পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক দুই লেনে উন্নীত হচ্ছে
অবহেলিত খুলনাঞ্চলের আমজনতার স্বপ্ন এবার পূরণ হচ্ছে। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সড়ক উন্নয়নে রীতিমত বিপ্লব এসেছে। প্রান ফিরে পাচ্ছে দীর্ঘ দিনের ভাঙাচোরা রাস্তাঘাটগুলো। চলাচলের অযোগ্য রাস্তাঘাট সংস্কারের পাশাপাশি নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহন ও গৃহীত প্রকল্পগুলো একে একে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসকল প্রকল্পগুলো যথাসময়ে বাস্তবায়িত হলে খুলনাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা হবে দেশের অন্যতম মডেল। বিশেষ করে গত এক বছরে এ সেক্টরে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ্য চোখে পড়ার মত। এতে স্বস্তি ফিরে আসছে উপেক্ষিত এ অঞ্চলের আমজনতার।
সূত্রমতে, খুলনা সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আবুল কালাম আজাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় অতি জনগুরুত্বপূর্ণ খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কটি শিগগিরি দুই লেনে উন্নীত হচ্ছে। সড়কটি উন্নীত হলে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরের সঙ্গে খুলনাসহ সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ হবে। এতে গতি ফিরে পাবে ভোমরা বন্দরের মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম। পাশাপাশি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মানও বদলে যাবে। জিরোপয়েন্ট থেকে আঠারোমাইল পর্যন্ত ২৮ কি.মি. খুলনা-সাতক্ষীরা সড়কটি পরিপূর্ণভাবে প্রশস্তকরণের মধ্যদিয়ে দুই লেনে উন্নীতকরণের প্রকল্পটি দ্রæত বাস্তবায়িত হবে। সড়কটির জিরোপয়েন্ট থেকে আঠারোমাইল পর্যন্ত দুটি প্যাকেজে মোট ২৮.৩০ কি. মি. দৈর্ঘ এ সড়কটি নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪০ কোটি টাকা। চলতি অর্থ বছরে ২৪ ফুটবিশিষ্ট মূল সড়কসহ দুই পাশে ৫ ফুট, ৫ ফুট করে ১০ ফুট প্রশস্তকরণ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যা পরিপূর্ণ ২ লেন (অর্থাৎ ৩৪ ফুট) বিশিষ্ট একটি আঞ্চলিক মহাসড়ক। এছাড়া পদ্মা সেতু চালু হলে ভোমরা স্থল বন্দরের চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যাবে এবং এই সড়কের উপর সবচেয়ে বেশি চাপ পড়বে। এতে যানজটসহ সড়ক দুর্ঘটনা মাত্রা আরও বেড়ে যাবে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। ভবিষ্যত এ সঙ্কট মোকাবেলায় এ সড়কটি নির্মান যোগাযোগ ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করবে।
এ প্রসঙ্গে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আবুল কালাম আজাদ বলেন, শুধুমাত্র জাতীয় মহাসড়কগুলো চার লেন করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে আঞ্চলিক সড়কগুলোও চার লেনে উন্নীত হবে। খুলনা-সাতক্ষীরা আঞ্চলিক সড়কটির জিরোপয়েন্ট হতে চুকনগর ভায়া আঠারোমাইল পর্যন্ত (২৮ কি. মি.) পরিপূর্ণভাবে দুই লেন উন্নীতকরণ হচ্ছে। কিন্তু গাড়ি চালকরা সড়ক আইন অমান্য করে অতিরিক্ত লোড নিয়ে চলাচল করায় রাস্তার স্থায়িত্ব কমে যায়। সঠিক নিয়মে চললে রাস্তাটি স্থায়িত্ব দীর্ঘায়িত্ব হবে। তিনি বলেন, একই সঙ্গে ওই সড়কের শহর কেন্দ্রিক ময়লাপোতা থেকে জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত ৪ কি. মি. সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
এদিকে, এক সময় দাকোপ বটিয়াঘাটার আঞ্চলিক সড়কটি ছিল চরম অবহেলিত। এ সড়কটি এখন যান চলাচলের পরিপূর্ণ উপযোগী। তেরখাদা- খুলনা সড়ক ও রূপসা তেরখাদা সড়ক দিয়ে চলাচলা করলে বোঝা যায় না এই সড়কেই একদিন খানা খন্দকে পরিপূর্ন ছিল। রূপসা-ফকিরহাট সড়কের প্রস্তস্থা ১২ ফুট থেকে ১৮ ফুটে উন্নীত হয়েছে। ১২ কোটি টাকা ব্যায়ে সড়কটির কার্যক্রম পুরোদমে চলছে। আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ সফলভাবে সমাপ্তি হবে বলে আশা করছে সওজ। এছাড়া খুলনার অতি গুরুত্বপূর্ন ৪টি জেলা মহাসড়কের একটি প্রকল্প এখন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অতি স্বত্ত¡র এটি একনেকে অনুমোদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। রাস্তাগুলো হচ্ছে কয়রা-নোয়াবেকী-শ্যামনগর সড়ক, দাকোপ-বারোআড়িয়া-মাগুরখালী সড়ক, তেরখাদা-বর্ণাল-কালিয়া সড়ক ও কেশবপুর-বেতগ্রাম (খুলনা অংশের) সড়ক। রাস্তাগুলির কাজ বর্ষার আগেই শুরু হবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে সড়ক উন্নয়নে খুলনাঞ্চল হয়ে উঠবে একটি মডেল। আর এর কৃতিত্বের অন্যতম দাবিদার খুলনা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আবুল কালাম আজাদ।
বাংলাদেশ পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সোসাইটির বিভাগীয় মহাসচিব মো: আজগর হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, বর্তমান খুলনাঞ্চলের সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়ন অতীতের যে কোন সময়ের উন্নয়নকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে মেরেছে। এ ধারা ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখতে হবে। পাশাপাশি খুলনা নির্বাহী প্রকৌশলীর মত কর্মবীর কর্মকর্তাদের সর্বত্র আন্তরিক হতে হবে। এখনো খুলনায় কিছু সমস্যা রয়েছে সেগুলোও দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।