Inqilab Logo

সোমবার ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ কার্তিক ১৪৩১, ০১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রশাসন ও পুলিশের অবহেলায় মন্দিরে হামলা

মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদন

প্রকাশের সময় : ৪ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মন্দিরসহ হিন্দুদের ঘরবাড়িতে হামলার ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের দায়িত্বে অবহেলাকে দায়ী করে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মগবাজারে মানবাধিকার কমিশন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি ও মন্দিরে হামলার ঘটনাটি সুপরিকল্পিত ও প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসীরা ওই হামলার সঙ্গে জড়িত। মানবাধিকার কমিশনের তিন সদস্যের তদন্দ দল ওই এলাকার ভুক্তভোগী, স্থানীয় রাজনীতিবিদ, প্রত্যক্ষদর্শীসহ শতাধিক মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের প্রতিবেদন তৈরি করেছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান। সংবাদ সম্মেলনে কাজী রিয়াজুল হক বলেন, সন্দেহভাজন অপরাধীরা রাজনৈতিক যে দলের সদস্যই হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
গত ২৮ অক্টোবর রসরাজ দাস নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ আনা হয়। খবর ছড়িয়ে পড়লে নাসিরনগর সদর উপজেলায় ৩০ অক্টোবর দুর্বৃত্তরা বেশ কয়েকটি মন্দির ভাঙচুর করে।
কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদন বলছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা সদরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ছিল সুপরিকল্পিত। একটি চক্রান্তকারী গোষ্ঠী দেশে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীর দূরদর্শিতার অভাব, উদাসীনতা এবং অবহেলা এ হামলার সুযোগ করে দিয়েছে। প্রতিবেদনের সুপারিশে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেয়া এবং নাসিরনগর উপজেলার পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের অদূরদর্শিতার বিষয়ে তদন্ত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থাও নিতে বলা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের চেয়ারম্যান তদন্ত প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ পড়ে শোনান। তদন্ত প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, দাঁতম-ল গ্রামের তাজউদ্দিন আহম্মেদ, ছাফরতলা গ্রামের সবুজ হাজী, গৌর মন্দির এলাকার সাবেক  মেম্বার ওলী ও খরকপাড়া গ্রামের ফারুক মোল্লা, পশ্চিমপাড়ার আবেদ আলীর ছেলে রহিমসহ অনেকে চক্রান্তকারী গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রশাসন ও পুলিশের অবহেলায় মন্দিরে হামলা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ