পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে দুর্নীতি ও অনিয়ম ছাড়াই বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের ছাড়পত্র মিলছে। বিদেশে কর্মী প্রেরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায় দুর্নীতি, অনিয়ম, হয়রানি ও প্রতারণা বরদাশত করা হবে না। দুর্নীতির দরুন ৯টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি গতকাল বুধবার সকালে ফার্ম গেইটের নিকটে দি ডেইলি স্টারের সেমিনার হলে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘অভিবাসন কূটনীতি: সাফল্য, সীমাবদ্ধতা ও করণীয়’ শীর্ষক এক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। প্রবাসী মন্ত্রী বলেন,
অভিবাসন ব্যয় কমানো, ভিসা ট্রেডিং বন্ধ করা, নতুন শ্রমবাজার তৈরি করা, দক্ষ কর্মী প্রেরণ, ডায়াসপোরাদের সম্পৃক্ত করা, নারী কর্মীদের সুরক্ষাসহ অভিবাসী কর্মীদের সার্বিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ বিধান করাই বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য। অভিবাসন খাতে এ বছর রেকর্ড সংখ্যক ৯ লাখ ৬৪ হাজার কর্মীর বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থান লাভ করেছে। অভিবাসন ক‚টনীতিতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তারপরেও অভিবাসন ব্যয় কমিয়ে আনাসহ নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সংলাপটি আয়োজনে সহযোগিতা করে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। সেমিনারে মূল প্রতিপাদ্য উপস্থাপন করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন ইসরাফিল আলম এমপি, সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কে.এম মহসিন, বিএমইটির মহাপরিচালক সেলিম রেজা, বিএমইটির পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. মোঃ নুরুল ইসলাম প্রমূখ। সংলাপটি সঞ্চালনা করেন ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশনের মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান খান। মূল প্রতিপাদ্য উপস্থাপনায় ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ২০১১ সালে ঢাকায় কলম্বো প্রসেস, ডিএফএমডি শীর্ষক সম্মেলন আয়োজন, ২৯টি দেশে লেবার এ্যাটাচি নিয়োগ, কয়েকটি দেশের সাথে স্বল্প ব্যয়ে বা বিনা খরচে জিটুজি পদ্ধতিতে শ্রমিক প্রেরণসহ বিভিন্ন দেশে আনডকুমেন্টেড বাংলাদেশী কর্মীদের ডকুমেন্টেড করা অভিবাসন ক‚টনীতিতে বেশ বড় সাফল্য বয়ে এনেছে। কিন্তু তারপরও কর্মী প্রেরণে নিয়ন্ত্রিত অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ করাটাই সরকারের জন্য এখনও সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বিদেশে বাংলাদেশী শ্রমিকদের বেশিরভাগেরই পরিচয় এখনো থ্রী ‘ডি’-এর মধ্যে সীমিত, যার মানে উরৎঃু, উঁংঃ ধহফ উধহমবৎড়ঁং. কার্যকর অভিবাসন কূটনীতিই আমাদের অভিবাসী শ্রমিকদেরকে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্ত করতে পারে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর বলেন, জনসংখ্যার প্রাচুর্যময় দেশ বাংলাদেশ। দেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেলেও সেই অর্থে কর্মসংস্থান বাড়েনি। আমাদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জায়গাই হলো বিশ^ পরিমন্ডল। বিশ^ শ্রমবাজারে জায়গা করে নিতে হলে দক্ষ জনশক্তি তৈরিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বিএমইটির মহাপরিচালক সেলিম রেজা বলেন, বিশ^ শ্রমবাজারে বাংলাদেশের অবস্থান মজবুত করতে হলে দক্ষ জনশক্তি তৈরি এবং পাঠানোর বিকল্প নেই। অভিবাসনের ক্ষেত্রে যত ঝুঁকিই আসুক সেটা মোকাবেলার প্রথম প্রস্তুতিই হলো দক্ষ জনশক্তি তৈরি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।