পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিউ ইয়র্কে হামলাকারী বাংলাদেশি আকায়েদ উল্লাহ প্রথমবারের মতো আদালতের সামনে হাজির হয়েছেন। তবে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গত বুধবার বিকালে আদালতে কথা বলেছেন তিনি। মার্কিন ম্যাজিস্ট্রেট জাজ ক্যাথেরিন এইচ পার্কার তাকে জামিনঅযোগ্য আটকের নির্দেশ দিয়ে আগামী ১৩ জানুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করেছেন। সাত বছর আগে পরিবার ভিসায় বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যান আকায়েদ। তার বিরুদ্ধে বোমা হামলার চেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা করেছে পুলিশ। নিউ ইয়র্কের দক্ষিাণাঞ্চলের মার্কিন জেলা আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। গত ১১ ডিসেম্বর ম্যানহাটনের বাস টার্মিনালে বোমা হামলার চেষ্টা করেন আকায়েদ। বিস্ফোরণে তিনিসহ কয়েকজন আহত হন। এরপর সবাই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতালের বিছানা থেকেই আদালতে অংশ নেন তিনি। জেলা জজ ক্যাথরিন পার্কার তাকে তার অধিকার পড়ে শোনান। জবাবে মাথা নেড়ে আকায়েদ বুঝিয়ে দেন তিনি বুঝতে পেরেছেন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো যে তিনি জজকে দেখতে পারছেন কী না। তিনি জবাবে বলেন হ্যা আমি পাচ্ছি।
তবে কোনও শপথ নেননি আকায়েদ। আদালতে হাজিরার সময় আইনজীবীদের জানানো হয়, যে সে কোনও জামিন পাবে না। তার আইনজীবীও সেটা মেনে নেন। আদালত পাবলিক ডিফেন্ডার এমি গ্যালিশিওকে আকায়েদের অ্যাটর্নি নিয়োগ দেন। কারণ আকায়েদের অর্থনৈতিক সামর্থ নেই। এদিকে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দফতরের মন্ত্রী কির্সেটন এম নিলসনের কাছে আকায়েদের তথ্য চেয়ে এক চিঠিতে অনুরোধ করেছেন সিনেটের জুডিশিয়ারি কমিটির চেয়ারম্যান চাক গ্রাসলি। গ্রাসলি বলেছেন, আকায়েদের কোনও অপরাধের রেকর্ড আছে কিনা। কিংবা কোনও সন্ত্রাসী সন্দেহভাজন তালিকায় তার নাম ছিলো কী না। ডিভি লটারি পাওয়া চাচার সুবাদেই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের সুযোগ পেয়েছিল নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে বাস টার্মিনালে গত সোমবারের বিস্ফোরণের ঘটনায় সন্দেহভাজন আকায়েদ উল্লাহ। প্রায় সাত বছর আগে অভিবাসী হিসেবে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় গিয়ে স্থায়ী হয় ২৭ বছরের আকায়েদ। সে গ্রিন কার্ডধারী এবং যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ নাগরিক। গ্রাসলি বলেন, েেকউ লটারি জিতে কিংবা কারও আত্মীয়ের সুপারিশে আমরা বুঝতে পারি না সে কেমন। বিচার বিভাগ এই কেসসহ সবগুলোই খতিয়ে দেখবে। যারা যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি করতে চায় তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনবো আমরা। এফবিআই এর সহকারী পরিচালক উইলিয়াম সুইনি বলেন, আকায়েদ উল্লাহ বড় আকারের হামলার পরিকল্পনা থেকে সরে আসে। তার শরীরের সঙ্গে বাঁধা পাইপ বোমা দিয়েই বিস্ফোরণ ঘটাতে চায় সে। তিনি বলেন, তার আগের সবার মতো আমাদের ধারণা সে নিজেও প্রযুক্তির মাধ্যমে সহিংস ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ হয়েছিলো। এমন ধারার আক্রমণগুলোর কোনও উদ্দেশ্য খুঁজে পাওয়া যায় না যতক্ষণ সেটা অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে মেলানো না হয়। আমরা এজন্য স্থানীয়দের সহায়তা চাই। একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।