নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : বাংলাদেশের তরুণ পেসার তাসকিন আহমেদ ও স্পিনার আরাফাত সানির নিষেধাজ্ঞা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না বাংলাদেশের দর্শক, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীরা। ১৯ মার্চ সারা দিনই ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’ ছিল তাসকিন-সানির নিষেধাজ্ঞার খবর। এরপরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি), ক্রিকেটের তথাকথিত তিন মোড়লের বিরুদ্ধে ক্ষোভ চলছে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমগুলোতে। তবে এই ক্ষোভ এখন ভার্চ্যুয়াল থেকে বাস্তবে এসেছে।
তাসকিন-সানির নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ জানিয়ে গতকালও রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিশাল মানববন্ধন করেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচালিত বিভিন্ন সংগঠন। বাংলাদেশ ক্রিকেট ফ্যান ইউনিটি, মাশরাফি বিন মুর্তজা ফ্যান কমিউনিটি, তাসকিন আহমেদ ফ্যান কমিউনিটি, সাকিব আল হাসান ফ্যান কমিউনিটি, ক্রিকপ্লাটুন, ক্রিকেট ফ্লিক, লাইটার ইয়ং ফাউন্ডেশনসহ আরও বেশ কয়েকটি সংগঠন মানববন্ধনে অংশ নেয়। ফেসবুকের মাধ্যমে সংগঠিত হয়ে সংগঠনগুলো গতকালের মতো আজও মানববন্ধন করে। এতে কয়েক শ তরুণ-তরুণী অংশ নেন। একপর্যায়ে মানববন্ধনটি বিক্ষোভে রূপ নেয়। সবার হাতেই ছিল ‘বয়কট আইসিসি’, ‘শেম অন আইসিসি’, ‘তাসকিন উইল বি ব্যাক লাইক আ ফিনিক্স’, ‘উই ওয়ান্ট তাসকিন-সানি ব্যাক’, ‘ভয় পেয়ো না মাশরাফি, পাশেই আছে বাংলাদেশ’সহ আইসিসিকে ক্ষোভ জানিয়ে ইংরেজি ও বাংলায় লেখা বিভিন্ন ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন।
সমাবেশে ক্রিকেট-ভক্তরা বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট যখন উঠে দাঁড়াচ্ছে, তখন ওই তিন মোড়ল নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। এখন শুধু ওই মোড়লরাই নয়, এখন নানা দেশও বাংলাদেশের ক্রিকেটকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের একজন ভক্ত তানভীর হায়দার। তিনি বলেন, ‘তাসকিন-সানির নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিরপেক্ষ তদন্ত করলে দেখা যাবে, তিন মোড়লের কোনো না কোনোভাবে সম্পৃক্ততা আছে। ভারতে গেলেই এ সমস্যা হয়। আমরা জানি, বোলিং নিয়ে সন্দেহ হলে ২৮ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করতে হয়। অথচ আইসিসি বিসিবিকে চাপ দিয়ে দুই-তিন দিনের মধ্যে পরীক্ষা দেওয়াতে বাধ্য করেছে। বিসিবির উচিত এ ক্ষেত্রে আইনি লড়াইয়ে যাওয়া।’ ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট শুধু খেলাই নয়, এটি আমাদের আবেগও। তাই ক্রিকেট নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না।’ এমন মন্তব্য ছিল জান্নাতুল ফেরদৌস নামের একজন ক্রিকেটপ্রেমীর। তাঁর মতে, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাসকিনের ওপর কারণ ছাড়াই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
আকরাম হোসেন নামের আরেকজন ভক্ত বলেন, তিন মোড়লের এক মোড়ল ভারতের গণমাধ্যমগুলো ফেসবুকের একটি ভায়োলেন্সের ছবির কথা উল্লেখ করে বলেছেÍআমরা ছড়িয়েছি। হয় তো আমরা দিয়েছি, কিন্তু সুস্থ মিডিয়ায় কেন এগুলো আসবে? ওদের গণমাধ্যমগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে তাসকিন-সানিকে নিষিদ্ধ করায় সবচেয়ে খুশি হয়েছে ভারত। তাসকিন-সানি ভারতের বিরুদ্ধে বল করছে, এই কারণে? সামিউল আরেফিন নামের একজন ভক্ত বলেন, ‘গতকাল (গেলপরশু) আমরা শাহবাগে যে বিক্ষোভ করেছি, সেটা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ফলাও করে এসেছে। এ জন্য আজও (গতকাল) মানববন্ধন-বিক্ষোভ করছি। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ করব।’ তাসকিন-সানিকে ফেরাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ত্বরিত পদক্ষেপও আশান্বিত করেছে ক্রিকেট-ভক্তদের। সাইফুল ইসলাম নামের একজন বলেন, ‘শেম অন আইসিসি। তবে পাপন সাহেবকে ধন্যবাদ আপিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। আশা করি, অচিরেই তাসকিন-সানিকে খেলায় দেখতে পারব।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।