Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৩৪ কোম্পানির ওষুধ প্রত্যাহারে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদনে ‘ব্যর্থ’ ২০ কোম্পানির সব ওষুধ এবং ১৪টি কোম্পানির এন্টিবায়োটিক সরবরাহ, বিক্রি বন্ধ ও বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয় গঠিত বেঞ্চ গতকাল সোমবার এই আদেশ দেন।
আবেদনকারীদের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ওষুধ প্রশাসনের পরিচালক ও বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ বিবাদীদের এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
২০ কোম্পানির সব ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে হবে। তা হলো- এক্সিম ফার্মাসিউটিক্যাল, এভার্ট ফার্মা লিমিটেড, বিকল্প ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ডলফিন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ড্রাগল্যান্ড লিমিটেড, গ্লোব ল্যাবরেটরিজ (প্রাইভেট) লিমিটেড, জলপা ল্যাবরেটরিজস লিমিটেড, কাফমা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, মেডিকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ন্যাশনাল ড্রাগ ফার্মা লিমিটেড, নর্থ বেঙ্গল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, রিমো কেমিক্যালস লিমিটেড (ফার্মা ডিভিশন), রিড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, স্কাইল্যাব ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, স্পার্ক ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, স্টার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, সুনিপুণ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, টুডে ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ট্রপিক্যাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এবং ইউনিভার্সেল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
১৪ কোম্পানির এন্টিবায়োটিক বিক্রি করা যাবে না। তা হলো- আদ-দ্বীন ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড, আলকাদ ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড, বেলসেন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, বেঙ্গল ড্রাগস অ্যান্ড কেমিক্যালস (ফার্মা) লিমিটেড, ব্রিস্টল ফার্মা লিমিটেড, ক্রিস্টাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, মিল্লাত ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, এমএসটি ফার্মা অ্যান্ড হেলথকেয়ার লিমিটেড, অরবিট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ফার্মিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড, ফিনিক্স কেমিকেল ল্যাবরেটরি লিমিটেড, রাসা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও সেভ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের এক আবেদনে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৭ জুন ওই ২০ কোম্পানিকে সাত দিনের মধ্যে ওষুধ উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি ১৪টি কোম্পানিকে একই সময়ের মধ্যে এন্টিবায়োটিক উৎপাদন বন্ধের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। ৩৪টি কোম্পানির অনুমোদন বাতিলে ‘বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা’ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং এসব কোম্পানির লাইসেন্স ও এন্টিবায়োটিক উৎপাদনের অনুমোদন কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়। চার কোম্পানি এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেলেও হাইকোর্টের আদেশই বহাল থাকে।  
হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের নির্দেশনার পরও ওই ৩৪ কোম্পানির ওষুধ বাজারে বিক্রি হচ্ছে বলে গত ২৮ জুন সংবাদ প্রকাশ করে একটি পত্রিকা। ‘মানহীন ৩৪ কোম্পানির ওষুধ এখনও বাজারে’ শিরোনামে ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ৩১ জুলাই একটি সম্পূরক আবেদন নিয়ে আবারও হাইকোর্টে আসে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। সেখানে ওই ৩৪ কোম্পানির ওষুধ সরবরাহ ও বিক্রি বন্ধের পাশাপাশি বাজার থেকে প্রত্যাহারের  নির্দেশনা চাওয়া হয়।
গতকাল সোমবার বিষয়টি হাইকোর্টে শুনানির জন্য  ওঠে। আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। আদেশের পর তিনি বলেন, “এখনও ওই ৩৪ কোম্পানির ওষুধ বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। এ কারণে আবেদন করা হলে আদালত আদেশ দিয়েছে।”



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ৩৪ কোম্পানির ওষুধ প্রত্যাহারে হাইকোর্টের নির্দেশ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ