পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
গাজা উপত্যকা লক্ষ্য করে আবারো হামলা শুরু করেছে ইসরাইলি যুদ্ধবিমান। গতকাল বুধবার ফিলিস্তিনি ভূখন্ড থেকে ইসরাইলে রকেট হামলার জবাবে এই বিমান হামলা শুরু করেছে তেল আবিব। এক বিবৃতিতে ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলছে, গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ফিলিস্তিনের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, উপত্যকার দক্ষিণের খান ইউনিস সিটির হামাসের দুটি সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে ইসরাইল ওই হামলা চালিয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, হামলায় এক ফিলিস্তিনি সামান্য আহত হয়েছেন। গাজা থেকে ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে ছোড়া একটি রকেট ভূপাতিত করার দাবি জানানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই উপত্যকায় বিমান হামলা শুরু করেছে তেল আবিব। জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা দেয়ার পর থেকে পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। মঙ্গলবারও পশ্চিম তীর, গাজা ও জেরুজালেমে বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। বিক্ষোভে অংশ নেয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর টিয়ার গ্যাস, গুলি ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্টের বরাত দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর বলছে, পশ্চিম তীরে বিক্ষোভের সময় ইসরাইলি বাহিনীর রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাসে অন্তত ৩৬ জন আহত হয়েছে। অন্যদিকে গাজা সীমান্তে আরো ৯ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। অপর এক খবরে বলা হয়, পূর্ব জেরুজালেমকে অবশ্যই ফিলিস্তিনের রাজধানীর স্বীকৃতি দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছে তুরস্ক। গতকাল বুধবার দেশটির রাজধানী আঙ্কারায় ওআইসির জরুরি বৈঠক শুরুর সময় একথা জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার ওআইসির ডাকা জরুরি বৈঠকে অংশ নিচ্ছে ৫০টিরও বেশি দেশ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী স্বীকৃতি দেওয়ার পর এই বৈঠক ডাকেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রথমত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে হবে। আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ১৯৬৭ সীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী পূর্ব জেরুজালেমকে এর রাজধানী স্বীকৃতি দেয়ার জন্য অন্যান্য দেশগুলোকে উৎসাহিত করতে হবে আমাদের। আনাদোলু, মিডল ইস্ট মনিটর, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।