পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পটুয়াখালীর বাউফলের নিরাময় ক্লিনিকে ভুয়া চিকিৎসকের ভুল অস্ত্রোপচারের শিকার মাকসুদা বেগমকে ৯ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর মধ্যে অস্ত্রোপচারকারী ভুয়া চিকিৎসক রাজন দাসকে দিতে হবে ৫ লাখ টাকা। বাকিটা দেবে বাউফলের নিরাময় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ওই টাকা ভুল অস্ত্রোপাচারে ক্ষতিগ্রস্থ নারীকে পরিশোধ করতে হবে। গতকাল বুধবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শশাঙ্ক শেখর সরকার। পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনের পক্ষে শুনানি করেন শামসুদ্দিন বাবুল। মাকসুদা বেগমের পক্ষে ছিলেন ইমরান এ সিদ্দিক। এছাড়া ক্লিনিকের পরিচালক ও নার্সের পক্ষে মো. নজরুল ইসলাম শুনানি করেন।
পরে শাসুদ্দিন বাবুল বলেন, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে মাকসুদা বেগমকে নয় লাখ টাকা পরিশোধ করে প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত। আর পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনকে বিষয়টি তদারকির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ভুল অস্ত্রোপচারের শিকার হাইকোর্টে করা তার আবেদনে ২৮ লাখ ৬৩ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলেন। তবে ওই আবেদনের ওপর শুনানি বা আদেশ হয়নি বলে আইনজীবীরা জানান। ভুয়া চিকিৎসক রাজন দাসের আসল নাম অর্জুন চক্রবর্তী। গত ১১ ডিসেম্বর তিনি হাইকোর্টে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করলে তাকে বাউফল থানার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করার নির্দেশ দেন আদালত।
একটি জাতীয় দৈনিকে গত ২২ জুলাই সাড়ে তিন মাস পর পেট থেকে বের হল গজ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়, গত মার্চে সন্তান প্রসবের জন্য ওই নারী বাউফলের নিরাময় ক্লিনিকে নেয়া হয়। অস্ত্রোপচার করে মাকসুদার একটি মেয়ে হয়। কয়েক দিন ক্লিনিকে থাকার পর তারা বাড়ি ফেরেন। এক মাস পর মাকসুদা পেটে তীব্র ব্যথা অনুভব করায় আবারও ওই ক্লিনিকে যান। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওষুধ দিয়ে ব্যথা কমানোর চেষ্টা করেন। পরে পটুয়াখালীর এক চিকিৎসকের পরামর্শে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন ওই নারী। সেখানে ১২ জুলাই মাকসুদার পেট থেকে গজ বের করা হয়।
চিকিৎসকেরা সে সময় জানান, দীর্ঘদিন পেটের ভেতর গজ থাকায় খাদ্যনালিতে অনেকগুলো ছিদ্র হয়ে গেছে। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন গত ২৩ জুলাই আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী মো. শহিদ উল্লা। হাইকোর্ট সেদিন পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধান ও পটুয়াখালীর বাউফলের নিরাময় ক্লিনিকের মালিককে তলব করে। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ আনা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। পরে পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনের কাছে ঘটনার বিষয়ে প্রতিবেদন চান। সে প্রতিবেদনেই চিকিৎসক রাজন দাসের ভুয়া লাইসেন্সের বিষয়টি ধরা পড়ে।
বাংলাদেশ ভ্রমণে ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার সতর্ক বার্তা
স্টাফ রিপোর্টার : আবারও বৃটেন এবং অষ্ট্রেলিয়া তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণ সতর্কতা বার্তা জারী করেছে। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভ্রমণ বিষয়ক অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সতর্কবার্তা হালনাগাদ করা হয় গতকাল। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার বড় ধরণের ঝুঁকি রয়েছে। বিশ্বাসযোগ্য তথ্য থেকে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে, জঙ্গিরা বাংলাদেশে পশ্চিমা স্বার্থকে টার্গেট করে হামলার পরিকল্পনা করতে পারে। নতুন সংযোজিত বার্তায় আরো বলা হয় ১৬ ডিসেম্বরের মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলো সন্ত্রাসী হামলার জন্য সুযোগ হতে পারে। এ অবস্থায় অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে বাংলাদেশ ভ্রমণ সতর্কতা দেয় বৃটেন। এতে জনসমাগমে হামলা হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। বৃটিশ সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে হালনাগাদ করা সতর্কবার্তায় বলা হয় সারা বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি রয়েছে। সর্বশেষ সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল ২০১৭’র মার্চে। এতে নিরাপত্তা বাহিনীকে টার্গেট করা হয়েছিল। ভবিষ্যতে জনসমাগমগুলো টার্গেট করে হামলা হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া, বিদেশি নাগরিকদের সরাসরি টার্গেট করে হামলা হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এ পরিস্থিতিতে বৃটিশ নাগরিকদের বাংলাদেশে সাবধানে চলাচল করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে সতর্কবার্তায়। স্থানীয় নিরাপত্তা বিষয়ক কর্তৃপক্ষগুলোর সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়।
বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীগুলো এ বছর ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে হামলা চেষ্টার ষড়যন্ত্র ভেস্তে দেয় উল্লেখ করে বলা হয় যেসব স্থানে জনসমাগম বেশি হয় এবং যেসব স্থানে বিদেশি নাগরিকরা সচরাচর গিয়ে থাকেন সেসব জায়গাগুলোতে হামলার ঝুঁকি বেশি। এমন স্থানগুলো এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।