Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাজারে মিলছে শীতের সবজি

দাম বেড়েছে মুরগি-ডিমের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

রাজধানীর কাঁচাবাজারে মিলছে শীতের আগাম সবজি। সবজির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে গাজর ও টমেটো। বাড়তি দাম লক্ষ্য করা যায় শীতের আগাম সবজি শিম ও ফলকুপির ক্ষেত্রেও। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা এবং পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগির দাম ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এর সঙ্গে ডজনে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ টাকা।

গতকাল সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার সূত্রে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন, যা গত সপ্তাহে ছিলো ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। পাকিস্তানি কক মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১১০ থেকে ১৩০ টাকা।

মুরগির দাম বাড়ার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, বলেন, ‘এখন আর লকডাউন নেই। সবকিছু খুলে দেয়া হয়েছে। কিছু কিছু অনুষ্ঠান হচ্ছে। হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোতে বিক্রি বাড়ায় মুরগির চাহিদার সঙ্গে দামও বেড়েছে। সামনে দাম আরও বাড়তে পারে।’

তারা আরো বলেন, ‘একদিকে বাজারে মুরগির চাহিদা বেড়েছে, অন্যদিকে সরবরাহ কমেছে। এ কারণে গত কয়েকদিনে পাইকারিতে মুরগির দাম অনেক বেড়েছে। আমাদের ধারণা সামনে মুরগির দাম আরও বাড়বে।’ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিলো ১০০ থেকে ১১০ টাকার মধ্যে। ডিম ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘পাইকারি বাজারে ডিমের দাম বাড়ায় আমরা বাড়তি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। বাজারের হালচাল দেখে মনে হচ্ছে, সামনে ডিমের দাম আরও বাড়বে।’

বাজারের সবজি ব্যবসায়ীরা শিমের কেজি বিক্রি করছেন ১৬০ থেকে ২০০ টাকা। চার সপ্তাহ ধরে একই দামে বিক্রি হচ্ছে শিম। শিমের মতো গাজর ও টমেটোও বিক্রি হচ্ছে আগের দামে, ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ২০ থেকে ২৫ টাকা, কাঁচকলার হালি ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

আগের মতো ঢেঁড়সের কেজিও পাওয়া যাচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে। আর বরবটির কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায। তবে ছোট এক আঁটি লাল শাকের জন্য ক্রেতাদের ২০ থেকে ৩০ টাকা গুনতে হচ্ছে। মুলা শাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা আঁটি, আর কলমি শাক ৫ থেকে ১০ টাকা আঁটি।

সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘শীতের আগাম সবজির সরবরাহ দিন দিন বাড়ছে। কিছুদিন পর সরবরাহ আরও বাড়বে। তখন সবজির দাম কমে আসবে। সামনে সবজির দাম বাড়ার সম্ভাবনা কম।’

মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৮০ টাকা।, মৃগেল মাছের কেজি ২৪০ থেকে ২৮০ টাক, তেলাপিয়া ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, পাবদা ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা আর পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে।

এ সময়টাতে বাজারে ছোট-বড় সব ধরনের ইলিশেরও দেখা মিলছে। তবে দাম এখনো সাধারণ ক্রেতাদের হাতের নাগালে বাইরেই। বড় (এক কেজির বেশি ওজনের) ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১৩০০ টাকা, মাঝারি আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা আর ছোট ইলিশ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘বাজারে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে। তবে বড় ইলিশের সরবরাহ এখনো তেমন বাড়েনি। বড় ইলিশের সরবরাহ বাড়লে দাম কিছুটা কমে আসবে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শীতের সবজি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ