বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
লক্ষ্মীপুরে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় ফাতেমা আক্তার বুলি (৪৫) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ভোররাতে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজারের শহীদ মোস্তফা কামাল (এসএমকে) হসপিটালে থেকে শিশু বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা পিজি হসপিটালের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. গোলাম মাইন উদ্দিন, গাইনী ও প্রসূতি সার্জন ডা. কাজী ফয়েজা আক্তার, এনেসথেসিয়া ডা. আলমগীর ও ডিউটি ডাক্তার শরীফুল ইসলামসহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশ। নিহত ফাতেমা হাজিরপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ জয়পুর গ্রামের মনসুর মাষ্টারের স্ত্রী। রোগীর স্বজনদের দাবি, ডাক্তারের অবহেলায় এবং ভুল চিকিৎসার কারণে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিষয়টি ধামাচাপার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ করেন রোগীর স্বজনরা।
নিহতের ভাই ইসমাইল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে জরায়ু টিউমার অপারেশনের জন্য চন্দ্রগঞ্জ বাজারের বেসরকারি এসএমকে হাসপাতালে ফাতেমা আক্তার বুলিকে (৪৫) ভর্তি করা হয়। পরে গাইনী ও প্রসূতি সার্জন ডা. কাজী ফয়েজা আক্তারের তত্ত্বাবধানে ফাতেমার চিকিৎসাসহ গভীর রাতে অন্যান্য ডাক্তাররা তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। কয়েক দফায় অপারেশনের একপর্যায়ে ভোর রাতে ফাতেমা মারা যায়। ভোরে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের হয়ে চিকিৎসকগন রোগীর স্বজনদের ফাতেমাকে ওই হাসপাতাল থেকে কুমিল্লা নিয়ে যেতে বলে। কিন্তু এর আগেই ভুল চিকিৎসায় ফাতেমার মৃত্যু হয়েছে।
রোগীর স্বজনরা বিষয়টি চন্দ্রগঞ্জ থানায় জানালে পুলিশ ওই হাসপাতাল থেকে ডাক্তারসহ ৪ জনকে আটক করেন। তবে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ম্যানেজারসহ অন্যান্যরা কর্মকর্তারা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোক্তার হোসেনকে ফোন দিয়ে পাওয়া না যাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।