পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সবজির রাজধানী খ্যাত যশোর অঞ্চলের মাঠ ভরে গেছে শীকালীন সবজিতে। সবজি চাষীরা ভোর থেকে সন্ধ্যা অবধি মাঠে ব্যতিব্যস্ত। তারা অতিবৃষ্টির কারণে সবজির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পেরেছেন। এখন হাট-বাজারেও প্রচুর শীতকালীন সবজি উঠছে। প্রতিদিন যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের উপ পরিচালক সুনীল কুমার রায় গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, অতিবৃষ্টিতে মাঝে আগাম শীতকালীন সবজির যে ক্ষতি হয়েছিল তা ইতোমধ্যে পুষিয়ে নিতে পেরেছেন চাষিরা। অতিবৃষ্টির কারণে সবজি ক্ষতি হওয়ায় চারিদিকে হৈ চৈ পড়ে যায়। তখন মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে চাষিদের ‘জিরো টিলেজ’ অর্থাৎ বিনা চাষে ডাইরেক্ট সিডিং পদ্ধতিতে সবজি ্আবাদের পরামর্শ দেওয়া হয়। তিনি বললেন, অবিরাম বর্ষণের পর স্বরকাদা জমিতে স্বল্পমেয়াদী পাতাবহুল বীজ ছিটিয়ে সবজি আবাদ করা হয়েছে। তাতে চাষ খরচও সাশ্রয় হয়েছে আবার ফলনও হয়েছে অভাবনীয়। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। পালং শাক, শিম, বেগুন, মুলা, লাউ, পাতা কপি ও বাধা কফিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি বাজারে ওঠার কারণে মূল্য নিয়ন্ত্রণে এসেছে। চাষিরাও মোটামুটি ভালো দাম পাচ্ছেন। এই অঞ্চলে সবজি আসলে বারোমাসই উৎপাদন হয়ে থাকে। তবে বেশী শীতকালীন সবজি। স্বাদও ভালো। বরাবরের মতোই মধ্যস্বত্বভোগীদের লাগাম টেনে ধরার কোনরূপ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সিন্ডিকেটের কারণে উৎপাদক চাষি ও ভোক্তা উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। মাঠের মূল্যের সাথে বাজার মূল্যের বিরাট ফারাক পার্থক্যও দেখা যাচ্ছে। ফারাক দুর করে স্থিতিশীলতা আনতে কোন মনিটরিং নেই।
দেশের মোট চাহিদার ৬৫ ভাগ সবজির যোগানদাতা উৎপাদনের রেকর্ড সৃষ্টির যশোর অঞ্চলের মাঠে মাঠে এখন রকমারি শীততকালীন সবজি। কৃষি বিশেষজ্ঞ, মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তা ও চাষীসহ সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ সরকারকে এখনই জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে সিন্ডিকেট কোনভাবেই অপতৎপরতার সুযোগ না পায়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্র জানায়, গতানুগতিক সবজি আবাদ থেকে চাষীরা বেরিয়ে এসেছেন। এখন জৈব সার ব্যবহার হচ্ছে সবজির জমিতে। কীটনাশকের ব্যবহারও কমে গেছে। যশোর, মাগুরা, নড়াইল ও ঝিনাইদহ এলাকায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে সবজি আবাদ ও উৎপাদন হচ্ছে। সরেজমিনে মাঠ ঘুরে চাষীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কঠোর পরিশ্রম করে সবজি উৎপাদনের পর যাতে উপযুক্ত মূল্য পাওয়া যায় তার ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা না থাকায় মধ্যস্বত্বভোগীরা অতিরিক্ত টাকা পকেটে হাতিয়ে নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে। তাছাড়া অনেক সময় সবজি সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়।
বরবারই সবজি চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নানাভাবে। বাজারজাতকরণ এবং সংরক্ষণ ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে সবজি চাষীরা অনেকটাই পিছিয়ে থাকছেন। যশোরের মাঠে মাঠে এখন শীতকালীন সবজি আর সবজি। মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তা, সবজি চাষী, ভোক্তা ও পর্যবেক্ষকদের কথা, সবজি বাজারের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে মুনাফালোভী ফড়িয়া, দালাল ও মধ্যস্বত্বভোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কারণ তারা সিন্ডিকেট করে নানা কৌশলে সবজির বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।