বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হবিগঞ্জে চাঁদের হাসি হাসপাতালে সিজার করার পর রোগীর পেটে তোয়ালে রেখেই সেলাই করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুল চিকিৎসা স্বীকার গৃহবধূ মল্লিকা দাস আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছে গ্রামের সঞ্জীব সরকারের স্ত্রী।
তারা বর্তমানে হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর এলাকার বসবাস করছেন। ২৫ নভেম্বর রাতে এ ব্যাপারে মল্লিকা দাস (৩৮) গৃহবধূর স্বামী সঞ্জীব সরকার জানান, গত ২৩ আগস্ট তার স্ত্রীকে সিজার করানোর জন্য শহরের চাঁদের হাসি হাসপাতালে নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিয়মানুযায়ী ভর্তি করা হয়।
ঐ দিনই চাঁদের হাসি হাসপাতালের ডাক্তার এসকে ঘোষকে দিয়ে সিজার করায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সিজারের সময় মল্লিকার পেটের ভেতরে একটি তোয়ালে রেখেই সেলাই করে দেন ডাক্তার। পরে মল্লিকাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে, সিজারের ১০/১২ দিন পর পেটের ভেতরে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করতে থাকেন মল্লিকা। প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করায় বেশ কয়েকদিন পর আবারও চাদের হাঁসি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। এসময় ডাক্তার মল্লিকাকে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা দেন।
পরীক্ষায় তার পেটের ভেতরে কিছু রয়ে গেছে বলে ধারণা করা হয়। এক পর্যায়ে অভিজ্ঞ ডাক্তার কর্তৃক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর (২৪ নভেম্বর) শুক্রবার বিকেলে ডাক্তার আবুল কালামের অধীনে পুনরায় হবিগঞ্জ হেলথ কেয়ার ক্লিনিকে অপারেশন করেন। অপারেশনের পর মল্লিকার পেটের ভেতর থেকে একটি তোয়ালে বাহির করা হয়।
এদিকে অপারেশন শেষে পেটের ভেতর থেকে বাহির হওয়া পুরো একটি তোয়ালে দেখে হতভম্ব হয়ে স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তারা চিকিৎসক এসকে ঘোষ এবং চাঁদের হাসি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিচার ও শাস্তির দাবি জানান।
এব্যাপারে ডাক্তার আবুল কালাম বলেন, মল্লিকার পেটের ভিতরে কাপড়ের টুকরো থাকার কারণে ইনফেকশন হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে অভিযুক্ত ডাক্তার এস কে ঘোষের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন হওয়ার কথা নয় তবে ভুলবশত হতে পারে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে চাঁদের হাসি হাসপাতালের পরিচালক নূরউদ্দীন আহমেদ বলেন, এটা একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যা ভুল। আমি এটার জন্য মর্মাহত। আমি নিজে গিয়ে মল্লিকাকে দেখে এসেছি এবং তার চিকিৎসার জন্য যা প্রয়োজন হয় সব ব্যবস্থা করতে প্রস্তুত রয়েছি।
তিনি বলেন, ডাক্তার এসকে ঘোষের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনিও এটাকে একটি ভুল বলেছেন।
হবিগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাক্তার সুচিন্তা চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি শীর্ষ নিউজকে বলেন, এ ব্যাপারে এখনো কোনো অভিযোগ আমি পাইনি। আমি এখন ঢাকায় আছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।