নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ইমরান মাহমুদ : যদি প্রশ্ন করা হয় ‘পাকিস্তান-ভারত ম্যাচ’, এর চাইতে বড় উপলক্ষ্য ক্রিকেট বিশ্বের জন্য কি হতে পারে? মনে হয় না। আর সেই ম্যাচটি যদি হয় কোলকাতার ইতিহাসময় ইডেন গার্ডেন্সে তবে সেটির মর্যাদা বেড়ে যায় হাজারগুণে, সেটি বলবার অপেক্ষা রাখে না। আর যদি স্মৃতির ভেলায় চড়ে একটু পেছনে যেতে পারেন তবে, গতকাল যারা হাজির ছিলেন তাদের দিয়ে কল্পলোকে একটি ম্যাচও খেলিয়ে নিতে পারেন নিঃসন্দেহে। কে ছিলেন না! সারাদিনের বৃষ্টি আর মেঘলা আকাশ ফুঁড়ে ইডেনের সবুজ গালিচায় যেন এদিন নেমে এসেছিলো আকাশের সকল তারকারাজি। পাকিস্তানের জীবন্ত কিংবদন্তি ইমরান খান, মুলতানের রাজা ওয়াসিম আকরাম, ক্যারশম্যাটিক পেসার ওয়াকার ইউনিস, ভারতের প্রথম লিটল মাস্টার সুনিল গাভাস্কার, মাস্টার বøাস্টার শচিন টেন্ডুলকার, কোলকাতার যুবরাজ সৌরভ গাঙ্গুলি, রানের কারিগর ব্রিরেন্দ্র শেবাগ, বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন ও তার ছেলে অভিষেক বচ্চন। আর তাদের শ্রদ্ধাভরে বরন করে নেবার কমতিও রাখেনি গাঙ্গুলির ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল (সিএবি)। সন্মাননা স্কার্ফ আর পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে বরন করে নেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
তাদের আগমনি বারতা পেয়ে এক নিমিষেই যেন উধাও কোলাকাতার আকাশে চোখ রাঙাতে থাকা শেষ মেঘরাজিটুকুও। দুই দেশের সাবেক ক্রিকেটারদের একই মঞ্চে আবারও এনে ধুলো জমা অনেক স্মৃতিই জাগিয়ে দিলেন সৌরভ। এতে ম্যাচের মাহাত্ম এতটুকু না কমে বরং বেড়েছে হাজারোগুণে। আলোর পর্দা বিছিয়ে ম্যাচটিকেও যেন স্বাগত জানালো প্রকৃতি। ততক্ষণে অবশ্য বৃষ্টির তোড়ে ভেসে গিয়েছিলো উত্তেজনার পারদে ঠাঁসা ম্যাচটির ৪ ওভার, ২৪টি বল, অনেক রোমাঞ্চ, ইতিহাসও নয় কি?
এই ম্যাচটি নিয়ে পানি কম ঘোলা হয়নি। টি-২০ বিশ্বকাপের ফিকশ্চার হবার পর থেকেই যখন ম্যাচটির ভেন্যু নির্ধারিত হওয়ার পরও দুই দেশের রাজনৈতিক দ্ব›েদ্বর কারণে অনেক টানাপোড়েন শেষে একেবারে শেষমুহূর্তে ভারতে পা রেখেছিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। নিরাপত্তার হুমকি থাকায় পাক-ভারত ম্যাচের ভেন্যু ধর্মশালা থেকে সরিয়ে আনা হয়েছিল কোলকাতায়। এত কিছুর পর শেষপর্যন্ত যখন ম্যাচটি মাঠে গড়ানোর সময় হলো, তখন দারুণ এক মুহূর্তই উপভোগ করলেন দুই দেশের ক্রিকেটপ্রেমী ও শান্তিপ্রেমী মানুষরা। দুই দেশের ছয় কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে সংবর্ধনা জানানোর মাধ্যমে স¤প্রীতির দারুণ এক নজিরই গড়লেন আয়োজকরা।
শচীন টেন্ডুলকার তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আবারও স্বাগত জানিয়েছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের। আশা করেছেন এক জমজমাট ক্রিকেট ম্যাচের। পাকিস্তানের কিংবদন্তি অধিনায়ক ইমরান খান সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন ইডেন গার্ডেনসে তাঁর শেষ ম্যাচটির কথা। ১৯৮৯ সালের সেই ম্যাচে পাকিস্তান ৭৭ রানে হারিয়েছিল ভারতকে। এবার আফ্রিদিরাও যেন সেই ফলাফলের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারেন, তেমনটাই আশা পাকিস্তানের কিংবদন্তি এই ক্রিকেটারের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।