গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ব্লগার ও বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। সাজ্জাদ ওরফে শামস ওরফে আরাফাতকে (২৪) গতকাল শুক্রবার সাভারের আমিনবাজারের বরদেশী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
সাজ্জাদ নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের (আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) অপারেশন শাখার সদস্য। তাঁর প্রকৃত নাম মো. আরাফাত রহমান আর সাংগঠনিক নাম সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ বলে পুলিশ জানিয়েছে। গ্রেফতারে পর জিজ্ঞাসাবাদে আরাফাত পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁদের সংগঠনের বড় ভাইয়ের (জিয়া) নির্দেশে এবং পরিচালনায় এ হত্যাকাণ্ডে তাঁরা অংশ নেন। তিনি জুলহাস-তনয়, নিলয় ও দীপন হত্যাকাণ্ডসহ ৫টি হত্যাকান্ডে অংশগ্রহণ করেছিলেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) জাহিদুল তালুকদার বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় সাভারের আমিনবাজার এলাকা থেকে সাজ্জাদকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় সাজ্জাদ তাঁদের সংগঠনের আরেক সদস্যের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর পড়াশোনা উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত। সাজ্জাদকে ধরতে দুই লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। পুলিশের দাবি, সাজ্জাদ অভিজৎকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ছিলেন।
ডিএমপির উপ-কমিশনার(ডিসি-মিডিয়া) মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, আরাফাত রহমান জানিয়েছে, মেজর জিয়ার নির্দেশ ও পরিচালনায় অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিল সে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরের কাছে দুর্বৃত্তদের চাপাতির কোপে ব্লগার ও বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক অভিজিৎ রায় নিহত হন। এ ঘটনায় তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও আহত হন। তারা যুক্তরাষ্ট্রে থাকতেন। অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে তারা দেশে এসেছিলেন। বইমেলা থেকে বেরিয়ে বাসায় ফেরার পথে তারা হামলার শিকার হন।
অভিজিৎ রায় হত্যাকান্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।