নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : চ্যাম্পিয়ন নেপাল বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের শিরোপা উৎসর্গ করলো দেশটির ভূমিকম্পে নিহতদের প্রতি। গত বছরের ২৫ এপ্রিল ভয়াবহ ভূমিকম্পের কারণে নেপালে সাত হাজারেরও বেশী মানুষ নিহত হয়। সেই স্মৃতি এখনো কাঁদাও নেপালীদের। তাই গতকাল বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের শিরোপা জেতার পর সেই নিহতদেরই প্রথমে মনে করলেন নেপালী ফুটবলাররা। তারা টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি উৎসর্গ করলেন তাদের প্রতিই। ফাইনাল শেষ ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে নেপালের কোচ বালগোপাল মহারজন বলেন, ‘শিরোপা জয়ের এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমরা টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততে ঢাকায় আসিনি। এসেছিলাম এসএ গেমসের প্রস্তুতি নিতে। কিন্তু যশোরে গ্রæপ পর্বে খেলতে নেমে আমার মনে হলো আমাদের সেমিফাইনাল খেলা উচিত। তখন থেকেই সেমিফাইনাল আমার দলের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিলো। লক্ষ্য পূরণ হওয়ার পর যখন ফাইনালে উঠলাম, তখন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছি আমাদের কি করা উচিত। সিদ্ধান্ত হয়েছে শিরোপার কাছাকাছি এসে খালি হাতে দেশে ফিরব না। ছেলেরা হতাশ করেনি। তারা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘২৩ বছর পর আন্তর্জাতিক আসরে শিরোপা জয় করতে পেরে আমরা ভীষণ আনন্দিত। আর এই ট্রফি আমরা ২০১৫ সালের এপ্রিলে আমাদের দেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতদের স্মৃতির উদ্দেশে উৎসর্গ করছি। আর আশা করি এখানকার সাফল্য নেপাল ফুটবলের নতুন দিনের সূচনার জন্য সহায়ক হবে।’
কোচ বালগোপাল মহারজন ১৯৯৩ সালে খেলোয়াড় হিসেবে সাফ গেমস ফুটবলের স্বর্ণ জিতেছিলেন। আর এবার জিতলেন কোচ হিসেবে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ট্রফি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোচ হিসেবে শিরোপা জেতা মনে হয় বেশি কঠিন। এখানে শুধু নিজের ব্যাপার নয়, পুরো দলের শারীরিক মানসিক ও মনস্তাত্তি¡ক দিকগুলো দেখতে হয়। খেলোয়াড় হিসেবে যেগুলো চিন্তা করার দরকার পড়ে না। তবে আমি দারুণ খুশী কোচ হিসেবে সাফল্য পেয়ে।’
টুর্নামেন্টর সেরা খেলোয়াড় নবযুগ শ্রেষ্ঠা মনে করেন দলে ঐক্য থাকলে সাফল্য পাওয়া কঠিন নয়। তার কথা, ‘আমরা তরুণ এবং নবীন। কিন্তু মাঠে যখন নেমেছি সবসময় চেয়েছি নিজেদের সেরটা দিয়ে দেশ ও দলকে সাফল্য দিতে। এটিই আমাদের প্রেরণা। যা আমাদেরকে চ্যাম্পিয়ন করেছে।’
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর দলের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছে অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (আনফা)। জানা গেছে, এই সাফল্যের জন্য তারা দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে ৫ লাখ রুপি করে অর্থ পুরস্কার দেবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।