রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
আদমদীঘি (বগুড়া) থেকে মো. মনসুর আলী : বগুড়ার আদমদীঘিতে চলতি রোপা আমন ধান ক্ষেতে কারেন্ট ও গান্ধি পোকার আক্রমণে এলাকার কৃষকরা ধানের ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। কারেন্ট ও গান্ধি পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে একাধিকবার কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো ফল পাচ্ছেন না কৃষকরা। চলতি রোপা আমন মৌসুমে এ উপজেলায় প্রথমে ১২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও বন্যায় উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের কদমা, করজবাড়ী, কাশিমালা, দমদমা, সান্দিড়া, ছাতনী, প্রন্নাথপুর, দুরিয়াপুর এবং সান্তাহার পৌর এলাকার পোঁওতা, বশিপুর, পাথরকুটা, মালশন, তারাপুর প্রায় তিন হাজার হেক্টর নিচু জমির ফসল নষ্ট হয়। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ফের জমিতে চারা রোপণ করায় ১০ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে।
এবার ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও দুর্যোগপূর্ণ আবহায়ার কারণে কারেন্ট পোকা, গান্ধি পোকা আক্রমণ ও রোগবালাই দেখা দেয়। পোকার আক্রমণ ও রোগবালাই থেকে পেতে নামী-দামি ওষুধ প্রযোগ করেও কোনো ফল পাচ্ছেনা স্থানীয় কৃষকরা। ফলে ফলনে বিপর্যয় হতে পারে বলে কৃষকদের মাঝে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক কায়েত পাড়া গ্রামের কৃষক মো. শফির উদ্দীন, ছাহের আলী, বাহার আলী, কাশিমালা গ্রামের মোহাম্মদ আলী, উপর পোঁওতা গ্রামের শাহাজাহান আলী, আব্দুল করিমসহ আরও অনেকে বলেন, প্রথম দফায় বন্যায় ধান নষ্ট হলে দ্বিতীয় দফায় ধানের চারা সঙ্কটের সৃষ্টি হয় এবং চড়াদামে চারা ক্রয় করে জমিতে রোপণ করার ধানও বেশ ভালো হয়েছে। কিন্তু এবার কারেন্ট পোকা ও গান্ধি পোকার আক্রমণ ঠেকানোত যাচ্ছে না, তার উপর আবার ঝড়ে সব ধান শুয়ে পড়েছে। এবার ধানের ফলন কম হলে আমাদের প্রচুর লোকশান হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কামরুজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ধান ক্ষেতে কারেন্ট পোকাসহ বিভিন্ন পোকার আক্রমণ ঠেকাতে এলাকার মাঠপর্যায়ে কৃষকদের নিয়ে উব্ধুদ্ধকরণ সভা করা হচ্ছে।
সচেতনতা সৃষ্টির জন্য এরই মধ্যে কৃষকদের মাঝে এ সম্পর্কিত প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়েছে। কারেন্ট পোকা দমনে ধান ক্ষেতে আলোক ফাঁদ তৈরির জন্য কৃষকদের বলা হয়েছে। পোকার আক্রমণে উৎপাদন ব্যাহত হবে না বলেও তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।