ও সেনাবাহিনীর সংরক্ষিত প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে একজন। নির্বাচনের আগে থেকেই সুচি বলে আসছেন, প্রেসিডেন্ট যেই হোক না কেন তিনি তার ওপরে থাকবেন। নির্বাচনের পর সুচি নিজে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেনদরবার চালিয়ে গেছেন। কিন্তু সংবিধানের বিতর্কিত ৫৯ (এফ) ধারা সংশোধন বা বাতিল করতে সেনাবাহিনীর মন গলাতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত প্রক্সি প্রেসিডেন্টই ভরসা। ওয়াশিংটন পোস্ট, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মন্ত্রিসভায় যোগ দিচ্ছেন সুচি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ