Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অশান্ত গাজায় টানা হামলা

প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে জেরুজালেম রক্ষার অঙ্গীকার হামাসের

| প্রকাশের সময় : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : অশান্তি জিইয়ে রেখেই গাজায় ফের দফায় দফায় বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। গাজার যে অংশ ফিলিস্তিনের সশস্ত্র রাজনৈতিক সংগঠন হামাসের নিয়ন্ত্রণে, সেখান থেকে দিনের শুরুতেই দু’টি রকেট হামলার খবর পাওয়া যায়। ইসরাইলি বাহিনীর দাবি, এর জবাবেই অন্তত তিনটি হামাস-ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে গত বৃহস্পতিবার হামলা চালিয়েছে তারা। এ সব ঘাঁটি হামাসের যুদ্ধ প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্র ভাÐার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল বলে অভিযোগ তাদের। ইসরাইলকে লক্ষ্য করে রকেট হামলার কথা যদিও স্বীকার করেনি হামাস। ফিলিস্তিন জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার দিনভর ডজন-খানেকেরও বেশি বিমান-হানা চালিয়েছে ইসরাইল। যার মধ্যে বেশ কয়েকটি আছড়ে পড়ে গাজার উত্তরে একটি শরণার্থী শিবির লাগোয়া হামাসের নৌঘাঁটি এবং সেনাঘাঁটিতে। মৃত্যুর খবর না পাওয়া গেলেও, এর জেরে আশপাশের বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। আহতও বেশ কয়েকজন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুসালেমকে রাতারাতি ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা করায়, গাজার পরিস্থিতি দিনে-দিনে আরও খারাপ হবে বলেই আশঙ্কা করছেন কূটনীতিকরা। তাদের একাংশ বলছেন, গাজা থেকে যে কোনও হামলা হলেই সে জন্য হামাসকে দোষারোপ করে থাকে ইসরাইল। এ বার জবাব দেওয়াটাও শুরু হয়ে গেল! জমি ছাড়তে নারাজ হামাসও। স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই চালিয়ে আসছে এই সংগঠনটি। বৃহস্পতিবার ছিল হামাসের প্রতিষ্ঠা দিবস। সেই উপলক্ষে গাজার আল-কাতিবা শহরে ব্যাপক জমায়েত হয়েছিল। হামাসের এই জমায়েতটাই ইসরাইলের আসল লক্ষ্য ছিল কি না, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও। অপর এক খবরে বলা হয়, ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী গত বৃহস্পতিবার গাজা উপত্যকায় পালিত হয়েছে। ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গাজা উপত্যকায় আয়োজিত মহাসমাবেশে হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেন, ইসরাইল নামে কোনো দেশ নেই। তাই এর কোনো রাজধানীও থাকতে পারে না। ইসমাইল হানিয়া বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণ বিশেষ করে পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস (জেরুজালেম) শহরকে সুরক্ষা দিতেই হামাসের জন্ম। এই পবিত্র শহর নিয়ে মার্কিন ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দুনিয়াজুড়ে যে ঐক্য তৈরি হয়েছে তা ফিলিস্তিনি জাতির জন্য একটি বিরাট বিজয়। দুনিয়ার সব মুক্তিকামী মানুষ এ বিষয়ে আমাদের পাশে রয়েছে। ইসরাইল-আমেরিকার নতুন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ প্রতিরোধ গড়ে তোলায় ফিলিস্তিনিদের প্রশংসা করেন ইসমাইল হানিয়া। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার জিইয়ে রাখতে হামাস সদস্যরা যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তা প্রশংসার দাবিদার। ফিলিস্তিনিদের তৃতীয় ইন্তিফাদার মধ্যেই বৃহস্পতিবার মিছিল-সমাবেশের মধ্য দিয়ে হামাসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়। দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি হাজারও সাধারণ মানুষ এতে অংশ নেন। ১৯৮৭ সালে প্রথম ইন্তিফাদার সময় হামাস প্রতিষ্ঠিত হয়। ইসরাইলকে ধ্বংসের জন্য শপথ নেয়া হামাসকে একটি ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে ইসরাইল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্য আরো কয়েকটি বিশ্ব শক্তি। ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামাস সদস্যদের হামলার ধরনের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হচ্ছে আত্মঘাতী বোমা হামলা। রয়টার্স, জেরুজালেম পোস্ট।



 

Show all comments
  • Hasan Jaan ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ২:২৬ এএম says : 0
    Allah help them
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জেরুজালেম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ