পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চিকিৎসা শাস্ত্রের ‘উন্নত মান’ রাষ্ট্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা চিকিৎসক-ইঞ্জিনিয়ার হতে খুবই উৎসাহী। তীব্র প্রতিযোগিতায় তারা পরীক্ষায় অবতীর্ণ হন। কিন্তু সবার ভাগ্যে জোটে না চিকিৎসা শাস্ত্র পড়ার। সরকারী মেডিকেল কলেজের আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ায় ব্যাক্তি মালিকানায় গড়ে উঠেছে অনেক মেডিকেল কলেজ। সেগুলো যেন হয়ে উঠেছে ডাক্তার বানানোর বাণিজ্যালয়। ওই সব মেডিকেল কলেজের শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন না তুলেও বলা যায় সেগুলো ছাত্রছাত্রীদের ডাক্তার বানানোর বাণিজ্যে মেতে উঠেছে। এমনিতে বেসরকারি মেডিকেলে পড়তে হলে বিপুল পরিমান অর্থের প্রয়োজন। মধ্যবিত্ত অনেক পরিবারের পক্ষ্যে সে অর্থের যোগান দেয়া কঠিন। সেই সুযোগে মেধার বদলে টাকার জোরেও ভর্তি হন অনেকই। আর বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো টাকা নিয়ে ভর্তির জন্য মুখিয়ে রয়েছে। অতিরিক্ত টাকা নিয়ে বা ডোনেশন দিয়ে ভর্তি হয়ে শিক্ষার্থীরা ডাক্তার হলে তাদের কাছে ভাল চিকিৎসা সেবা কি প্রত্যাশিত? বেসরকারি মেডিকেল কলেজ চালু হওয়ার পর অনেকের ছেলেমেয়েদের ডাক্তার বানানো ফ্যাশন হয়ে গেছে। টাকা খরচ করে ছেলেমেয়েদের মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। কিন্তু লেখাপড়া শেষে তাদের কতজন চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন? বেসরকারি মেডিকেল কলেজে অধিক অর্থ দিয়ে ভর্তির দৌড়ঝাপ শুরু হয়ে গেছে। অভিভাবকদের অনেকেই অভিযোগ করছেন তাদের কাছে অধিক অর্থ দিয়ে ভর্তির প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে। অবশ্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) প্রফেসর ডা. আব্দুর রশিদ বলেন, এ ধরনের কোন সংবাদ আমি শুনিনি। তবে এমনটি হলে তা সুষ্পষ্টভাবে সরকারি নীতিমালার লঙ্ঘন। যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যুগ্ম সচিব (শিক্ষা) ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে ভর্তি করার সুযোগ নেই। একই সঙ্গে আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে মেধা তালিকার ভিত্তিতে ভর্তি করার নিয়ম।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ভর্তি নিয়ে বাণিজ্য শুরু হয়ে গেছে। ভর্তি কার্যক্রম শুরুর আগেই অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে ন্যূনতম পাশ নম্বর প্রাপ্তদের ভর্তির সুযোগ দিতে মেডিকেল কলেজ ও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যে দরকাষাকষি চলছে। ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই এসব ভর্তিচ্ছুদের কাছ থেকে বেশকিছু মেডিকেল কলেজ ২ থেকে ৫ লাখ টাকা বুকিং মানিও রাখছে। এছাড়া সরকার নির্ধারিত ভর্তি ফি ১৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা হলেও ইতোমধ্যে অতিরিক্ত ৫ থেকে ১৫ লাখ টাকা বেশি চাওয়া হচ্ছে। বেসরকারি পর্যায়ে ৬৯টি মেডিকেল কলেজের ৬ হাজার ২৫০টি আসনের বিপরীতে পাঁচ লাখ টাকা করে বেশি আদায় করলে অতিরিক্ত ৩০০ কোটি টাকার বাণিজ্য হবে। আর তাই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ভর্তিতে কয়েক’শ কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে একটি চক্র সক্রিয়ভাবে মাঠে নেমেছে।
এদিকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু না হলেও ইতোমধ্যে ন্যূনতম পাশ নম্বর পাওয়া অনেক শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজগুলোর ৫ শতাংশ দরিদ্র শিক্ষার্থী কোটায় অর্থের বিনিময়ে ভর্তির তদবির শুরু করেছেন। এজন্য ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ছুটোছুটি করছেন। তাই দরিদ্র কোটায় প্রকৃত দরিদ্র শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভর্তিচ্ছুরা মনে করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারি না হলে এই কোটার আসনে অর্থের বিনিময়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করে আসল দাবিদারদের বঞ্চিত করা হবে।
দরিদ্র শিক্ষার্থীদের চিকিৎসক হিসেবে তৈরি করার জন্য সরকারের উদ্যোগে ৫ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করা হলেও তাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (শিক্ষা) ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, দরিদ্র কোটায় অন্য কোন শিক্ষার্থী ভর্তির কোন সুযোগ নেই। এটি তদারকির জন্য একটি কমিটি আছে। তারা ভর্তির পরও প্রয়োজনে তালিকা যাচাই-বাছাই করবে। এক্ষেত্রে কোন অনিয়ম হলে সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও মেডিকেল কলেজগুলোর বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, এ বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় বেশি শিক্ষার্থী পাশ করায় এবং ৯টি মেডিকেল কলেজের ভর্তি কার্যক্রম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্থগিত করায় বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর পোয়াবারো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাই অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তিতে অতিরিক্ত অর্থ দাবি করছে। ভর্তির সুযোগ পাবেন এমন আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাও তা হাতছাড়া করতে রাজি নয়। যত টাকা লাগুক মেডিকেল কলেজে একটি আসন যেন তাদের চাই’ই চাই। আর তাই চলতি শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ভর্তিকে কেন্দ্র করে কয়েকশ’ কোটি টাকা লুট হওয়ার শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। সংশ্লিষ্টদের মতে, ৫ নভেম্বর স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরেই ভর্তি পরীক্ষায় পাশকৃত শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল ভিতরে ভিতরে ভর্তির প্রাথমিক কাজ শুরু করে দিয়েছেন। এক্ষত্রে চলছে উভয়পক্ষের দরকষাকষি। কলেজগুলো ভাবছে এ সুযোগ আগামীতে নাও আসতে পারে তাই যত বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি ও টাকা নেয়া যায়। অন্যদিকে অভিভাককরা ভাবছেন এবার ভর্তি করতে না পারলে সন্তানের এক বছর নষ্ট হবে, আবার আগামী বছর ভর্তিতে ৫ নম্বর কাটা যাওয়াসহ ভর্তি পরীক্ষায় সুযোগ পাওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত নয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারি নীতিমালা বাস্তবায়ন না করায় গত বছর এবং চলতি বছরে মোট ৯টি মেডিকেল কলেজের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়। এই ৯টি মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা প্রায় ৬ শতাধিক। এই বিপুল সংখ্যক আসনে ভর্তি স্থগিত থাকায় যে সংকটময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে সেটাকে কাজে লাগাতে সরকার নির্ধারিত ভর্তি ফি ১৩ লাখ ৯০ হাজার টাকার স্থলে অতিরিক্ত ৫ থেকে ১৫ লাখ টাকা বেশি চাওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিকারকর্মী প্রফেসর ডা. রশিদ-ই-মাহবুব ইনকিলাবকে বলেন, অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে ন্যূনতম পাশ নম্বর প্রাপ্তদের ভর্তির সুযোগ অবৈধ। এটা নেয়ার কথা নয়। একই সঙ্গে ভর্তির প্রক্রিয়া সঠিকভাবে করা হয়েছে কিনা, যোগ্যরা ভর্তি হয়েছে কিনা সেদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে সঠিক তদারকি করতে হবে বলে উল্লেখ করেন। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ভবিষ্যত চিকিৎসক তৈরিতে এ ধরণের অবৈধ কাজ যেন না হয় সেটাই আশা করেবা।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ৮২ হাজার ৭৮৮ জন শিক্ষার্থী আবেদন করে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৮০ হাজার ৮১৩ জন এবং পাশ করে ৪১ হাজার ১৩২জন শিক্ষার্থী। পাশের হার ৫০ দশমিক ৮৯ ভাগ। বর্তমানে ৩১টি সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা ৩ হাজার ৩১৮ এবং বেসরকারি পর্যায়ে ৬৯টি মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা ৬ হাজার ২৫০টি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আমার জানা মতে ৯৫ ভাগ বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এ সুযোগ কাজে লাগাতে উঠে পড়ে লেগেছে। তিনি বলেন, নিয়মানুযায়ী সরকারি মেডিকেলে ভর্তির পর অবশিষ্ট সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তদের ভর্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়ার কথা। কিন্তু এবার বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই ন্যূনতম পাশ নম্বর প্রাপ্তদের ভর্তির সুযোগ দানে ২ থেকে ৫ লাখ টাকা বুকিং মানি রাখছে। এরপর নির্ধারিত সময়ের পর কলেজগুলো দেখাবে যে অপেক্ষাকৃত বেশি নম্বর প্রাপ্তরা ভর্তি হতে আসেনি। তাই অপেক্ষাকৃত কম নম্বর প্রাপ্তদের ভর্তি করা হয়েছে। আর এর অন্তরালে থাকবে বিপুল টাকার লেনদেন।
এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোশন করে পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক জানান, মগবাজারে অবস্থিত একটি মেডিকেল কলেজে মেয়ের ভর্তির বিষয়ে আলাপ করতে গেলে কলেজ থেকে তাদের কাছে ৩০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। এমনকি উত্তরার একটি মেডিকেল কলেজও একই পরিমান অর্থ দাবি করে। অপর এক অভিবাবক জানান, ধানমÐির একটি মেডিকেল কলেজ ১০ লাখ টাকা ডোনেশন দাবি করেছে। নির্ধারিত টাকার চেয়ে বেশি চাওয়ার কারণ জানতে চাইলে কলেজ থেকে তাকে জানানো হয়, এ বছর ভর্তি হতে টাকা বেশি লাগবে।
জানা গেছে, গত পাঁচ নভেম্বর বেসরকারি মেডিকেলে এমবিবিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সেখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল প্রণীত নীতিমালার আলোকে ন্যূনতম ৪০ বা তদুর্ধ নম্বর প্রাপ্তদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। ভর্তির ক্ষেত্রে এসব শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের কলেজে আবেদন করতে পারবেন। বিজ্ঞপ্তিতে ১৫ নভেম্বর থেকে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, ১৬ নাভেম্বর আবেদনপত্র বিতরণ এবং ২৬ নভেম্বর আবেদনপত্র জমা নেওয়ার শেষ তারিখ নির্ধরাণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশনের অর্থ সম্পাদক ইকরাম হোসেন বিজু বলেন, আমরাও এমনটি শুনেছি। গত বছর ও এবছর মিলিয়ে মোট ৯ মেডিকেল কলেজে ভর্তি স্থগিত করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, নীতিমালা মানা হচ্ছেনা এমন অভিযোগ এনে এসব মেডিকেল কলেজে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। অথচ পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা মেনে চলে এমন কোন মেডিকেল কলেজ হয়তো পাওয়া যাবে না। মেডিকেল শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য বন্ধে তিনি স্থগিতকৃত মেডিকেল কলেজসমূহে ভর্তি প্রদানের সুযোগ দিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, স্থগিত করা কলেজগুলোকে নীতিমালা শর্ত পূরণে অন্তত এক বছরের সময় দিয়ে ভর্তির সুযোগ দিলে আশাকরি এ সমস্যার সমাধান হবে।
অবশ্য বেসরকারি উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজের গভনিং বডির চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যারয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত ইনকিলাবকে বলেন, এই মেডিকেলে বুকিং মানি বা অতিরিক্ত অর্থ আদায় করার সুযোগ নেই। আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে ভর্তি ফরম ছাড়া হবে। ডা. প্রাণ গোপাল শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন, শিক্ষার্থী ভর্তিতে কোন ধরণের অনিয়ম ঘটবে না। একই সঙ্গে দরিদ্র কোটায় যাচাই-বাছাই করেই শিক্ষার্থী নেয়া হবে। যোগ্যরাই ভর্তি হবে। প্রয়োজনে আমি দায়িত্ব নিয়ে এই কাজটি করবো বলে উল্লেখ করেন তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) প্রফেসর ডা. আব্দুর রশিদ বলেন, এ ধরনের কোন সংবাদ আমি শুনিনি। তবে এমনটি হলে তা সুষ্পষ্টভাবে সরকারি নীতিমালার লঙ্ঘন। যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সেই কলেজের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোন ছাড় দেয়া হবে না।
যুগ্ম সচিব (শিক্ষা) ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে ভর্তি করার সুযোগ নেই। একই সঙ্গে আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে মেধা তালিকার ভিত্তিতে ভর্তি করার নিয়ম। এক্ষেত্রে বেশি নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীকে বাদ দিয়ে কম নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলে ওই মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, পরিচালনার শর্ত পূরণ না করায় চলতি বছর পাঁচটি বেসরকারি মেডিকেল ও একটি ডেন্টাল কলেজের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এগুলো হলো ঢাকার নর্দার্ন ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, আইচি মেডিকেল কলেজ, সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ, কেয়ার মেডিকেল কলেজ, এবং কেরানীগঞ্জের আদ-দ্বীন বসুন্ধরা মেডিকেল কলেজ। এছাড়া নীতিমালার শর্ত পূরণ না করায় গত শিক্ষাবর্ষে চারটির ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, যা এখনও বহাল আছে। যেগুলো হলো গাজীপুরের সিটি মেডিকেল কলেজ, খিলক্ষেতের আশিয়ান মেডিকেল কলেজ, রংপুরের নর্দার্ন প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ, আশুলিয়ার নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।