পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) চারুকলা বিভাগের সেই ছাত্রকে কোন নির্যাতন করা হয়নি বরং সে ছাত্রীদের ইভটিজিং করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল তিন ছাত্রী ও তার বন্ধুরা বিভাগীয় সভাপতি ও প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়ে ওই ছাত্রের বিচার দাবি করেছেন।
অভিযোগ পত্রে তারা উল্লেখ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ১ম বর্ষের এই ছাত্র মাদকাসক্ত। তাই সে মেয়ে শিক্ষার্থীকে অশালীন অঙ্গভঙ্গি এবং আপত্তিকর দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে উত্যক্ত করছিল। এ কারণে আমরা তাকে গত ২২ নভেম্বর ডেকে নিয়ে তার সঙ্গে এসব বিষয়ে কথা বলতে চাই। কিন্তু সে আমাদের সঙ্গে অস্বাভাবিক আচরণ করে।
এর আগে গত রবিবার এ ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরার লিখিত অভিযোগ করেন যে, তাকে তিন ছাত্রী ও তাদের বন্ধুরা ডেকে নিয়ে শারিরীক, মানুষিক নির্যাতন ও যৌন নিপীড়ন করেছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। কিন্তু কয়েকটি গণমাধ্যমে ‘তিন ছাত্রী কর্তৃক জাবি ছাত্রকে ডেকে নিয়ে যৌন নিপীড়ন’এ মন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় সর্বমহলে।
এ ঘটনার অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ‘সেইদিন ওই ছাত্রকে যৌন নির্যাতন মূলক কিছুই করা হয়নি। বরং তার অপরাধের কারণে ক্যাম্পাসে যাকে ‘র্যাগিং’ বলে তা দেওয়া হয়েছিল। আর এ ‘র্যাগ’ জাবি চারুকলা বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের কয়েকজন ছেলে শিক্ষার্থীরা দিচ্ছিলো। এমন সময় একই ব্যাচের তিনজন নারী শিক্ষার্থী সেখানে উপস্থিত ছিলেন।’
এ ঘটনায় ওই ছাত্র প্রক্টর বরাবর অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন, ‘ছাত্রীরা আপত্তিজনকভাবে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাতাহাতির মাধ্যমে যৌন নিপীড়ন করেছে।’ তবে গতকাল সোমবার অভিযোগকারী ছাত্র বিভাগের সভাপতি বরাবরে আরো একটি অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছেন। এ অভিযোগপত্রে তিনি যৌন নির্যাতনের কথা বাদ দিয়ে মানসিক ও শারীরিক লাঞ্ছনা, অশ্লীল কথাবার্তা বলার মাধ্যমে ভীষণ মানসিক চাপে ফেলা ও মারধরের কথা উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে চারুকলা বিভাগের সভাপতি এম. এম ময়েজ উদ্দীন বলেন, ‘আমার কাছে যে অভিযোগপত্রটি দেওয়া হয়েছে, সেখানে যৌন নিপীড়নের কথা বলা নেই। মারধর, শারীরিক-মানসিক লাঞ্ছনার কথা বলা আছে। এ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।