পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ছুটিতে গেলেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মোহাম্মাদ ইসহাক দার। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করতেই তৎক্ষণাৎ মঞ্জুরও হয়ে যায় আর্জি। আর্থিক দুর্নীতির মামলা চলছে দারের বিরুদ্ধে। পানামা পেপার কেলেঙ্কারিতেও নাম রয়েছে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রীর। তবুও নওয়াজ শরিফের ঘনিষ্ঠ পাকিস্তান মুসলিম লিগ (এন)-র এই নেতা অর্থ এবং শুল্ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। পাকিস্তান সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দারের আর্জি মঞ্জুর করার পাশপাশি ওই মন্ত্রণালয়ের সমস্ত দায়িত্ব থেকে তাকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শহিদ খাকান আব্বাসি। সূত্রে খবর, তিন মাসের ছুটির আবেদন করেছিলেন দার।
প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে ৬৭ বছর বয়সী দার জানিয়েছেন, লন্ডনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা করাচ্ছেন তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এই মুহূর্তে বিমানে যাত্রা করা যাবে না। দার জানান, এতদিন ইমেল, হোয়াটসঅ্যাপ, ফোনের মাধ্যমে মন্ত্রণালয় চালিয়েছি।
অন্যদিকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ঘনিষ্ঠ দারের এ ছুটির আবেদনে আব্বাসিও খুশি হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির একাধিক মামলায় জড়িয়ে পড়েছেন নওয়াজ। পানামা পেপার ফাঁস হওয়ার পর আরও বেকায়দায় তিনি। দার ছুটি নেওয়ায় পাকিস্তানের প্রশাসন ও রাজনীতিতে আব্বাসি আরও বেশি ক্ষমতা কায়েম করবেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
২০১৩-তে নওয়াজের ক্যাবিনেট মন্ত্রী হন ইসহাক দার। দায়িত্ব পান অর্থ, শুল্ক, পরিসংখ্যান এবং বেসরকারিকরণ মন্ত্রণালয়ের। ডারের বিরুদ্ধে ৮৩.৭০ কোটি টাকার হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির থাকার অভিযোগ ওঠে। সিপেক-র বিশেষ কিছু প্রকল্পে চীনের বিরুদ্ধে অবস্থান এবং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থরিতার সময়ে দার ছুটিতে যাওয়ায় আব্বাসি প্রশাসনে ভালই প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে শরিফ ঘনিষ্ঠরাও।
এর আগে গত হিন্দুস্তান টাইমস পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দারের দুুর্নীতির অভিযোগে পদত্যাগ করার খবর প্রকাশ করে। গত ১৪ নভেম্বর দুর্নীতি সংশ্লিষ্ট অভিযোগে হাজিরা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় দারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বিরোধী আদালত অজামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য লন্ডনে অবস্থান করছেন তিনি। পাকিস্তানের দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ ন্যাশনাল একাউন্টেবিলিটি ব্যুরো গত ২৮ জুলাই পানামা পেপার্স সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে আয়ের উৎসের তুলনায় বেশি সম্পদ থাকায় দারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। পাকিস্তান, আরব আমিরাত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার মালিকানাধীন কোটি কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে যা কর কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়নি।
পাকিস্তানের জিও নিউজ গত শনিবার জানায়, ইসহাক দার তার পদত্যাগপত্র সেই সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রীর শহীদ খাকান আব্বাসীর কাছে পাঠান। আনুষ্ঠানিকভাবে এটি নিশ্চিত করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র মুসাদিক মালিক। তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী ইসহাক দারের অসুস্থতার প্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদের নিয়মানুযায়ী এটি ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অধীনে চলে এসেছে। তিনি যোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত ব্রিফিং নিয়মিত গ্রহণ করছেন। সূত্র : ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।