চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে জয়ী হলো ইসলামের সুমহান আদর্শ
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার দুই বছর আগে সালাহ উদ্দিন নামের এক পিজা ডেলিভারি বয় কে কেবল মাত্র ইসলাম বিদ্বেষ এর কারনে নির্মম ভাবে হত্যা করে একজন খ্রিস্টান নাগরিক। খুনির নাম আলেক্সান্ডার রেলফোর্ড। গত সাপ্তাহে আদালত তৈরি হচ্ছিল খুনের মামলার রায় দেয়ার জন্য।আর ঠিক তখন ঘটে যায় ইসলামের এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
সালাহ উদ্দিনের বাবা আব্দুল মুনিম আদালতে বসে ছিলেন। এসময় বিচারের রায় শোনাতে খুনি আলেক্সান্ডার রেলফোর্ডকে কাঠগড়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আর ঠিক তখনই সোজা হেঁটে গিয়ে আলেক্সান্ডারকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন মুনিম। সালাহ উদ্দিনের বাবা ৬৬ বছর বয়সী মুনিম খুনিকে বললেন,
“তোমাকে আমি ক্ষমা করে দিয়েছি।”
আদালতে উপস্থিত সবাই তখন বিস্ময়ে অভিভূত। হতবাক বিচারকও! বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিহত ছেলের বাবা বললেন
-‘ইসলাম ধর্ম উদার হওয়ার শিক্ষা দেয়। প্রতিহিংসা নয় বরং ক্ষমাই ইসলামের অন্যতম মূল নীতি। আমার ছেলের খুনিকে তাই আমি ক্ষমা করে দিলাম।’
আব্দুল মুনিম এর এমন কথার পর আদালতে উপস্থিত বিচারক এবং খুনি আলেক্সান্ডার রেলফোর্ড এর পরিবারের সদস্যারা সহ উপস্থিত কেউ আর কান্না ধরে রাখতে পারলেন না। বিচারক বাধ্য হয়ে একটি ব্রেক নেন।
বিরতির পর আলেক্সান্ডার কাঁদতে কাঁদতে আব্দুল মুনিমকে জানান, যে ধর্মীয় বিদ্বেষ থেকে তিনি সালাহ উদ্দিনকে হত্যা করেন বাকি জীবন সেই ইসলামকেই অবলম্বন করে তিনি বেঁচে থাকবেন। কারাগারেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবেন বলেও মুনিমকে জানান আলেক্সান্ডার।
সে সময় সালাহ্ উদ্দিনের বাবা আলেক্সান্ডারকে বলছিলেন, ‘চিন্তা করো না। ইসলাম ধর্মগ্রহণের মধ্য দিয়ে তুমি নতুন জীবনে প্রবেশ করছো। ক্ষমার মালিক আল্লাহ্। মালিকের কাছে তুমি তোমার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাও। ঠিক মতো ইবাদত করো। যখন তুমি মুক্ত জীবনে ফিরে আসবে, তখন তুমি কর্মক্ষম মানুষ হিসেবে নিজেকে চিনতে পারবে।’ বিবিসি।
ইসলামী ঐক্য আন্দোলন
ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমির ড. মওলানা মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী বলেছেন, রাসূল স.সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট মহামানব হযরত মুহাম্মাদ স. সম্পর্কে কটুক্তিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান না থাকায় একের পর এক ফেসবুকে বল্গাহীন পোষ্ট করার সুযোগ পাচ্ছে। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক রংপুরে টিটুর ঔদ্ধত্যপূর্ণ স্ট্যাটাস এবং পরবর্তীতে ক্ষুব্ধ প্রতিবাদকারীদের উপর পুলিশী অ্যাকশান দেশের ধর্মপ্রাণ জনতাকে ভাবিয়ে তুলেছে। তিনি বলেন, হযরত মুহাম্মাদ স.সম্পর্কে কটুক্তিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান থাকলে এধরনের ঘটনা ঘটতো না। হিন্দুদের বাড়ী ঘরে হামলা সমর্থন যোগ্যনয় যারা হিন্দুদের বাড়ী গলে আগুন দিয়েছে তাদের চিহিৃত করে শাস্তি আওতায় আনা হোক। তিনি অবিলম্বে সংসদে আইন পাশ করে রাসূল স.সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা করতে হবে অন্যথায় আন্দোলনের মাধ্যেমে দাবি আদায়
করা হবে।
-প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।