পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অনলাইনে টিকিট কাটতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। যাত্রীদের অভিযোগ, নিয়ম অনুযায়ী যাত্রার ১০দিন আগে থেকে চেষ্টা করেও কাঙ্খিত টিকিট পাওয়া যায় না। কখনও কখনও টিকিট না দিয়েই টাকা আটকে রাখা হয়। আবার অনলাইনে টিকিট পাওয়া গেলেও তা সংগ্রহ করতে গিয়ে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়। অথচ ২০১২ সালে কাউন্টার থেকে টিকিট কাটার ঝামেলা এড়াতেই ‘ই-টিকেটিং সিস্টেম’ চালু করেছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। গত ৫ বছরে এর জনপ্রিয়তা বাড়লেও সেবার মান বাড়েনি। বরং সিস্টেমের ত্রুটির অজুহাতে বাড়ছে বিড়ম্বনা। রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি দিন দিন ই-টিকেটিং এর চাহিদা ও জনপ্রিয়তা দুটোই বাড়ছে। যাত্রীদের সহজ ও সর্বোচ্চ সেবা দিতেই এ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। তবে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারনে মাঝে মধ্যে কিছুটা ঝামেলা হলেও পরক্ষণেই তা সংশোধন করে দেয়া হয়।
যাত্রী সেবার মান বাড়াতে ২০১২ সালের ২৯ মে থেকে রেলওয়েতে চালু হয় ই-টিকেটিং সেবা। টিকেট সংগ্রহের জন্য যাত্রীদের যাতে কাউন্টারে যেতে না হয় সে জন্যই এ পদ্ধতি চালু করা হয়। বর্তমানে ই-টিকেটিং ও এসএমএস টিকিটের জন্য ২৫ শতাংশ সংরক্ষিত রয়েছে। ই-টিকেটিং সেবার দায়িত্বে রয়েছে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেমস (সিএনএস) লিমিটেড। অন্যদিকে ‘এসএমএস টিকেটিং’ সেবা প্রদান করছে সেলফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক। শুরু থেকেই অনলাইন টিকেটিং সার্ভিস নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগ লেগেই আছে। ভুক্তভোগি যাত্রীদের অভিযোগ, অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করতে গিয়ে তারা প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এমনকি অনলাইনের টিকিট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত এর নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না। একেবারে শেষ পর্যায়ে এসেও টিকিট মেলে না। অনেক সময় সব পর্যায় অতিক্রম করে এসে পেমেন্ট অপশন ক্লিক করার পর আর কাজ হয় না। ঢাকার একটি বেসরকারী কোম্পানীতে কর্মরত এক তরুণ প্রকৌশলী বলেন, বেশিরবাগ সময় অনলাইনের একাউন্ট খোলে না। অনেক সময় টিকিট না দিয়েই টাকা আটকে রাখা হয়। অনেক সময় কার্ড চার্জ করলে কাজ হয় না। টিকিট না দিয়ে টাকা আটকে রাখার ঘটনাও প্রায়ই ঘটে। মাস্টার কার্ড ব্যবহার করে অনেকে টিকিট পান না বলে অভিযোগ করেন। যাত্রীদের অভিযোগ, ই-টিকেটিং সেবা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সিএনএস লিমিটেডের কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিলে সেখান থেকে কার্যকর কোনো সমাধান পাওয়া যায় না। অনেক সময় তারা কাস্টমার কেয়ারের ফোন রিসিভই করে না। গত ২৮ অক্টোবর থেকে ই-টিকেটিংয়ের ক্ষেত্রে আসনবিন্যাস পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে ভ্রমণের ১০ দিন আগে থেকে যাত্রীরা ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে পারবেন ও টিকিট কাটার ক্ষেত্রে আসনবিন্যাস দেখে পছন্দের সিট নেয়ার সুবিধা পাবেন। যাত্রীদের অভিযোগ, কাগজে কলমে এ কথা বলা হলেও বাস্তবতা ভিন্ন। টিকিট কেনার সময় বলা হচ্ছে, শুধু ট্রেন ছাড়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে অনলাইনে টিকিট পাওয়া যাবে। অনেকের মতে, এসব সমস্যার কারনে যাত্রীরা দিন দিন ই-টিকেটিং-এর উপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলছে। যদিও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দাবি, দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ই-টিকেটিং সার্ভিস। এ বিষয়ে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) হাবিবুর রহমান বলেন, মাস্টার ও ভিসা কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন করা টিকিটের টাকা প্রথমে নিউইয়র্কের একটি সার্ভারে চলে যায়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে তা রেলওয়ের কাছে আসে। সে কারনে মাঝে মধ্যে কিছু সমস্যা হয়। তিনি বলেন, কেউ টিকিট কিনতে ব্যর্থ হলে এ কারণে হয়তো টাকা ফেরত পেতে কিছুটা সময় লাগে। তবে সবাই অবশ্যই টাকা ফেরত পান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।