মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আগস্টের শেষের দিকে রাখাইনে নৃশংসতা শুরুর প্রথম এক মাসে কমপক্ষে ৬৭০০ রোহিঙ্গা মুসলিমকে হত্যা করা হয়েছে। ফ্রান্সভিত্তিক ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ) বৃহস্পতিবার এ কথা বলেছে। বার্তা সংস্থা এএফপি’কে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে থাইল্যান্ডের পত্রিকা দ্য নেশন। ২৫ শে আগস্ট সহিংসতা শুরুর পর নিহতের যে সংখ্যা এখন পর্যন্ত বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পাওয়া গেছে নিহতের এই সংখ্যা তার মধ্যে সর্বোচ্চ। ওই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর কমপক্ষে ৬ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে গত তিন মাসে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর এই নৃশংসতাকে জাতি নিধন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র।
তবে তারা এ পর্যন্ত কত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো তথ্য প্রকাশ করে নি। এমএসএফ বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, রাখাইনে কমপক্ষে ৬৭০০ রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কমপক্ষে ৭৩০ জনই হলো শিশু, যাদের বয়স ৫ বছরের নিচে। এমএসএফ এ বিষয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে কমপক্ষে ২৪৩৪টি পরিবারের কাছে গিয়েছে। তারা তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে ৬টি জরিপ চালিয়েছে। তাতে জানার চেষ্টা করা হয়েছে এক মাসের মধ্যে কি কি ঘটনা ঘটেছিল রাখাইনে। এমএসএফের মেডিকেল বিষয়ক পরিচালক সিডনি ওয়াং বলেন, মিয়ানমারের সহিংসতা থেকে বেঁচে থাকা মানুষদের সঙ্গে আমরা সাক্ষাত করেছি। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। এসব মানুষ এখন বাংলাদেশে অস্বাস্থ্যকর শিবিরগুলোতে গাদাগাদি করে অবস্থান করছে। আমরা যে তথ্য পেয়েছি জরিপে তা বিস্ময়কর। যেমন সংখ্যার দিক দিয়ে, তেমনি ভয়াবহতার দিক দিয়ে। জরিপে অংশ নেয়া পরিবারগুলো বলেছে কিভাবে সহিংসতায় তাদের পরিবারের সদস্য নিহত হয়েছেন। কি নৃশংসভাবে তাদের হত্যা করা হয়েছে অথবা আহত করা হয়েছে তাও বলেছেন তারা। জরিপে দেখা গেছে, গুলিতে আহত হয়ে মারা গেছেন নিহতদের শতকরা ৬৯ ভাগ। এর বাইরে শতকরা ৯ ভাগকে ঘরের ভিতরে রেখে বাইরে থেকে আগুন ধরিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বেপরোয়া প্রহারে নিহত হয়েছেন শতকরা ৫ ভাগ মানুষ। জরিপে দেখা গেছে, ৫ বছরের কম বয়সী শতকরা প্রায় ৬০ ভাগ মারা গেছে গুলিতে। তবে মিয়ানমারের সেনারা কোনো রকম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা স্বীকার করেছে তাদের অভিযানে শুধু ৪০০ মানুষ মারা গেছে। এর মধ্যে ৩৭৬ জনই রোহিঙ্গা ‘সন্ত্রাসী’। অভিযানের প্রথম দু’এক সপ্তাহে তারা মারা যায়। কিন্তু এমএসএফ বলছে, সবচেয়ে বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ শুরুর পর। সেনাবাহিনী ও স্থানীয় উগ্রপন্থীরা আগস্টের শেষের দিকে এই অভিযানে এসব মানুষকে হত্যা করেছে। এটাই প্রমাণ হিসেবে দেখা যায় যে, রোহিঙ্গারা টার্গেটে পরিণত হয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।