পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার পদত্যাগপত্র গ্রহণ ‘অশনি সংকেত’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, এধরণের ঘটনা এটা অশনি সংকেত, এটা জাতির জন্য কলঙ্কজনক। উচ্চতর আদালতে নজিরবিহীন, খারাপ, হীন একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হল। এটা দেশের মানুষ কখনও গ্রহণ করবে না। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে কৃষক দল আয়োজিত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, প্রধান বিচারপতিকে নজিরবিহীনভাবে ন্যক্কারজনকভাবে জোর করে পদত্যাগ করিয়ে আজকে বলেছেন যে, প্রেসিডেন্ট পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। তিনি (সিনহা) ইচ্ছাকৃতভাবে এই পদত্যাগপত্র দেন নাই, তাকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয়েছে। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ওই রায়ে বর্তমান সংসদকে প্রধান বিচারপতি ডিসফাংশনাল বলেছেন; এতে আওয়ামী লীগ গোস্বা করেছে। এই সংসদ ডিসফাংশনাল, কারণ এখানে ১৫৪টি আসনে যেসব প্রার্থী ছিল, জনগণ সেখানে কাউকে ভোট দেয় নাই। সংবিধানে লেখা আছে জাতীয় সংসদ সদস্য তিনি, যিনি সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত। তাহলে ১৫৪ জন জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয়। বিচারপতি সিনহা ছুটি থেকে ফিরে ওই ১৫৪ জনের বৈধতার প্রশ্নে করা একটি রিটের শুনানি নিয়ে তাদের অবৈধ ঘোষণা করতে পারেন বলে সম্ভাবনা থাকায় তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা শুনতে পারছিলাম যে, প্রধান বিচারপতি ছুটি থেকে এসে একটি রিট করা আছে যে ১৫৪ জন অবৈধ, সেই রিট মামলার শুনানি করবেন। হয়ত সিদ্ধান্তে যেতে পারে ১৫৪ আসন অবৈধ। তাহলে সরকার অবৈধ হয়ে যায়। এজন্যই সরকার প্রধান বিচারপতির ওপরে কী ন্যক্কারজনকভাবে, নজিরবিহীনভাবে প্রথমে সুস্থ মানুষকে অসুস্থ বানিয়ে ছুটির দরখাস্ত করিয়ে নিলো, পরে তাকে গায়ের জোরে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিল।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, শুধু তাই না, সেই প্রধান বিচারপতিকে সরকারের লোকরা সিঙ্গাপুরে গিয়ে, তিনি অস্ট্রেলিয়া থেকে চলে আসছিলেন বাংলাদেশে আসার জন্য, সেখানে গিয়ে জোর করে তার থেকে পদত্যাগপত্র নেওয়া হয়েছে। এটা অশনি সংকেত। তিনি বলেন, মানুষের শেষ আশা-ভরসার স্থল বিচারালয়, এই প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন এই সরকার নিম্নস্তরের সকল আদালতকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছে, আর উচ্চ আদালতকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে। আমরা ফলাফল দেখলাম। এভাবে রাষ্ট্রের তিনটি স্তম্ভকে ধ্বংস করে আওয়ামী লীগ অলিখিত বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে একটা জঙ্গল আইন করতে চায়। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে ফের নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, এবার ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন জনগণ হতে দেবে না। জনগণ রাস্তায় নামবে। জাতীয়তাবাদী শক্তির নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেই জনগণকে নেতৃত্ব দেবেন।
কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক এসকে সাদীর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আতাউর রহমান ঢালী, সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কৃষক দলের সহ-সভাপতি এম এ তাহের, নাজিমউদ্দিন মাস্টার, যুগ্ম সম্পাদক তকদির হোসেন জসিম এবং জামাল উদ্দিন খান মিলন বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।