Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় গোয়েন্দা সংস্থা কেন ব্যর্থ -প্রশ্ন ফখরুলের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় কেন গোয়েন্দা সংস্থা ব্যর্থ হলো সে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কেন ব্যর্থ হলো সেটি আমাদের জানতে হবে। সুষ্ঠু, নির্মোহ, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে তা বের করতে হবে। সীমান্ত রক্ষা বাহিনীতে ওই বিদ্রোহ সামাল দিতে সরকারের যথাযথ পদক্ষেপ ছিল না বলে বিএনপি মনে করে। গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ২০-দলীয় জোটের শরিক জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র করার চক্রান্ত চলছে। দীর্ঘদিন পর গতকাল (সোমবার) বিডিআর বিদ্রোহের রায় বেরিয়েছে। রায় সম্পর্কে আমি কিছু বলতে চাই না। কিন্তু রায় সম্পর্কে বিচারকেরা যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন, সে সম্পর্কে আমি বলতে চাই। এর মধ্যে উনারাই স্বীকার করেছেন, গোয়েন্দা ব্যর্থতা তদন্তের তাগিদ। বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এত বড় একটা বিদ্রোহ, মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ৫৭ জন চৌকস, দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। কখন ঘটেছে, যখন সবে একটি নতুন সরকার গঠন করা হয়েছে। তার পরপরই এটা ঘটেছে। এর উদ্দেশ্য কী ছিল? শুধুই কি সরকারকে ব্যর্থ করে দেওয়া, নাকি বাংলাদেশকে ব্যর্থ করে দেওয়ার চেষ্টা? ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা আমাদের মুক্তিযুদ্ধেও খোয়াতে হয়নি। এ ৫৭ জনকে হত্যা করে কে, কারা সবচেয়ে বেশি লাভবান হলো? যারা বাংলাদেশের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে ভেঙে দিতে চাইল, যারা সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দিতে চাইল। এ বিষয়গুলো আমাদের অবশ্যই সুষ্ঠু, নির্মোহ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বের করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, কেন গোয়েন্দা সংস্থা ব্যর্থ হলো, সেটা আমাদের জানতে হবে। কেন সেদিন দ্রæততার সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হলো না? কেন সেদিন সিদ্ধান্ত নিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় অতিবাহিত করতে হলো? তিনি বলেন, আমি কাউকে দোষারোপ করতে চাই না। কিন্তু এর তো কোনো সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ তদন্ত হয়নি। এমনকি সেনাবাহিনীর যে তদন্ত, সেটাও এখন পর্যন্ত প্রকাশিত হলো না। আরেকটি যে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, সেটারও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট আসেনি। এ জিনিসগুলো আমাদের জানার অধিকার আছে। সীমান্ত রক্ষা বাহিনীতে ওই বিদ্রোহ সামাল দিতে সরকারের যথাযথ পদক্ষেপ ছিল না বলে বিএনপি মনে করলেও হাইকোর্টের রায়ে সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে। রায়ের পর্যবেক্ষণে এই ঘটনাটিকে প্রশিক্ষিত বাহিনীকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র বলার পাশাপাশি বিদ্রোহের বিষয়ে আগাম গোয়েন্দা সতর্কতা না পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। রায়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড নেতা তোরাব আলীর খালাস পাওয়া নিয়ে ও প্রশ্ন তোলেন ফখরুল। তিনি বলেন, তোরাব আলীসহ ১২ জন খালাস। যার নেতৃত্বে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে বৈঠক হল দাবি-দাওয়া নিয়ে, যার বাসা ব্যবহার করা হল, তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আর আমাদের নাসিরউদ্দিন পিন্টু, যিনি কিছুদিন আগেও জেলে ছিলেন, জেল থেকে বেরিয়েছেন, তাকে আবার মামলায় জড়িয়ে জেলে পাঠিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই বিষয়গুলোর উত্তর প্রয়োজন। স্থানীয় সংসদ সদস্যের (ফজলে নূর তাপস) বাড়িতে যাচ্ছেন নেতারা, কথা বলছে। সেই বিষয় কিন্তু কোনো কথা বলা হচ্ছে না, এটা জানা দরকার।
জাগপা‘র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেহানা প্রধানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ, কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিএনপি নেতা অ্যালবার্ট পি কস্টা, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি তাসমিয়া প্রধান, সহ-সভাপতি খন্দকার আবিদুর রহমান, আবু মোজাফফর মো. আনাছ, মাস্টার এম এ মান্নান, রকিবউদ্দিন চৌধুরী মুন্না, যুগ্ম সম্পাদক আসাদুর রহমান খান, সৈয়দ শফিকুল ইসলাম শফিক, শেখ জামালউদ্দিন, ইকবাল হোসেন, আওলাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রোকন উদ্দিন হাজারী, শাহজাহান খোকন বক্তব্য রাখেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফখরুলের


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ