পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বৈরী আবহাওয়া কেটে শীতেরা প্রতাপ বাড়তে বসতে শুরু করেছে। উত্তর মেরু অঞ্চল থেকে উড়ে আসতে শুরু করেছে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি। অন্যান্য বছরের মত এবারও হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি উড়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে দেশের অন্যান্য স্থানের মত মীরসরাই উপজেলার উপকূলীয় কেওড়া বন এলাকায়। দলবদ্ধ কিছু পাখি এখন ঠাঁই নিয়েছে এখানকার জনকোলাহলমুক্ত পরিবেশে জলাশয়ে। ভিনদেশী এসব পাখির ঝাঁক দেখা যাচ্ছে মুহুরী প্রকল্প ইছাখালী মঘাদিয়ার বিভিন্ন জলাশয় এবং মহামায়া লেক এলাকায় । বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চল এখন কলকাকলিতে ভরে উঠেছে। সেখানে কিচিরমিচির শব্দ শুনে অনেকেই ঘাড় ঘুরিয়ে দেখছে মুক্ত পাখির বিচরণ। কৌতুহলী অনেকেই কাছ থেকে দেখতে গেলেই ঝাঁক বেঁধে উড়াল দিচ্ছে সমূদ্রের গায়ে আর আকাশের পানে। পাখির দল কিছুক্ষণের জন্য আকাশে উড়ে তী² দৃষ্টি রাখে নিচের দিকে। প্রতি বছর মিরসরাই উপজেলার এই সাহেরখালী, মঘাদিয়া, মুহুরী প্রকল্প, বগাচতর উপকূলে সমূদ্রের কোল ঘেষে সুন্দরী বাইন কেওড়া গাছের ফাঁকে ফাঁকে ঝাকে ঝাকে অতিথী পাখির সারি সত্যিই এখানকার প্রকৃতিতে আনে ভিন্ন রকম সমৃদ্ধতা । কিন্তু এক শ্রেণির পাখি শিকারীদের উৎপাতে বিচলিত সচেতন মহল । অনেকে আবার প্রতিবাদের মুখরিত হবার চেষ্টা করলে ও শিকারীদলের প্রভাবশালি হাঁক ডাকে চুপষে যায় প্রতিবাদে। এভাবে তো আর চলে না। এভাবে কি বিলীন হয়ে যাবে আমাদের প্রকৃতি থেকে অতিথী পাখিদের আনাগোনা।
উপকূলীয় বনাঞ্চলে স¤প্রতি রীতিমতো বন্দুক নিয়েই অনেক শিকারীকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে বলে প্রত্যক্ষদর্শিরা জানায়। আবার কিছু দুষ্টচক্র নানা ফাঁদে অতিথীপাখি, বকের ছানা, নানান জাতের বক সহ, পানকৌড়ি, ডাহুক, মাছরাঙ্গা, নানান জাতের পাখি ধরে বাজারে ও বিক্রি করছে। কেউ প্রতিবাদ করলে প্রয়োজনে আড়াল করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ও বিক্রি করার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে মলিয়াইশ, মঘাদিয়া, ওচমানপুর, ইছাখালী এলাকায় এমন অভিযোগ পাওয়া যায়।
মিরসরাইয়ের উপকূলীয় ভারপ্রাপ্ত বন রেঞ্জ কর্মকর্তা এরফানুল হক জানান ইতিমধ্যে বিভিন্ন সময় আমরা পাখি ধরা কিংবা শিকারীদের বিষয়ে অভিযান করেছি। এখনো আমরা সজাগ রয়েছি। যে কেউ আমাদের এমন অপরাধের তথ্য প্রদান করলে আমরা তাৎক্ষনিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো বলে তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন পাখি নিধন ও বিক্রি বন্য আইনে দন্ডনীয় অপরাধ। ভৌগলিক কারণে আমাদের দেশে প্রায়ই ঝড় জলোচ্ছাসের কবলে পড়তে হয়। আর এ প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে বিশেষ করে উপকুল এলাকায় গাছ-পালা আর পাখ পাখালীর অভয়ারন্য প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি।
প্রাকৃতিক বৈচিত্রে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। আর বৈচিত্রময় মিরসরাইএর উপকূলীয় অঞ্চল এর অনন্য প্রাকৃতিক সম্পদ নানান অতিথি পাখিদের আগমন। অথচ সামান্য ভোগের কারণে প্রকৃতির এ অমূল্য সম্পদকে নিধন করছে কতিপয় হায়েনা। অবিলম্বে এ সকল অতিথি পাখি নিধন কারীদের এবং গাছ হত্যাকারীদেও দমন প্রয়োজন। পাখপাখালি, ব প্রাণীকুল ও গাছপালা জীববৈচিত্রের বিরাট অংশ জেনেও আইন প্রয়োগে কঠোরতা নেই বলেই আমরা হারাচ্ছি আমাদের জীববৈচিত্র এবং নিজের হাতেই আমরা ধ্বংস করছি আমাদের পরিবেশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।