Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নাসিরনগরে মন্দিরে হামলা : ২২৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ৪:০৬ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মন্দিরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২২৮ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর নাসিরনগর উপজেলা সদরের গৌর মন্দিরে হামলা ভাঙচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নির্মল চৌধুরী বাদী হয়ে দুই থেকে আড়াই হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি মামলা করেন।

উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের রসরাজ দাস নামের এক যুবকের ফেসবুক আইডি থেকে ধর্মীয় অবমাননাকর একটি পোস্ট দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর সকালে ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের’ উপজেলা শাখার নেতারা নাসিরনগর ডিগ্রি কলেজ মোড়ে বিক্ষোভের ডাক দেন। অন্যদিকে ‘খাঁটি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের’ নেতারা নাসিরনগর খেলার মাঠে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেন। পৃথক এই সমাবেশ চলার সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। সমাবেশে যোগ দেওয়া লোকজন এই হামলা চালিয়েছে বলে সে সময় স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছিলেন।

মামলার অভিযোগপত্রে দুই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, একাধিক আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসেম; হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখি, হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি (বহিষ্কারের সুপারিশকৃত) ফারুক মিয়া, চাপরতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি (বহিষ্কারের সুপারিশকৃত) সুরুজ আলী, উপজেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান, হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. জামাল, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হোসেন চকদার। সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হাসেম ও আব্দুল হান্নান ছাড়া অন্যদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সবাই এখন জামিনে রয়েছেন।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু জাফর জানান, গত বছরের ৩০ অক্টোবর গৌর মন্দিরে হামলার ঘটনায় করা মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) তৈরি হয়েছে। এ মামলার বাদী নির্মল চৌধুরী।

হরিণবেড় ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের রসরাজ দাস নামের এক যুবক নিজস্ব ফেসবুক আইডি থেকে পবিত্র কাবা শরিফের ওপর শিবমূর্তি স্থাপন করে ছবি পোস্ট দেয়। এই অভিযোগ তুলে গত বছরের ৩০ অক্টোবর নাসিরনগর উপজেলা সদরে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা হয়। পরে আরো কয়েক দফা একাধিক বাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা আটটি মামলা করে নাসিরনগর থানায়। এসব মামলায় প্রায় তিন হাজার লোককে আসামি করা হয়।



 

Show all comments
  • কালাম ১০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ৯:০৫ পিএম says : 0
    মন্দির কারো ক্ষতি করে না। যে দোষী তার বিচারের আওতায় আনা উচিত।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ