বিএনপি নেতা সাজুর তত্ত্বাবধানে বিজয় দিবস র্যালিতে বিপুল নেতাকর্মীর অংশগ্রহন
ঢাকা-১৪ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দারুসসালাম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাকে জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতিকে দেশে ফিরতে না দিয়ে জোর করে, বিভিন্নভাবে শক্তি প্রয়োগ করে পদত্যাগ করানো হয়েছে। এধরনের ঘটনা বাংলাদেশের জন্য দুর্ভাগ্যজনক, লজ্জাজনক ছাড়া আর কিছুই নয়। (শনিবার) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশরারফ বলেন, আমরা আশা করেছিলাম ছুটির পরে প্রধান বিচারপতি দেশে ফিরে আসবেন এবং তার আসনে তাকে আবার দেখতে পাবো। কিন্তু আজকে যা দেখতে পাচ্ছি তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, প্রধান বিচারপতিকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয়েছে। এধরনের ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। দেশের প্রধান বিচারপতির ওপরে যদি এই ধরনের আচরণ করা হয়, তাকে জোর করে অসুস্থ বানিয়ে ছুটি দেয়ার পর পদত্যাগ করানো হলো। তাহলে এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক, লজ্জাজনক, ন্যক্কারজনক কাজ আর কিছু হতে পারে না। আজকে দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয়ে এ ধরনের নগ্ন হামলা- এটা কেউ গ্রহণ করতে পারে না, দেশের জনগণ এটা গ্রহণ করবে না।
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার ভয় পেয়েছিল যে, প্রধান বিচারপতি যদি থাকেন তাহলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৪ জন সংসদ সদস্যকে অবৈধ ঘোষণা করবেন। তাই আমরা শুনেছি কিভাবে তাকে পদত্যাগ করানো হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তিনি নাকি অসুস্থয় পদত্যাগ করেছেন। অথচ প্রধান বিচারপতি যখন বিদেশে যান নিজ মুখে গণমাধ্যমের সামনে বলে গেছেন তিনি অসুস্থ নন, সুস্থ আছেন আবার তিনি ফিরে আসবেন। আমরা তখন আশা করেছিলাম সুপ্রিম কোর্টে তার আসনে তাকে আবার দেখা যাবে। জাতীয়তাবাদী নাগরিক দলের সভাপতি মো. ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে ও এনডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসার পরিচালনায় সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী, আতাউর রহমান আঙ্গুর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।