পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর বাজারে শীতের সবজির প্রচুর সরবরাহ থাকলেও কমছে না দাম। বিক্রেতাদের অজুহাত, পাইকারি বাজারের বাড়তি দাম। ফলে মানুষকে সবজির ভরা মৌসুমেও প্রায় সব ধরনের সবজিই বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। এ ছাড়া বাজারে প্রায় সব ধরনের মাছের দামও বেশ চড়া। গ্রাহকদের সবজি কিংবা মাছ কিনতে গুণতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।
গতকাল সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বর কাঁচাবাজার, কল্যাণপুর নতুন বাজার, শেওড়াপাড়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে বেগুনের কেজি ৬০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, প্রতি কেজি টমেটো ১২০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া পাতাকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ১২০ টাকা, চালকুমড়া পিস ৪০ টাকা, লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। আর মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, কচুর লতি প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা এবং পেঁপে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, শসা ৬০ টাকা কেজি এবং লেবুর হালি ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। কাঁচাবাজারে কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া আলু বিক্রি হচ্ছে ২২ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে এবং দেশি পেঁয়াজের কেজি ৫৫ টাকা। রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকা, দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে। তবে চীনা আদা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি দরে।
ক্রেতারা জানান, বেশির ভাগ সবজির দাম গত কয়েক দিনের তুলনায় কেজিতে গড়ে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মিরপুর ১ নম্বর কাঁচাবাজারে সবজি কিনতে আসা সাইফুল ইসলাম বলেন, শীত পুরোপুরি এখনো শুরু না হলেও বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজি এসে গেছে। তবে দাম অত্যন্ত বেশি। তিনি বলেন, সাধারণত শীতের এই মৌসুমে সবজির দাম কম থাকে। কিন্তু এবার দাম কমছেই না। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, বাজারে সবজিসহ সব ধরনের পণ্যের দাম কমানোর ব্যাপারে সরকারের কোনো পদক্ষেপ নেই। সবজিসহ অন্যান্য পণ্যের দাম কমাতে সরকারের বিশেষ নজর দেওয়া উচিত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
কল্যাণপুর নতুন বাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুল হাকিম বলেন, শীতের মৌসুম শুরু হলেও পাইকারিতে কমেনি সবজির দাম। তবে সরবরাহ আরও বাড়লে সবজির দাম কমে আসবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, বাজারে সবজির পাশাপাশি প্রায় সব ধরনের মাছের দামও চড়া। অন্যান্য বছর শীতের শুরুর এই সময়ে মাছের দাম তুলনাম‚লকভাবে কিছুটা কম থাকলেও এবার কমছে না। বিক্রেতাদের অজুহাত, সরবরাহ কম থাকায় কমছে না মাছের দাম।
এছাড়া বাজারগুলোতে প্রায় সব ধরনের আটা-ময়দা ও চালের দাম বেড়েছে। পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় মূলত এই দাম বেড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়িদের। বিক্রেতারা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিবহন খরচও বেড়েছে। তাই আটা-ময়দা ও চালের দাম বেড়েছে। কেজিতে আটা ও ময়দার দাম বেড়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা। অন্য দিকে বাজারে মিনিকেট, নাজির এবং আটাশ চালের দাম বস্তাপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে। আর খাসির মাংসের কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি ও লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা দরে। এছাড়া ব্রয়লার মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। আর হাঁসের ডিমের দাম আরও বেড়ে প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।