পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানীি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় মুসলিম বিশে^র প্রতিক্রিয়ায় নেতৃত্ব দিতে চান। তবে অনৈক্যের শিকার মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ করে একটি ফলপ্রসূ জবাব দিতে পারবেন কিনা তা অনিশ্চিত।
এরদোগান নিজেকে ফিলিস্তিনি স্বার্থরক্ষার এক অগ্রণী নেতা বলে নিজেকে মনে করেন। আনুষ্ঠানিক ভাবে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী বলে ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বীকৃতি দেয়ার আগেই তিনি তার বিরুদ্ধে কঠোর মন্তব্য করেন।
এরদোগান জেরুজালেম নগরীর মর্যাদাকে মুসলমানদের জন্য ‘রেড লাইন’ বলে আখ্যায়িত করেন। জেরুজালেমের পূর্ব অংশকে ফিলিস্তিনিরা তাদের ভবিষ্যত রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দেখে।
ট্রাম্প এ ধরনের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) এক বৈঠক আহবান করেছেন। এরদোগান ওআইসির বর্তমান চেয়ারম্যান।
ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কনফ্লিক্ট রিসার্চ সেন্টার ফর হিস্টোরিকাল এনালিসিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট রিসার্চ সেন্টারের আবাসিক ফেলো জিয়া মেরাল উল্লেখ করেন, এরদোগান মুসলিম মিত্র ও অমুসলিম নেতাদের সাথে কথা বলেছেন।
এরদোগান ট্রাম্পের পদক্ষেপের বিপদ সম্পর্কে হুঁশিয়ার করে দিতে ক‚টনৈতিক সৌজন্য সরিয়ে রেখে তার বাকভঙ্গিকে ব্যবহার করেন যা সাধারণত তার শত্রæদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়। তিনি বৃহস্পতিবার বলেন, এই যে ট্রাম্প! আপনি কি করতে চান? এটা কি ধরনের পদক্ষেপ? রাজনৈতিক নেতারা বিষয়কে নিয়ে ঘোঁট পাকান না, তারা শান্তি প্রতিষ্ঠা চান।
সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের তুরস্ক প্রকল্পের পরিচালক বুলেন্ট আলিরিজা বলেন, এরদোগানের জোরালো প্রতিক্রিয়ার কোনো প্রভাব ট্রাম্পের উপর পড়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। তবে জেরুজালেম বিষয় মার্কিন-তুরস্ক সম্পকর্কে অনিবার্য ভাবে আরো তিক্ত করবে।
এদিকে ট্রাম্পের সতর্কতাকে উপেক্ষা করে এরদোগান ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)-এর বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে প্যান ইসলামিক গ্রæপের শীর্ষ সম্মেলন আহŸান করার জন্য তার অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। ২০১০ সালে তুর্কি জাহাজ গাজার ওপর অবরোধ ভাঙ্গার পর ইসরাইলের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কের অবনতি হয়। জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বীকৃতির ঘোষণায় চলমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। গত বৃহস্পতিবার আঙ্কারার উদ্যোগে এক টেলিফোনালাপে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন পুতিন ও রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।
ক্রেমলিনের বরাত দিয়ে রুশ গণমাধ্যম তাস অনলাইনের খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় এবং মার্কিন দূতাবাস তেলআবিব থেকে সরিয়ে জেরুজালেমে নেয়ার পরিকল্পনার ঘোষণায় রাশিয়া ও তুরস্ক উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মার্কিন প্রশাসনের এ রকম একটি সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে। পুতিন ও এরদোগান একমত হয়ে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সঙ্কট সৃষ্টি করে এ অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়তে দেয়া যাবে না। আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়কে ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যে আলোচনার পরিবেশ তৈরি করে জেরুজালেম সঙ্কটসহ বিদ্যমান সমস্যাগুলোর সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে। জেরুজালেম বিতর্ক নিয়ে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) জরুরি সভার আহŸান করেছেন বলে পুতিনকে অবহিত করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। ১৩ ডিসেম্বর তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে জেরুজালেম ইস্যু নিয়ে শীর্ষ সম্মেলন হওয়ার কথা।
যুক্তরাষ্ট্র জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এর কঠোর সমালোচনা ও নিন্দা হচ্ছে। এদিকে, ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর গাজার পশ্চিম তীরে ইসরাইলি সেনাদের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে অন্তত দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজা সীমান্তের কাছে ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে ৩০ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিন নিহত হওয়ার পর গুলিতে নিহত হন ৫৮ বছর বয়সী আরেকজন। অপর একজন গুরুতর আহত হন। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে এ বিমান হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে রাশিয়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরটি। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে আইডিএফ জানায়, শুক্রবার হামাসের রকেট হামলার জবাব দিতে গাজায় এ হামলা চালানো হয়েছে। হামাসের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও অস্ত্রাগার এ হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল। এ সময় বিমান হামলায় আহতদের জন্য হামাসকেই সম্পূর্ণ দায়ী করে আরডিএফ। সূত্র : এএফপি, আরটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।