পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রেলওয়েকে যন্ত্রণায় ফেলেছে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানী করা কোচ। আমদানীর পর থেকে কোচগুলোতে ত্রুটি লেগেই আছে। যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিক ত্রুটির কারনে চলমান ট্রেন থেকে কোচগুলো সরিয়ে ফেলতে হচ্ছে। তাতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে যাত্রীরা। একের পর এক কোচ ড্যামেজের ঘটনায় বিব্রত রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কোচ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে কয়েক দফা চিঠিও দিয়েছে। কিন্তু চিঠিতেও সাড়া মিলছে না।
অথচ চুক্তি অনুযায়ী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের দেড় বছর পর্যন্ত কোচগুলোর সব ধরনের ত্রুটি-বিচ্যুতি মেরামত করার কথা। রেলের কোচ সংকট নিরসনে গত বছর ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা হয় ১৫০টি কোচ। এর মধ্যে ১০০টি মিটার গেজ ও ৫০টি ব্রডগেজ কোচ। ইন্দোনেশিয়ার ইনকা করপোরেশনের কাছে থেকে ৪৬৮ কোটি টাকায় কোচগুলো আমদানী করে রেলওয়ে। রেলওয়ে সূত্র জানায়, আমদানীর পর থেকে ত্রুটি লেগেই আছে এসব কোচে। রেলওয়ের একজন প্রকৌশলী জানান, চুক্তি অনুযায়ী ইনকার প্রকৌশলীরা বড় ত্রুটিগুলো দীর্ঘ সময় নিয়ে মেরামত করলেও ছোট ছোট ত্রুটি সারানো যাচ্ছে না।
এতে রেলের যাত্রী পরিবহন বিঘিœত হচ্ছে। রেলের পরিবহন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে ভারত ও ইন্দোনেশিয়া থেকে ২৭০টি কোচ আমদানী করা হয়। এর মধ্যে ভারত থেকে আনা হয় ১২০টি ব্রডগেজের কোচ। শুরুতে ভারত থেকে আনা কোচগুলোতে বেশ কিছু ত্রুটি ধরা পড়ে। তবে ভারতীয় প্রকৌশলীরা দিনরাত পরিশ্রম করে ভারত থেকে আনা কোচগুলো মেরামত করে দিয়েছেন। আর ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানী করা ১৫০টি মিটারগেজ কোচগুলোর ত্রুটি দিন দিন বাড়ছে। এ প্রসঙ্গে রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, শুধু ত্রুটি বললে ভুল হবে, ইনকার কোচগুলোর ত্রæটি অস্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছেছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, নকশাগত ত্রুটির কারনে ১০-১২টি কোচ ওয়ার্কশপে পাঠানো হয়েছে। সর্বশেষ ১০টি কোচ দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামত করতে রেলের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে লিখিত চিঠি দিয়েছে রেলের বৈদ্যুতিক প্রকৌশল বিভাগ। স্বাভাবিক নিয়মে নতুন কোচ থেকে রেলওয়ে সর্বোচ্চ যাত্রীসেবার পাশাপাশি আমদানী ব্যয়ের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অংশ তুলে নেয়ার চেষ্টা করলেও ইন্দোনেশীয় এসব কোচের ত্রুটিজনিত কারণে ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। বৈদ্যুতিক বিভাগের আরেক কর্মকর্তা বলেন, বার বার ত্রুটিজনিত কারন উল্লেখ করে আমরা প্রতিনিয়ত সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়ে যাচ্ছি। কোচ সরবরাহের দেড় বছর পর্যন্ত কোম্পানিটি ত্রুটি সারিয়ে দিবে এমনটাই উল্লেখ ছিল চুক্তিতে। তবে বেশকিছু কোচের সমস্যা প্রকট হওয়ায় অনেক সময় ত্রুটি সারাতে ব্যর্থ হচ্ছে তারা। এতে যাত্রী পরিবহনে সমস্যা হচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানী করা কোচের ত্রুটি ও সমস্যা সম্পর্কে রেলওয়ের এক চিঠিতে বলা হয়েছে, আমদানীকৃত ইন্দোনেশীয় এসি কোচ নং-ডবিøউজেসিসি ১৩১৭-এর পানির ট্যাংকের রাবার সিল নষ্ট হয়ে এসি প্যানেল বোর্ডের ভেতরে পানি প্রবেশ করায় গত ২৫ জুলাই কোচটির এসি কন্ট্রোল প্যানেল ট্রান্সফরমারে (৪০০/১১০ ভোল্ট) আগুন ধরে যায়। এছাড়া পাওয়াকার নং-১১০৬, ১১০৭, ১১০৮, এসি কোচ নং- ডবিøউজেসিসি ১৩১৩, ১৩১৭, ১৩২৩, ১৩২৪, ডবিøউজেসি ১২০৭, ১২০৮ ও ডবিøউইসিডিআর ১৪১২-এর উভয় পাশে পানির ট্যাংকে লিকেজ ও ট্যাংকের রাবার সিল নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া আন্ডার গিয়ারের সমস্যার কারণেও প্রতি সপ্তাহে বেশকিছু নতুন কোচ মেরামতের জন্য ওয়ার্কশপে পাঠাতে হচ্ছে রেলওয়েকে। রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রকৌশলীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় এক দশক আগে চীন থেকে আমদানী করা সাদা কোচগুলোতে এখনও তেমন একটা ত্রুটি দেখা যায় না। তবে এক্ষেত্রে রংপুর এক্সপ্রেসের কোচগুলো ব্যতিক্রম। রংপুর এক্সপ্রেসের সাদা কোচগুলো গত বছরের আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে অনবরত চলেছে। তখন স্থায়ী মেরামতের সুযোগ হয়নি। সে কারনে এখন কোচগুলোর ভ্যাকুয়ামে প্রায়ই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। প্রকৌশলীরা জানান, সদ্য আমদানীকৃত ইন্দোনেশিয়ান কোচে এভাবে ত্রুটি দেখা দিবে তা কেউই ভাবতেও পারেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।