পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বগুড়ার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনের ইয়ার্ডে থাকা ওয়াগান নিলামে বিক্রিকালে ওজনে কারচুপি ও মালামাল সরবরাহের সময় অতিরিক্ত মালামাল সরবরাহ করে কতিপয় রেল কর্মকর্তা লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিলামে বিক্রির মালামাল সরবরাহের সময় রেলের কর্মকর্তা ও স্থানীয় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীরসহ বিক্রয় কমিটির লোকজনের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও দায়িত্বশীল কোন কর্মকর্তা উপস্থিত না থাকায় ইচ্ছামত ওয়াগান কেটে নিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠান। এসব মালামাল নিতে লোকবল ও নিজস্ব ব্যবহৃত ট্রলি দিয়ে রেল লাইনের উপর দিয়ে মালামাল নিতে সহযোগীতা করছেন স্থানীয় ক্যারেজ বিভাগের এক কর্মকর্তা।
অভিযোগে জানা গেছে, সম্প্রতি রেলওয়ে পশ্চিম অঞ্চল জোনের সিওএস-রাজশাহী এর দরপত্রের মাধ্যেমে বিক্রয় আদেশ-নম্বর ২০১৭-৪৫-০২১০-২০১৭ মুলে মেসার্স পান্না ব্যাটারী লিমিটেডকে (২২) সি ওয়াগান ও কেসি ৮টি সহ মোট ৩০টি ওয়াগান সরবরাহের জন্য মোঃ নজরুল ইসলাম সরকার এস এস এই(এস), সৈয়দপুকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পেক্ষিতে সান্তাহার ষ্টেশন ইয়ার্ডে রক্ষিত উল্লেখিত ওয়াগানগুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছেন ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ের একাধিক কর্মচারী জানান, দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্তা ব্যাক্তিদের সাথে ক্রেতা যোগসাজস করে নির্দিষ্ট পরিমানের চেয়ে বিপুল পরিমান মালামাল বেশি নিয়ে যাচ্ছে ক্রেতা। ওয়াগানের শুধু প্লেট সরবরাহের কথা রয়েছে। স্পিরিং, সোরপ্লেট, স্কেল বক্স, এক্সেল গার্ড, দরজা সরবরাহ করার কথা না থাকলেও এসব সরবরাহ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও ওইসব ওয়াগানের গায়ে ১০টন ওজন লেখা থাকলেও সেগুলো মাত্র ৪টন ওজন ধরে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মালামাল সরবরাহ নেওয়ার সময় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজনদের দ্বারা সরবরাহের কথা থাকলেও মালামার সরবরাহের সময় ঠিকাদারকে ক্যারেজ বিভাগের লোকবল ও নিজস্ব ব্যবহৃত ট্রলি দিয়ে সহযোগীতা করছেন স্থানীয় ক্যারেজ বিভাগের এস এস/এ/ই মোঃ আনছার আলী মৃধা। একটানা বেশ কয়েক দিন যাবৎ ক্যারেজ বিভাগের লোকজন ওয়াগান সরবরাহের স্থানে নিয়োগ করায় যাত্রীবাহী ট্রেনের বগি ধোয়া-মোছাসহ যান্ত্রিক ট্রলি দেখভাল না করার ফলে সান্তাহার ষ্টেশন থেকে বিভিন্ন রেল পথের ট্রেন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে থাকে।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে সান্তাহার ক্যারেজ বিভাগের উর্ধ্বতন উপ-সহকারি প্রকৌশলী আনছার আলি মৃধার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অতিরিক্ত মালামাল প্রদানের বিষয় অস্বীকার করে বলেন, নিয়ম অনুসরন করেই ক্রেতাকে মালামাল সরবরাহ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে ক্রেতার প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নাম প্রকাশ ও কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। এছাড়াও পার্বতীপুর, খুলনা, ঈশ্বরদী, রাজবাড়ী, বোনার পাড়া, লালমনির হাটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা শত শত ওয়াগান অল্পদামে নিলামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।