চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
রবিউল আউয়াল ঐ পবিত্র মাস, যাতে নবুয়তের সূর্য এবং রিসালাতের চন্দ্র উদিত হয়ে স্বীয় জ্যোতি দ্বারা সমস্ত জগতকে আলোকিত করেছেন। ১২ই রবিউল আউয়াল সোমবারের শুভ ভোরে হযরত খলীল (আ:) এর দোয়া এবং হযরত মসীহ (আ:) এর সুসংবাদ বাস্তবতার (শরীর বিশিষ্ট) রূপ নিয়ে প্রকাশিত হলো। পৃথিবীতে যাঁর অস্তিত্বের ফলেই কুফরি এবং গোমরাহীর অন্ধকার অদৃশ্য হয়ে গেল। জগতের কোণায় কোণায় আলোকময় হয়ে গেল। জাহানের ঘুমন্ত নিস্তেজ শক্তিগুলো জাগ্রত হয়ে কর্মে ঝাঁপিয়ে পড়ল। যে সমস্ত লোক মানুষের চরিত্র হারিয়ে রক্ত পিপাসু হিং¯্র জানোয়ারের ন্যায় ছিল সে সমস্ত লোক, পরিপূর্ণ মানুষের মর্যাদায় সমাসিন হয়ে সোনার মানুষে পরিণত হলো। তৌহীদের পতাকাধারীগণ সেই দিনকে স্মরণ করে যারপরনাই আনন্দ প্রকাশ করে এবং বিশ্ব মানবতার ত্রাণকর্তা বিশ্ব সভ্যতার প্রতিষ্ঠাতা হুজুর আহমদ মোজতবা, মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) এর নূরানী চরণদ্বয়ে সালাত - সালামের হাদীয়া পেশ করে উভয় জগতের সৌভাগ্য অর্জন করে। রিসালাতের আলোক রশ্মি ধারনকারী হুজুর (সা:) এর আকৃতি, প্রকৃতি গুণাবলী এবং পূর্ণ বৈশিষ্ঠ্যাবলীর বর্ণনাসহ তাঁর শানে নাতের মাধ্যমে নিজেদেরে অন্তর আত্মাকে জ্যোতির্ময় করে। সর্বোপরি তজ্জন্য মহান আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। কিন্তু কিছু হতভাগ্য এমনো রয়েছে,যারা নিজেরাই যে এই মহান সৌভাগ্য থেকে কেবল বঞ্চিত তা নয়, অন্যদেরকেও তা থেকে বঞ্চিত করার জন্য অপচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি প্রত্যেক বৎসর তারা এই পবিত্র মাসে মফত লিপলেট ইত্যাদি ছাপিয়ে হাজার হাজার মানুষের কাছে প্রচার করছে এবং এ কথা জোর গলায় বলছে যে, মীলাদুন্নবী (সা:) উদযাপন করা, দাঁড়িয়ে সালাত-সালাম পড়া শিরক এবং বিদাত। মীলাদ-সালাম পাঠকারী মুশরিক ,বিদাতী এবং জাহান্নামী। তাদের নামাজ, যাকাত,রোজা, হজ্ব এবং অন্যান্য ভাল কাজ কিছুই আল্লাহর কাছে গ্রহন যোগ্য হবে না। নাউযুবিল্লাহি মিন জালিকা। সুতরাং এ বিষয়ে আমি (লেখক) মুসলমান ভাইদের উদ্দেশ্যে কিছু লেখা প্রয়োজনবোধ করেছি। মহান আল্লাহই সবচেয়ে বড় সহায়ক। দিবস কেন পালিত হয় ?
পৃথিবীর সব সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠান উদযাপন করার নিয়ম নীতি প্রাচীন যুগ থেকে প্রচলিত। প্রত্যেক সম্প্রদায় এবং প্রত্যেক ধর্মের লোকেরা নিজেদের অনুষ্ঠানকে আনন্দ সহকারে উদযাপন করে থাকে। সেই অনুষ্ঠানটির সামাজিক গুরুত্বও রয়েছে অপরিসীম। বিশেষতঃ ইসলাম ধর্মে যে সমস্ত অনুষ্ঠানাদি রয়েছে সেগুলো সব দিক দিয়ে বড়ই গুরুত্ব রাখে। কিন্তু এই সমস্ত (ইসলামের) অনুষ্ঠান রেওয়াজ রীতি অথবা অনর্থক খেলাধুলার জন্য নিদিষ্ট হয়নি বরং এগুলো পালনের মধ্যে নিহিত রয়েছে অতীতের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি এবং মহান মনীষিদের ঐতিহাসিক তত্ত¡। উক্ত অনুষ্ঠানাদি কায়েম রাখা ও মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, যে সমস্ত পবিত্র মনীষিগন এই পৃথিবীতে আগমন করতঃ অত্যাচার, নিপীড়নকে কবরদিয়ে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং আল্লাহর রাস্তায় দৃষ্টান্তহীন আত্মবিসর্জন দিয়ে নিজেদের কার্যক্রম এবং নৈপুণ্যের সর্বশ্রেষ্ট নমুনা পেশ করেছেন, যা হক এবং সততার পতাকাকে উড্ডীন করে বাস্তবতার পিচ্ছিল ময়দানে এসে বাতিল উপাস্যগুলোকে হামেশার জন্য ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত করেছে,তাদের স্মরণকে সর্বদা অবশিষ্ট রাখার মহান লক্ষ্যে। এতে তাদেরকে স্মরণ করার সাথে সাথে তাদের সৌন্দর্যমন্ডিত এবং এতিহাসিক কার্যক্রম ও সজীব থাকে এবং মুসলমানদের আমলে তেজস্বীতা, আবেগের মধ্যে স্পৃহা,জ্ঞানের মধ্যে প্রশস্ততা, চিন্তার মধ্যে উদারতা সৃষ্টি হয় এবং মুসলমানগণ আবারো নিজেদের হারানো ঐতিহ্যকে পাওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করে সর্বোপরি নিজেদের চরিত্র এবং কর্মপন্থাকে তাদের পূর্বসূরীদের মডেলে ঢেলে সাজাতে সক্ষম হয়।
দিবস উদ্্যাপন করা কতটুকু বিধান সম্মত? আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন-“ওয়াজাক্কিরহুম বি আইয়ামিমল্ল্যাহ্্” “ এবং ( হে রাসুল (সা:) আপনি তাদেরকে আল্লাহর দিন সমুহ স্মরণ করিয়ে দিন”(সূরা ইবরাহীম, আয়াত নং : ৫।
এতে কোন সন্দেহ নেই যে,সমস্ত রজনী এবং দিবসসমুহ মহান আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন এবং সব দিবস একমাত্র আল্লাহরই কিন্তু দেখতে হবে সেগুলো কোন দিন, যেগুলোর ব্যাপারে উদযাপনের বিশেষ বিধান রয়েছে। এ প্রসঙ্গে সর্বশ্রেষ্ট মুফাসসির হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) হযরত উবায়দ ইবনে কাব (রা:), হযরত মুজাহিদ (রা:), হযরত কাতাদাহ (রা:) সহ অন্যান্য তফসীরকারগণ বলেছেন- আল্লাহর দিবসসমূহ দ্বারা উদ্দেশ্য ঐ সমস্ত দিন, যাতে মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের বিশেষ অনুগ্রহ প্রদান করেছেন। (ইবনে জরীর,খাজেন, মাদারেক,মুফরেদাত)
ঈমানদার ব্যক্তি মাত্রই জানে যে, হুজুর (সা:) আল্লাহ তা’য়ালার সবচেয়ে বড় অনুগ্রহ । অবশিষ্ট অনুগ্রহরাজি তাঁর (সা:) বদৌলতেই আমরা পেয়েছি। যদি তিনি না হতেন, তবে কিছুই হত না। অতএব, যেদিন (মানুষ) এই মহান নিয়ামতপ্রাপ্ত হেেয়ছে, সেদিনকে স্মরণ করত: মানুষকে এ কথা বলা উদ্দেশ্য,” ঐ দিন যে দিন আল্লাহ তায়ালা নবী করিম (সা:) কে মু’মিনদের উপর প্রেরণ করে বড়ই অনুগ্রহ করেছেন ” উক্ত খোদায়ী বিধানকে যথাযথ পালন করা। তাই আল্লাহ তা’য়ালার হুকুমের বাস্তবায়ন করা বেদাত তো নয়ই, উপরন্তু তা-রহমত এবং বরকতের কারণ হয়ে থাকে। এতে ঐ সমস্ত দিবসগুলা অনুমান করা যায়, যে দিবসগুলোর মধ্যে বড় বড় ঘটনাবলী সংঘটিত হয়েছে এবং বুজুর্গানে দ্বীনের উপর আল্লাহর অনুগ্রহ নাযিল হয়েছে । আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন- “ ( হে মাহবুব!) আপনি বলে দিন- আল্লাহর অনুগ্রহ এবং দয়া প্রাপ্তির জন্য তারা ( মুসলমান) যেন খুশী উদযাপন করেন।” (সূরা ইউনুস, আয়াত নং : ৫৮)
এই আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, মহান আল্লাহর অনুগ্রহ এবং দয়ার উপর খুশী উদয্পান করা আল্লাহর নির্দেশ এবং নবী করিম (সা:) কে রাহমাতুল্লিল আলামীন করে প্রেরণ করা মহান আল্লাহ তা’য়ালার পক্ষ থেকে রহমত এবং বড়ই অনুগ্রহ। তাই হুজুর আকরাম (সা:) এর আগমন (পৃথিবীতে) উপলক্ষ্যে প্রত্যেক বৈধ খুশী উদযাপন করা উপরোক্ত আয়াতের বাস্তবায়ন মাত্র।
প্রমাণিত হলো যে প্রিয় নবীর (সা:) জন্মদিবস উদযাপন করা বেদাত নয় বরং শরীয়ত সম্মত উত্তম কাজ। এ কথাও স্মরণ রাখা প্রয়োজন যে, মীলাদুন্নবীতে (সা:) খুশী উদযাপন কেবল মুমিন, মুসলমানরাই করবেন। দুশমন, বিরূদ্ধবাদীরা করতে পারে না বরং তাদের কষ্ট হয়। যেমন- প্রিয় নবীর (সা:) বেলাদতের সময় শয়তানের হয়েছিল।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) বলেন- যখন নবী করিম (সা:) মক্কা হতে মদীনায় হিযরত করলেন,তখন ওখানকার ইহুদীরা আশুরার (১০ই মুহররম) রোজা পালন করত। নবী করিম (সা:) তাদেরকে আশুরার রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা বললো , এটি অত্যন্ত পবিত্র দিন, এ দিনে আল্লাহ তা’য়ালা বনী ইসরাঈলকে তাদের প্রাণের দুশমন ফেরাউন থেকে রক্ষা করেছিলেন। তাই আমরা উক্ত দিনের সম্মানার্থে রোজা পালন করি। তদুত্তরে হুজুর (সা:) বললেন, “ আমরা হযরত মুসা (আ:) এর বিজয়ের দিন উদযাপনের ব্যাপারে তোমাদের চাইতে অধিক হকদার। অতঃপর হুজুর (সা:) নিজে ও রোজা রাখলেন এবং সাহাবায়েকেরাম (রা:) - কে রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। (সহীহ বুখারী)
প্রিয় পাঠকবৃন্দ ! একটু চিন্তা করুন, যে দিন আল্লাহ তা’য়ালা বনী ইসরাঈলকে ফেরাউন থেকে মুক্তি দিলেন। সে দিনটি বনী ইসরাঈলের নিকট সম্মানিত এবং হুজুর (সা:) এর নিকটও সম্মানিত হওয়া স্বীকৃত। বনী ইসরাঈল সে দিনটিকে সম্মানার্থে উদযাপন করে। এতে হুজুর (সা:) বেদাত ফতোয়া দিলেন না বরং তা পালনের ব্যাপারে নিজেকেই অধিক উপযুক্ত ঘোষনা করে নিজেও উদযাপন করলেন এবং সাহাবায়ে কেরামকে (রা:) ও উদযাপনের নির্দেশ দিলেন। এখন যদি মুসলমানরা বদর দিবস এবং মক্কা বিজয় দিবস পালন করে তাহলে তা কিভাবে বেদাত হবে। (যে দিন বনী ইসরাঈল ফেরাউন থেকে মুক্তি পেল, সে দিনটিকে হুজুর (সা:) এবং সাহাবীগন (রা:) পালন করলেন।) অতএব ,যে দিন বিশ্বজগতের মুক্তিদাতা তাশরীফ এনেছেন, যার আগমনের ফলে জগত কুফর-শিরক, জুলুম- অত্যাচার, মূর্খতা এবং গোমরাহী থেকে মুক্তি পেল সে দিনটি উদযাপন করা কোন যুক্তিতে বেদাত হতে পারে ? আল্লামা ইসমাঈল হক্কী ( রা:) তাঁর বিখ্যাত তফসীর রূহুল বয়ানে ( মুহাম্মাদুর রাসুলুল্ল্যাহ্্) এর ব্যাখ্যায় লিখেছেন - মীলাদুন্নবী (সা:) উদযাপন করা হুজুরকে (সা:) সম্মান করার অর্ন্তভূক্ত । যদি তাতে শরীয়তবিরোধী কোন কার্যক্রম না থাকে। (রূহুল বয়ান, ৫ম খন্ড,পৃষ্ঠা-৬৬১)
ইমাম জালালউদ্দীন সুয়ুতী (রা:) বলেন- “মীলাদুন্নবী (সা:) উদযাপন করা আমাদের জন্য মুস্তাহাব। ”
আল্লামা ইসমাঈল হক্কী (রা:) আরো বলেন-হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী (রা:) এবং ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতী (রা:) মীলাদের ভিত্তি পবিত্র হাদীস শরীফ দ্বারা প্রমাণ করেছেন এবং যারা মীলাদুন্নবী কে (সা:) বেদাত বলেছেন তাদের বিরোধীতা করেছেন । (প্রাগুক্ত)
ইমাম রাব্বানী মুজাদ্দেদে আলফে সানী (রা:) মকতুবাত শরীফে মীলাদুন্নবী (সা:) সম্পর্কে লিখেছেন- সুন্দর কন্ঠে কুরআন শরীফ তিলাওয়াত প্রিয় নবী (সা:) শানে নাত পরিবেশন এবং আলোচনা সভা করার মধ্যে কোন অসুবিধা নেই। (মকতুবাত ইমাম রাব্বানী)
হযরত শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দেস দেহলভী (রা:) বলেন -আমি পবিত্র মক্কা শরীফে ১২-ই রবিউল আউয়ালের সময় প্রিয় নবীর (সা:) মওলুদ শরীফে ছিলাম। এতে লোকেরা তাঁর উপর দরূদ শরীফ পাঠ, বেলাদত শরীফের আলাচনা এবং ঐ সমস্ত মুজিজা বর্ণনা দিচ্ছিলেন,যা তাঁর বেলাদতের সময় প্রকাশ পেয়েছিল, আমি সেখানে নূর দেখেছি- “ অতপর আমি চিন্তাকরে বুঝতে পারলাম যে, ইহা ঐ সমস্ত ফেরেস্তোদের নূর যারা এ জাতীয় অনুষ্ঠানে নিযুক্ত হয়ে থাকে। আমি দেখলাম,ফেরেস্তার নূর এবং (আল্লাহর) রহমতের নূর পরস্পর মিশে গেল ” (ফুয়ুজুল হারামাঈন, পৃষ্ঠা-২৭)
শাহ সাহেব ( রা:) অন্য স্থানে আরো বললেন- আমার সম্মনিত পিতা আমার নিকট বর্ণনা করেন- আমি ঈদে মীলাদুন্নবীর (সা:) সময় খুবই ঝাকজমকভাবে খাওয়ার ব্যবস্থা করতাম। (দুর্ভিক্ষার কারণে) এক বৎসর বুনা চনা ব্যতীত অন্য কোন উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি, সেগুলি আমি লোকদের মধ্যে বিলি করলাম। অতঃপর রাত্রে আমি প্রিয় নবী (সা:) কে স্বপ্নে দেখলাম যে, বুনা চনা গুলো তাঁর (সা:) সামনে রয়েছে এবং তিনি অত্যন্ত আনন্দময় অবস্থায় আছেন। (দুররুছ্্ ছমীন)
শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস হযরত মাওলানা শাহ আবদুল আজীজ মুহাদ্দিস দেহলভী (রা:) বলেন- অধম বাৎসরিক দুটি মাহফিল করে থাকি। ১. ওফাত শরীফের আলোচনা এবং ২. হাসান এবং হুসাইনের (রা:) শাহাদতের আলোচনা সভা । এতে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানগুলোতে দরূদ শরীফ পাঠ , কোরান খানি, জীবনী আলোচনা , সালাত-সালাম পরিবেশন এবং সর্বশেষ ফাতেহা পাঠান্তে তার্ব্রাুক বিতরণ করা হয়। যদি এসব নাজায়েজ হত তাহলে অধম কখনো তা করতাম না। (ফতোয়ায়ে আজীজিয়া, ১ম খন্ড)
হাজী এমদাদ উল্লাহ মুহাজেরে মক্কী (রা:) বলেন- অধমের আমল ছিল যে, মীলাদুন্নবী (সা:) শরীক হওয়া। শুধু তা নয় বরকতময় মনে করে তা প্রত্যেক বৎসর নিজে উদযাপন করতাম এবং তাতে আমি অনেক আনন্দবোধ করতাম। (হাফত মাছয়ালা)
মৌলভী রশীদ আহমদ গাঙ্গুহীর উস্তাদ শাহ আবদুল গণি সাহেব দেহলভী বলেন- এবং বাস্তব কথা হচ্ছে হুজুরে (সা:) জন্মালোচনা , ফাতেহা পাঠান্তে তাঁর রূহে হাদিয়া প্রেরণ করা এবং মীলাদুন্নবীতে (সা:) খুশী উদযাপন করার মধ্যেই মানুষের পরিপূর্ণ সৌভাগ্য নিহিত রয়েছে” (শিফাউছ ছায়েল)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।