Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কালিদাস বৈদ্যের বইয়ের তথ্যাবলী ডাহা মিথ্যা তীব্র প্রতিবাদ -কওমী মাদরাসা শিক্ষক ফেডারেশন

প্রকাশের সময় : ২০ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

প্রেস বিজ্ঞপ্তি ঃ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুল মজেদ আতাহারী ও মহাসচিব মুফতি মাওলানা কামরুল ইসলাম ভুইয়া গতকাল এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেছেন, ’৭১ সালের যুদ্ধের সাথে কোরআনের কোন সম্পর্ক ছিল না। বাবু কালিদাস বৈদ্য ‘বাঙ্গালির মুক্তিযুদ্ধে অন্তরালের শেখ মুজিব’ বইয়ে সূরা তওবার ৫ নং আয়াত, সূরা নিসার ৮৯ নং আয়াত, সূরা আনফালের ৩৮ নং আয়াত, সূরা মোহাম্মদ-এর ৪ নং আয়াতের অপব্যাখ্যা করে বলেছেন যে, ’৭১ সালে এদেশের মুসলমানরা এই আয়াতগুলো তামিল করতে গিয়ে ত্রিশ লক্ষ হিন্দুকে হত্যা করেছে, হিন্দুদের বাড়ী-ঘর লুণ্ঠনের পর তা জ্বালিয়ে দিয়েছে, হিন্দু নারীদের নির্যাতনের পর ধর্ষণ করেছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ’৭১ সালে ত্রিশ লক্ষ হিন্দু হত্যা হয় নি, কোরআনের আয়াতের দোহাই দিয়ে হিন্দু নারীদের ধর্ষণ করা হয় নি। এসব কাজ ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম। কোরআনের এই আয়াতগুলো এ জন্য নাজিল হয় নি।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাবু কালিদাস বৈদ্যের ‘বাঙ্গালির মুক্তিযুদ্ধে অন্তরালে শেখ মুজিব’ বইয়ে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট, সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি বা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হতে পারে বিধায় বইটি নিজ দায়িত্বে সংগ্রহ করে প্রত্যেক বিবেকবান মানুষের পড়া উচিৎ। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নিজেরও পড়া উচিৎ এবং সরকারকে এর একটা সুন্দর সহনশীল ব্যাখ্যা দেয়া উচিৎ। মুসলমান, হিন্দু, খৃষ্টান, বৌদ্ধসহ সকল সম্প্রদায়ের লোকেরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য সভা সমাবেশ, আলোচনা সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়ামসহ সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানো উচিৎ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘বাঙ্গালির মুক্তিযুদ্ধে অন্তরালে শেখ মুজিব’ বইয়ে তিনি দাবি করেছেন যে, তিনি হলেন বাংলা দেশের স্বপ্নদ্রষ্টা আর সাথী ছিলেন চিত্তরঞ্জন সুতার। তারা দুইজন ভারতের সাহায্য নিয়ে পাকিস্তান ভেঙে পূর্ব পাকিস্তানকে বাংলাদেশ বানানোর জন্য আমাদের স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে শিখÐি হিসেবে ব্যবহার করেছেন, যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।
বইয়ে পাকিস্তানের ভাবী প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিব ২৫ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি বরং পাকিস্তানের অখÐতা রক্ষার জন্য লেঃ জেঃ টিক্কা খানকে দিয়ে অপারেশন চার্জ লাইট শুরু করে পশ্চিম পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন, যা ডাহা মিথ্যা। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে চাকরিরত নিম্নপদস্থ সেনা কর্মকর্তা মেজর জিয়াউর রহমান বিদ্রোহ করে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন এই সুযোগ ভারত গ্রহণ করে পাকিস্তান ভাঙার সর্বাত্মক কার্যক্রম গ্রহণ করে, তা মিথ্যা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মুক্তিযুদ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ