পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
লেবাননে ফিরে আসার কয়েকদিন পর, প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি একটি ফরাসি সংবাদ পত্রিকা বলেছেন যে, তিনি ভয়ঙ্করভাবে নিহত হওয়ার আশঙ্কায় ভীত। তিনি হস্তক্ষেপের জন্য হিজবুল্লাহর সমালোচনা করেন। বৈরুতে তার বাসভবনে ফরাসি সাপ্তাহিক প্যারিস ম্যাচকে দেয়া একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি বলেছেন যে, ‘তার অনেক শত্রæ - চরমপন্থী এবং সিরিয় সরকার।
তিনি বলেন, বাশার আসাদ সরকার ‘একটি মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছে, যা তাকে ‘জীবন সংহারের আশঙ্কায়’ রেখেছে। তিনি বলেন, দামেশক তাকে লেবাননের বাইরে হস্তক্ষেপে অভিযুক্ত করেছে।
হরিরি অতীতেও একই অভিযোগ করেছেন। তিনি জোর দেন যে, ২০০৫ সালে তার পিতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরির হত্যার পেছনেও সিরিয়ার সরকার ছিল। বৈরুতে সমুদ্র তীরে গাতিতে বোমা হামলায় তার পিতার মৃত্যু হয়। দামেশক অবশ্য সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আসাদ যুদ্ধে জিতেছেন বলে বিশ্বাস করেন কি না জানতে চাইলে হারিরি বলেন, আসাদের সব শেষ হয়ে গেছে এবং যুদ্ধে জয়ী হয়নি, সিরিয়ায় দাবি করা হয় যে, তারা প্রাথমিকভাবে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।
২০১১ সালে সঙ্ঘাত শুরুর সময় আইএস-এর গুরুত্ব ছিল না উল্লেখ করে ম্যাগাজিনকে তিনি বলেন, জিতেছেন (রাশিয়ার) প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং (ইরানের) রুহানি।
হিজবুল্লাহর ‘হস্তক্ষেপ’
সুন্নি হারিরি, লেবানন সরকারের শরিক শিয়া আন্দোলন হিজবুল্লাহরও কঠোর সমালোচনা করেন। কিন্তু লেবাননে হেজবুল্লাহর বিরুদ্ধে একটি বড় ধরনের আগ্রাসন চালানোর অভিযোগ থাকলেও তার পরামর্শদাতা ইরানের বিরুদ্ধে নয়।
হারিরি সিরিয়ায় সরকারি বাহিনীর জন্য হিজবুল্লাহর সেনা সমর্থনের বিরোধিতা করছে। ‘এই অস্ত্র (হিজবুল্লাহর) বিদেশে ব্যবহার করা হয় না তা নিশ্চিত করা দরকার লেবাননের স্বার্থেই’। হিজবুল্লাহর সামরিক বাহিনী লেবাননের সরকারী সশস্ত্র বাহিনীর তুলনায় আরো ভালভাবে সুসজ্জিত বলে স্বীকৃত।
গত মঙ্গলবার রিটুইট করা - ফরাসি টিভি চ্যানেল সি-নিউজের সঙ্গে অপর এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সব দ্ব›েদ্বর সময়’ তিনি ‘নিরপেক্ষ’ লেবানন চান এবং তিনি সরকারে এমন কোন রাজনৈতিক দলকে চানা না যারা ‘আরব সরকারগুলোর মধ্যে হস্তক্ষেপ করে;।
স্বাধীনতা দিবস উদযাপন জন্য গত বুধবার হারারি বৈরুতে ফিরে এসে গত ৪ নভেম্বরের পদত্যাগ স্থগিত করেন। হারিরি সউদী আরবে থাকা অবস্থায় পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে সেখানে রাখা হয়েছে বলে দাবি করা হয়, যা তিনি অস্বীকার করেছেন।
তার ঘোষণায় আঞ্চলিক কূটনৈতিক সংকট ছড়িয়ে পড়ে। লেবাননের অনেকেই সউদী আরবের বিরুদ্ধে হরিরিকে পদত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ করে। এটা এই অঞ্চলে ইরান এবং সউদী আরবের আধিপত্যের লড়াইয়ের আশঙ্কা তৈরি করে। সূত্র : ডয়েচে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।