পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নরসিংদীতে রেলওয়ের জমি ও ডোবা দখলের হিড়িক পড়েছে। ইতোমধ্যেই নরসিংদী রেলস্টেশনের পূর্ব আউটার সিগন্যাল সংলগ্ন উত্তরপাশে ৪ একর জমি ব্যক্তি মালিকানায় চলে গেছে। এসব ভ‚মিতে স্থায়ী আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হয়েছে। বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী রেলওয়ের এই দখলকৃত জমির মূল্য দাড়াবে কমবেশী ৬০ কোটি টাকা। এর আশেপাশে কমবেশী অর্ধ কিলোমিটার জলাভ‚মি বালু ভরাট করে দখল করেছে ভ‚মিদস্যুরা।
বর্তমানে রেলস্টেশনের পশ্চিম দিকে প্লাটফরম থেকে কয়েক গজ দূরে রেলওয়ের জলাশয় ভরাট করে সেখানে নির্মাণ করা হচ্ছে অবৈধ মার্কেট ও স্থাপনা। পাশাপাশি ভরাট করা হচ্ছে রেলওয়ে ভ‚মি সংলগ্ন সরকারী খালও। নরসিংদীর রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যক্তি ও স্টেশনের আশেপাশে এলাকার চিহ্নিত ভ‚মিদস্যুরা রেলওয়ে এস্টেড বিভাগের এক শ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজসে এই অবাধ দখলদারী চালাচ্ছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর, নরসিংদী কার্যালয় থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে জলাশয় ভরাট করছে পরিবেশ অধিদপ্তরের স্থানীয় কর্মকর্তারা কিছুই বলছে না। উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় সরকারী খাল ভরাট করা হচ্ছে প্রশাসন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। উপরন্তু গোলাম নবী নামে এস্টেট বিভাগের জনৈক কর্মকর্তা নরসিংদী গিয়ে অবৈধ দখলদারদের নিকট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে গেছে বলে এলাকায় ব্যাপক রটনা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় জোনের নরসিংদী অংশে মোট ১০টি রেলস্টেশন রয়েছে। ঘোড়াশাল থেকে শ্রীনিধি পর্যন্ত ১০টি রেলস্টেশনের আশেপাশে রয়েছে বহুসংখ্যক রেকর্ডভ‚ক্ত জলাভ‚মি, নিম্নভ‚মি এবং ভিটে ভ‚মি। এই সব ভ‚মির বেশীরভাগই রয়েছে অবৈধ দখলে। বর্তমানে স্টেশনের পশ্চিমপাশে হোম সিগনালের অভ্যন্তরীণ রেললাইন সংলগ্ন জলাভ‚মি দখলে নিয়ে নির্মাণ করছে অবৈধ মার্কেট। তারা আড়িয়ালখা নদী থেকে পাইপ ফিট করে ড্রেজার দিয়ে বালু এনে এই জলাশয় ভরাট করে রেলওয়ের ভ‚মি রকম পরিবর্তন করে ফেলেছে। এরপর এখন কর্মচারী লাগিয়ে রেললাইনের মাত্র ৫ ফুট দূরে নির্মাণ করছে বিশাল মার্কেট। একইভাবে রেলওয়ের দক্ষিণে রেললাইন থেকে মাত্র ৪ ফুট দূরে নির্মাণ করা হয়েছে বিশাল মার্কেট ও স্থাপনা।
এ ব্যাপারে নরসিংদী রেলফাড়ির পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হলে ফাঁড়ির ইনচার্জ জানান, বিষয়টি নিয়ে রেলওয়ে এস্টেট বিভাগের কর্মকর্তাদেরকে স্টেশন মাস্টারের মাধ্যমে চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠি পাবার পর গোলাম নবী নামে একজন এস্টেট কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। খবর পেয়ে ভ‚মিদস্যুরা তার সাথে যোগাযোগ করার পর তিনি এই অবৈধ স্থাপনা না ভেঙে এবং নির্মাণ কাজ বন্ধ না করে ঢাকায় ফিরে যান। এই ঘটনার পর ভ‚মিদস্যুরাই এলাকায় প্রচার করে যে তাকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে বিদায় করা হয়েছে। কথিত গোলাম নবী চলে যাবার পর মার্কেট নির্মাণের কাজ আরো দ্রæত গতিতে বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এতে নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ সরকারী অফিস আদালত, সরকারী আবাসিক এলাকাসহ মানুষের হাজার হাজার বাড়ীঘর পানির নিচে তলিয়ে যাবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাস ভবন থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে এই খাল দখল করে অবৈধ নির্মাণ কাজ চালালেও উপজেলা প্রশাসন কিংবা জেলা প্রশাসন কেউই ভ‚মিদস্যুদেরকে অবৈধ কাজ থেকে নিবৃত্ত করছে না। এর আগে নরসিংদী রেলস্টেশনের পূর্ব দিকে আওয়াটার সিগনাল সংলগ্ন কয়েক বিঘারও অধিক নিম্নভ‚মি, ভ‚মি দস্যুদের স্থায়ী মালিাকানায় চলে গেছে। তারা রেলওয়ের সীমানা পিলার উপড়ে ফেলে এই ভ‚মির মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা দায়ের করে এস্টেট বিভাগের কর্মকর্তাদের টাকা দিয়ে আদালতে গড় হাজির রেখে এক তরফা রায় নিয়ে এই ভ‚মির স্থায়ী মালিক বনে গেছে। এর আশেপাশে কয়েক একর জলাভ‚মি দখলে নিয়ে বালু ভরাট করে স্থায়ী বাড়ীঘর নির্মাণ করে নিরাপদে বসবাস করছে। রেলওয়ের মন্ত্রী, সচিব, মহাপরিচালকসহ রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ রেল গাড়ী দিয়ে পূর্বাঞ্চলীয় জোন সফর করলে এই অবৈধ দখলীয় জমির পাশ দিয়েই যাতায়াত করেন। চোখের সামনে এসব দেখেও কেউ অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এই নির্লিপ্ততা রেলওয়ের জলাশয় ও জমি দখলকে দিন দিন আরো উৎসাহিত করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।