পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নেপালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভারতপন্থীদের পরাজিত করে চীনপন্থী বাম জোট বিপুল বিজয় লাভ করেছে। চূড়ান্ত ফলাফল আসার আগেই যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তাতে ক্ষমতাসীন নেপালী কংগ্রেসকে পরাজিত করে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে যাচ্ছে সাবেক মাওবাদী ও কমিউনিস্ট পার্টির বামদলীয় জোট।
গত ২৬ নভেম্বর প্রথম দফা এবং গত ৭ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় নেপালের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনকে রাজতন্ত্রের বিলুপ্তি এবং গৃহযুদ্ধের পর গণতন্ত্রের পথে যাত্রা হিসেবে মনে করা হচ্ছে। গত নয় বছরে নেপালে প্রধানমন্ত্রী পদে রদবদল হয়েছে ১০ বার। বিশৃঙ্খলার সুযোগে দেশটিতে বেড়েছে দুর্নীতি। অর্থনৈতিক অগ্রগতিও থমকে গেছে বারবার। দশকব্যাপী রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ শেষে একটা কেন্দ্রীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় দেশটির উত্তরণের ক্ষেত্রে এ নির্বাচনকে এক চূড়ান্ত পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় ভোট গ্রহণের পর গণনা থেকে দেখা যায়, ফেডারেল পার্লামেন্টের ১৬৫ আসনের মধ্যে ৮৪টিতে জয়ী হয়েছে বামপন্থীরা (সিপিএন-ইউএমএল ও সিপিএন-এমসি) এবং স্পষ্ট এগিয়ে আছে ২৬ আসনে। পক্ষান্তরে ভারতপন্থী নেপালি কংগ্রেস মাত্র ১৩টিতে জয়ী ও ১১ আসনে এগিয়ে আছে। এছাড়া এফএসএফ নেপাল ৪টিতে জয়ী ও ৫টিতে এগিয়ে এবং আরজেপি নেপাল ৫ আসনে জয়ী ও ৫ আসনে এগিয়ে আছে। অন্যরা ৩টি আসনে বিজয় লাভ করেছে এবং এগিয়ে রয়েছে ৩টি আসনে।
নেপালের নিকট অতীতে সরকার চালায় তিন প্রধান দল। এর মধ্যে নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি মাওবাদী দল ঐক্য করেছে নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির (ইউএমএল) সঙ্গে। এদের পরিচয় বাম জোট নামে। আর মে মাসের ওই নির্বাচনে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সদ্য সাবেক কিন্তু বর্তমানে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার নেপালি কংগ্রেস ঐক্য গড়েছে ছোট কয়েকটি দলের সঙ্গে। এদের পরিচয় ‘গণতান্ত্রিক জোট’ নামে।
শের বাহাদুর দেউবার নেপালি কংগ্রেস ভারতপন্থী হিসেবে বিবেচিত। আর বাম জোট চীনঘেঁষা। বামপন্থীদের জয়লাভে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলছে যে, নেপালে ভারতের একক আধিপত্যের দিন অনেকটা শেষ হয়ে এসেছে। ২০০৬ সালে গৃহযুদ্ধ থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয় নেপাল। এর দুই বছর পর প্রায় আড়াই শ’ বছরের হিন্দু রাজতন্ত্রের বিলুপ্তি হয়।
জাতীয় পত্রিকা ডেইলি নাগরিকের সম্পাদক গুনা রাজ লুইনতেল বলেন, এটা অনেকটা নিশ্চিত যে বামপন্থীরা বিজয়ী হতে যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে ধারণা করা হচ্ছে, বামপন্থীরা দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে। এটা হবে তাদের জন্য বড় ধরনের সফলতা।
ভোটের ভিত্তিতে ১৬৫টি আসনের ফলাফল নির্ধারিত হবে। বাকি ১১০টি আসন নির্ধারিত হবে ভোটের আনুপাতিক হারে। মোট ১৬৫ জন সংসদ আসন এবং ৩৩০টি প্রাদেশিক আসন সরাসরি নির্বাচনের অধীনে রয়েছে।
ঐতিহাসিক নির্বাচনে মোট ১,৬৬৩ জন প্রার্থী সংসদীয় আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন এবং ২,৮১৯ জন প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। অনেকের আশা, নির্বাচনের ফলাফল হিমালয়ান জাতির জন্য প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে সক্ষম হবে।
৭টি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে চলেছে বামপন্থী সিপিএন-ইউএমএল। তারা ১০৮টি আসনে জয়ের পাশাপাশি এগিয়ে আছে ৩৩টিতে। তাদের শরিক সিপিএন-এমসিও ৫৪ আসনে জয়ের পাশাপাশি এগিয়ে রয়েছে আরো ১৭টিতে। পক্ষান্তরে নেপালি কংগ্রেস প্রাদেশিক পরিষদের ২৮টি আসনে জয়লাভের পাশাপাশি এগিয়ে আছে ১৫টিতে। সূত্র : পিটিআই ও দি হিমালয়ান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।