রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
অভ্যন্তরীণ ডেস্ক
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর কোমানীগঞ্জ ও বরগুনার বেতাগীর বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। এ সংক্রান্ত আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন-
নোয়াখালী ব্যুরো জানায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় আ.লীগের দলীয় প্রার্থীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এসময় বিদ্রোহী প্রার্থী ফখরুল ইসলাম সবুজের নির্বাচনী অফিসের মালামাল বের করে আগুন দেয় আ.লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা। শনিবার দিবাগত রাতে টেকের বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতে আ.লীগের মনোনীত প্রার্থী হাজী সফি উল্যাহ টেকের বাজার এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগের সময় বিদ্রোহী প্রার্থী ফখরুল ইসলামসহ তার কর্মীরা দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এ সময় প্রার্থী হাজী সফি উল্যাহসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। এদিকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে আ.লীগের প্রার্থী হাজী সফি উল্ল্যার সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থী ফখরুল ইসলাম সবুজের নির্বাচনী অফিসের চেয়ার, টেবিল ও মালামাল রাস্তায় বের করে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সাজেদুর রহমান সাজিদ জানান, ঘটনাস্থলে তার নেতৃত্বে পুলিশ রয়েছে।
বেতাগী (বরগুনা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, বরগুনার বেতাগীতে শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার সকালে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, বসতঘরে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। বেতাগী সদর ইউনিয়নের ৪নং ইউনিয়নের মেম্বার প্রার্থী মাহামুদ হোসেন মনির ও তার সমর্থকদের হামলায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো: সোরাব হোসেনের স্ত্রী আরজু বেগম ও ছেলে পাভেল সিকদার আহত হয়। গতকাল রোবাবর সকালে মাহামুদ হোসেন মনিরের নেতৃত্বে মেম্বার প্রার্থী সোহরাব হোসেন সিকদার ও মেম্বার প্রার্থী মাসুদ হোসেনের বসতঘরসহ ৪টি ঘর কুপিয়ে ভাঙচুর ও লুট চালায়। এর আগে ঝোপখালী ব্রীজের দক্ষিণ-পূর্বদিকে সোহরাবের সমর্থক ও স্ত্রীর উপর হামলা করে তাদের অবরুদ্ব করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্বার করে। একই রাতে বেতাগী সদর ইউনিয়নের বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যাপক মজিবর রহমানের বসতঘরে আ.লীগ প্রার্থীর কর্মীরা হামলা করে ভাঙচুর চালায়। হোসনাবাদ ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী মো: বেলাল হোসেন রাঢ়ি অভিযোগ করেন, গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে যায়। এ সময় তাকে না পেয়ে তার গোখাদ্যে (খড়ের গাদা) আগুন দিয়ে চলে যায়। বিবিচিনি ইউনিয়নের আ.লীগ প্রার্থী অধ্যাপক নওয়াব হোসেন নয়ন অভিযোগ করে বলেন, দেশান্তর কাঠী গ্রামের খ্রীস্টান পাড়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মীরা রাতের আধারে প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত তার নির্বাচনী ব্যানার ও নৌকা প্রতীকে আগুন দিলে তার কর্মীরা টের পাওয়ায় দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। হোসনাবাদ ইউনিয়নের আ.লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদুর রহমান ফোরকান অভিযোগ করেন, তার ইউনিয়নের বাঁধঘাট এলাকায় গণসংযোগকালে প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: মোশায়েদুল ইসলাম লিটনের কর্মীরা তাকে আবরুদ্ধ করে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।